গোটা বিশ্বের ইসলামী আন্দোলনের ভাই-বোনদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছি আমরা, আলহামদুলিল্লাহ !
লিখেছেন লিখেছেন উমাইর চৌধুরী ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:২১:১২ রাত
আব্দুল কাদের মোল্লাহর শাহাদাতের পর টুইটার এবং ফেসবুকে অনেক তুর্কীর সাথে পরিচয় হয়েছে।
ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির এমনই এক তুর্কি ভাই এর সাথে কথা হয় রাত করে মাঝে মাঝে,
জাতে কুর্দ, অল্প বিস্তর ফার্সিও জানেন। পড়েন সমাজবিজ্ঞানের মত কোন সাবজেক্টে সম্ভবত ।
প্রচুর জ্ঞান রাখেন। ইরান আর ইরানের নেতাদের নিয়ে তার গভীর পড়ালেখা। অনেক বিপ্লবী নেতার ভক্তও সে।
তো একদিন আমাকে আচমকা প্রশ্ন ছুড়ে দিল,
'তুমি কি কামাল আতাতুর্ক কে পছন্দ করো' ?
আমি তো রীতিমত বিব্রত বোধ করছিলাম,
তখন সে ই কিছুক্ষণ পর নিজে থেকেই বলল,
'কোন মুসলমান কামাল আতাতুর্ককে পছন্দ করতে পারেনা।'
আরেকদিন আমি বললাম,
'তুমি কোন পার্টিকে বেশী পছন্দ করো, সেদাত না একেপি ?'
সে জবাব দিলো, 'ইখওয়ান আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী' !
বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই জানেনা হয়তো বা উপলব্ধি করতে পারে%A{p যে এই শহীদ নেতা দেশ এবং দেশের ইসলামী আন্দোলনকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
আমার পাশের সোমালিয়ার ভাই যখন আমাকে বলেন 'আমরা সবসময়ই সত্যের সাথে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য দোয়া করি সবসময় আমরা'
কিংবা ক্যাম্পাসের হামাসের কোন দায়িত্বশীল ফোন দিয়ে বলেন 'শাহাদাতের দরজা দিয়েই তো বিজয় আসে' , তখন মনে হয় কত সৌভাগ্য আমাদের , আলহামদুলিল্লাহ !
কত পরিষ্কার হক আর বাতিলের পার্থক্য ! কত পরিষ্কার হক পন্থিদের রাস্তা !
পৃথিবীর বিভিন্ন ইসলামী আন্দোলন এবং নেতাদের মতে অল্প-স্বল্প পার্থক্য থাকলেও কাদের মোল্লা'র মৃত্যু যে সর্বোচ্চ মর্যাদার মৃত্যু এ ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত।
ইরানের বিপ্লবীরা মওদূদী রহ. কে চিনেন অনেকে কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতের নাম জানতেন খুব কম লোকই। গতদিন ইনবক্সে ইরানের স্টুডেন্ট বাসিজের এক ভাই ম্যাসেজ করেছেন, ম্যাসেজের ভাষাটা ঠিক এমন-
'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং তাঁর সর্বোচ্চ মর্যাদার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। দুনিয়ার মুসলমানকে বাতিলের বিরুদ্ধে এক হবার তৌফিক আমাদের দিন মহান আল্লাহ এবং এরকম ঘটনা আর যেন না ঘটে সেই দোয়া করি প্রভূর দরবারে।'
আমার পাশের ব্লকের এক ফিলিস্তিনী বড় ভাই এখন আমাদেরকে এত ভালবাসেন যে ভালো কিছু রান্না করলে আমাদেরকে সেটা তিনি খাওয়াবেনই । ব্যাচারা একবার সৌদীতে কোন বাংলাদেশীর হাতে চপ-বেগুনী খেয়েছিল রমজান মাসে, তো তার নাকি সে স্বাদ এখনও জিহ্বায় লেগে আছে।
আমি কথা দিয়েছি সামনে এক্সাম শেষ করে তাকে একদিন স্পেশাল আলু চপ-বেগুনী করে খাওয়াবো ।
আলহামদুলিল্লাহ, আপনের চেয়েও আপন এ জান্নাতি বন্ধন উপভোগ করার সৌভাগ্য তো আমাদেরই !
আল্লাহ আমাদের প্রিয় নেতাকে কবুল করে নিন এবং তার এই কুরবানীর উছিলায় গোটা বিশ্বের ইসলামী আন্দোলনকে আরো অগ্রগামী এবং মুসলিম ভাইদের ভ্রাতৃত্ববোধকে সিসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় করে দিন, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন