গতকাল দিনভর আলোচনায় : ইসলামী আন্দোলনের মহা সমাবেশের জনসমুদ্র Rose মহাসমাবেশ সফল করায় চরমোনাই পীরের অভিনন্দনRose

লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৪১:০৪ দুপুর



গতকাল রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সচেতন জনগণের মধ্যে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল ঢাকার শাপলা চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের মহাজনসমুদ্রকে কেন্দ্র করে। খোদ সরকারি দলের লোকেরা এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ চরমোনাই পীর ছাহেবের নেতৃত্বে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনসহ বিভিন্ন ইসলামী দাবি কটাক্ষকারীদের বিচার এবং সংসদে এদের শাস্তির জন্য আইন পাসের দাবিতে আন্দোলন এবং ৬ এপ্রিলের লংমার্চের প্রতি জনসমুদ্র থেকে সমর্থন দেয়ার প্রেক্ষিতে মহাসমাবেশের জনসমুদ্রের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে।

এ মহাসমাবেশ যেহেতু সরকার পক্ষের কোন সমাবেশ নয় সেহেতু বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশকে ইতিবাচক রূপেই দেখছে। বিএনপির কারো কারো মন্তব্য হচ্ছে সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলন বা কর্মসূচির ফলাফল বিএনপির কোটেই আসবে।

জামায়াতে ইসলামী ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের জনসমূদ্রকে নেতিবাচক হিসেবে দেখলেও আগামী ৬ মার্চের লংমার্চের প্রতি সমর্থনকে তারা পজেটিভ রূপেই ভাবছে। জামায়াতের নেতৃবৃন্দের আলোচনা এবং ভাবনার বিষয় হচ্ছে, ইসলামী আদোলনের মহাসমাবেশে আগামী ৬ মার্চের লংমার্চকে আরো অধিক অনুপ্রেরণা জোগাবে। আর পীর ছাহেব বলেছেন, নাস্তিক্যবাদী শাহবাগী ব্লগারদের বিষয়ে গণ বিস্ফোরণ শুরু হলে তা শামাল দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকবে না। আর লংমার্চ দমাতে সরকার ব্যর্থ হলে অথবা বাধা দিলে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি আসলে সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে যাবে। আর তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। আর তখন জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কাজ এবং দাওয়াতী কাজ চালাতে পারবে নির্বিগ্নে। এ পরিস্থিতিতে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

এ বিষয়ে ইসলামী দলসমূহের মধ্যে গতকালের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ দেশের ইসলামী আন্দোলনে একটি গতি আনতে পারলে তাদের ইসলামী দাবিসমূহ আদায় সহজ হবে অথবা সরকারের বিদায় হবে।



মহাসমাবেশ উপলক্ষে যে জনসমূদ্র তৈরি হয়েছিল তা ইসলামী আন্দোলনের পৃথক আন্দোলনকে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রভাব ফেলবে অন্যান্য ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যেও। আর তা দেশে একটি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটানো কিছুটা হলেও সহজ হবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনকে গুরুত্ব দেয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

Rose মহাসমাবেশ সফল করায় চরমোনাই পীরের অভিনন্দনRose

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল’ আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর দুশমন নাস্তিক-মুরতাদদের শাস্তির আইন পাস, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সুশাসন, ন্যায়বিচার, সন্ত্রাস-দুর্নীতির মূলোৎপাটন, দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মুক্তি ও সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের নিমিত্তে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত ২৯ মার্চ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করায় সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা নেতা-কর্মী, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অত্র এলাকার ব্যবসায়ীসহ সকল পর্যায়ের লোকজনের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও মেবারকবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম-পীর সাহেব চরমোনাই।

গতকাল এক অভিনন্দন বার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, জাতীয় মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত করে প্রমাণ করেছে এদেশের গণমানুষ ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোন মতবাদ মানে না। তারা প্রতিহিংসা ও নৈরাজ্যের রাজনীতির কবল থেকে বের হয়ে ইসলামের বিজয় চায়। এখন আমাদের সকলেরই উচিত হবে সকল মতবাদ, মতভেদ ভুলে এবং তাগুতের সংশ্রব ত্যাগ করে শুধুমাত্র ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করা। স্বাধীনতার ৪২ বছরে অনেক সরকার পরিবর্তন হয়েছে, অনেক দফার আবির্ভাব ঘটেছে, নেতা-নেত্রীর পরিবর্তনও হয়েছে বহুবার, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তাই পার্থিব লোভ-লালসা ভুলে, ক্ষণস্থায়ী স্বার্থ পরিহার করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য একমাত্র দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রচলিত রাজনীতির অতল গহ্বরে অন্ততঃ ওলামা-মাশায়েখগণের অংশগ্রহণ বেমানান। তাছাড়া, যে রাজনীতিতে জাতির শান্তি ও মুক্তি নেই, সেই রাজনীতি ওলামা ও দ্বীনদার ব্যক্তিবর্গ করতে পারেন না।



মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে একজনের মৃত্যু


গতকালের জাতীয় মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে রাজধানীর নটরডেম কলেজের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ি চাপায় মো. মনছুর আলী (৭০) মারাত্মক আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি রাত ৯.১৫ মি. শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বড়খানপুর গ্রামে। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও দলীয় সহকর্মী রেখে গেছেন। তিনি চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন মুজাহিদ কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। তার ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আলহাজ শফিকুল আমীন খান গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের বুলন্দ মর্যাদা কামনা করেছেন।

[b]প্রতিবাদ[/b] ড. মিজান দাঙা উস্কে দিচ্ছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ বছরে এদেশে কোন হিন্দু থাকবে না’ বলে ড. মিজান যে বক্তব্য দিয়েছে তা কোন সভ্য মানুষ সমর্থন করতে পারে না। কেবল কুলষিত, দুষিত, বিষাক্ত ও নোংরা রাজনীতির সেবাদাসরাই একথা বলতে পারে। কোন দেশপ্রেমিক মানুষের মুখে এসব কথা মানায় না। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানীমূলক বক্তব্যের জন্য আমরা অবিলম্বে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ড. মিজানের পদত্যাগ দাবি করছি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File