আল্লাহদ্রোহী শক্তির সহযোগী না হয়ে আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একমাত্র ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলি: পীরসাহেব চরমোনাই

লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ২৪ মার্চ, ২০১৩, ১১:৫৭:৪১ সকাল

ইসলাম, দেশ ও মানবতার স্বার্থ রক্ষায় আগামী নির্বাচনে দেশবাসী সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবারো ভুল করলে দেশ ও মানবতার পরিণতি আরো ভয়াবহ হতে পারে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে দেশ স্বাধীনের ৪২ বছরে বারবার নেতার পরিবর্তন ঘটেছে, নীতির পরিবর্তন ঘটে নাই। অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের পরও জাতীয় জীবনে কল্যাণ ও শান্তি ফিরে আসে নাই। ব্যালটের মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে রায় দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানবতার সার্বিক মুক্তি ফিরে আসবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আল্লাহদ্রোহী শক্তির সহযোগী না হয়ে আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একমাত্র ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামকে এক নম্বর শক্তিতে পরিণত করি।

আগামী ২৯ মার্চের জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে আজ শনিবার বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী জেলা নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম দেশের নাস্তিক মুরতাদদের কবর রচনা করতে দেশবাসীকে ২৯ মার্চের জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে জনগণের সাড়া পাচ্ছি তাতে মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।


কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ও নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমূখ।##

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, দেশে এখন চরম অস্থিরতা বিরাজমান। কোথাও শান্তি নেই, নেই জনমানুষের জান-মালের নূন্যতম নিরাপত্তা, ঈমান নিয়ে বেচেঁ থাকা খুব দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। নাস্তিকদের দৌরাত্ম চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের আস্ফালন দেখে মনে হয় এদেশটা নাস্তিকের দেশ। কিন্তু ওরা বোধ হয় ভূলে গেছে এখনও এদেশের লক্ষ লক্ষ মসজিদে প্রতিদিন আজানের ধ্বনি উচ্চারিত হয়।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে যদি ওদের বোধোদয় না হয় তাহলে এমন ঝাকুনি দেয়া হবে নাস্তিকরা পালাবার পথও খুজে পাবে না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আওয়ামী সরকারের মনে রাখা উচিত এই দিন-ই শেষ দিন নয়। ক্ষমতা হাতে পেয়ে যা ইচ্ছা হয় তাই করবেন আর এদেশের মানুষ তা বসে বসে দেখবে এটা ভুল ধারনা। সময় থাকতে সাবধান হোন। নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বিরত হোন। নতুবা গণরোষে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আগামী ২৯ মার্চের মহাসমাবেশে এদেশের ভাগ্যাহত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের আলেম-ওলামা, কৃষক-শ্রমিক-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষদের সাথে নিয়ে মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে কাঁেধ কাধঁ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সমাবেশকে ঘিরে সবরকমের গুজব ও ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ ২৯ মার্চ মহাসমাবেশের মাধ্যমে নাস্তিকদের অপতৎপরতারও সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

আগামী ২৯ মার্চ জাতীয় মহাসমবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ২৩ মার্চ সকাল ১১টায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনর ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আলহাজ শফিকুল আমীন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, শ্রমিক আন্দোলনের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহীদুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবদুল আউয়াল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ আতিকুর রহমান মুজাহিদ, আলহাজ্ব আলতাফ হোসাইন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম, শাহ আলম মানিক, মোঃ শাহাদাত হোসাইন, মোঃ হারুন অর-রশিদ, মোঃ শওকত হোসাইন প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। একমাত্র ইসলামই পারে অধিকারহারা মানুষের অধিকার ফিরিেিয় দিতে, বস্ত্রহীনের বস্ত্র দিতে, ক্ষুধার্তদের অন্ন দিতে, রোগাক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং গৃহহারা-বস্তুহারাদের আবাসের ব্যবস্থা করতে।

বক্তারা গণমানুষের মুক্তি এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজব্যবস্থার অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে আগামিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
।##

বিষয়: বিবিধ

১১৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File