বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে -পীর সাহেব চরমোনাই ------------------------------------------------------------------------------------
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ১১ মে, ২০১৬, ০২:০৬:৫৩ দুপুর
১০-২৬ মে সারাদেশে চরমোনাই পীরের পক্ষ থেকে খোলা চিঠি বিতরণ কর্মসূচি :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেছেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন বাস্তবায়িত হলে জাতীয় শিক্ষা বিপথগামী হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থারও বিলুপ্তি ঘটবে। কারণ, প্রস্তুাবিত শিক্ষাআইনের ১১নং ধারার ২নং উপধারায় বলা হয়েছে, ‘নিবন্ধন ব্যতিত কোন অবস্থাতেই কোন বেসরকারী বিদ্যালয় বা মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে না।’
তিনি বলেন, সেক্যুলার শিক্ষানীতি, বিতর্কিত শিক্ষাআইন, হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচি বাধ্যতামূলক করায় একমুখি শিক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিলেই দেশের হাজার হাজার কওমী মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর, এদেশ থেকে কওমী মাদরাসাগুলো ধ্বংস করতে পারলে ইসলাম বিদায় করাও সহজ হবে। আর জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে তৈরি অভিন্ন সিলেবাসের কারণে, আলিয়া মাদরাসাগুলোতে তো পৌত্তলিক এবং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষার চর্চা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
চরমোনাই পীর বলেন, বিতর্কিত এই শিক্ষানীতি এবং আমাদের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সিলেবাস তৈরিতে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ববিরোধী একটি ভয়ংকর শক্তির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। কারণ, ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাঁকোটা দুলছে নামক এমন একটি কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে; যাতে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং পূণরায় বাংলাদেশ-ভারত একিভূত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান অগ্রনায়কদের ত্যাগ এবং রাজনৈতিক দর্শনকে অপমান করা হয়েছে। যারা ভারত বিভক্তির মাধ্যমে মুসলমানদের একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এভাবে মুসলিম ভাবধারার বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে জাতিবিধ্বংসী ও হিন্দুত্ববাদী যেসব বিষয় নতুনভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে এর পরিণতি ভাবলে আমাদের গা শিউরে ওঠে।
রেজাউল করীম বলেন, অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস বাতিল না করলে ১৫ মে সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি এবং ১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে পুরানা পল্টন এলাকায় সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ই্উনুছ আহমাদের নেতৃত্বে জনমত গঠনের খোলা চিঠি বিতরণ করে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন. যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চর মোনাইয়ের হুজুর কি বাঁশের প্যান্ডেল বেয়ে উঠা নামা করার ইভেন্টটা কি বন্ধ করে দিল , না কি ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন