মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা-মূল্যবোধশূন্য শিক্ষা আইন কোনো মূল্যেই মেনে নেব না—নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৮ মে, ২০১৬, ০২:০৬:০৮ দুপুর
শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ
-------------------------------------------------------------------------
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (খলীফা ও সাহেবজাদা মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, বহুল বিতর্কিত কুদরত-এ-খোদা ও কবীর চৌধুরী কমিশনের আলোকেই প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন মুলসমানদের ধর্মীয় চেতনা-মূল্যবোধশূন্য। এই আইন বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নাস্তিক্যবাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হবে। অতএব এই আইন কোনো মূল্যেই মেনে নেওয়া হবে না। আজ (শনিবার) বেলা ৩ ঘটিকায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬ বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানহাটস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনচরিত বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজন করা হয়েছে। ছষ্ট শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষার একটা বইতেই ৫৮টা বিকৃতি রয়েছে ধর্মীয় নানা তথ্যে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গল্প মোট ১৯৩টির মধ্যে ১৩৭টিই মুসলমানদের কৃষ্টিকালচারের বাইরে, নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদীদের লেখা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, এটি ভারত না স্বাধীন বাংলাদেশ? ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণ শিখিয়ে জাতিকে হিন্দুস্থানের তল্লিবাহকে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নায়েবে আমীর বলেন, শুনেছি, আপনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেই দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। সম্প্রতি নাস্তিক্যবাদীদের কাজকে নোংরামি বলে আপনার বক্তব্য আমাদের আশ্বস্ত করেছিল। আপনার আমলা-মন্ত্রীদের সামলান, ওদের ধর্মহীন ও ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড আপনাকে ডোবাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন জাতিকে হিন্দুত্ববাদের দিকে নিয়ে যাবে। এদেশে মসজিদ থাকবে, মুসলমানও থাকবে, মুসল্লীও থাকবে কিন্তু আপনার মন্ত্রী-আমলারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে। তাদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে পরিণতি খুব ভয়বহ হবে বলে হুশিয়ারি দেন মুফতী ফয়জুল করীম।
কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওলামা-মাশায়েখ-আইয়িম্মা পরিষদ নেতা মুফাসসিরে কুরআন হাবিবুর রহমান মেসবাহ, আলহাজ আবুল কাশেম মাতব্বর, অধ্যাপক মাওলানা রফীকুল আলম, মুহাম্মদ আল-ইকবাল, ডা. রেজাউল করীম, ফোরকান সিকদার, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আবদুর রহীম মোল্লা, ওলামা-মাশায়েখ নেতা মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, মাওলানা হাবীবুর রহমান আতীকী, শ্রমিকনেতা আলহাজ ওয়ায়েজ হোসেন ভুঁইয়া, মাস্টার এমএ মতিন, মু. সগির আহমদ চৌধুরী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জিহাদী, শেখ সুলতানুল ইসলাম, ওমর ফারুক আজাদ, মুহাম্মদ ইবরাহীম, তরীকুল ইসলাম ও ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১২৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন