২৬ মে এর মধ্যে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিলের ঘোষণা না দিলে ২৭ মে জাতীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে পরবর্তী কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে -পীর সাহেব চরমোনাই

লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৭ মে, ২০১৬, ০৪:১৩:২৯ বিকাল





আগামী ২৬ মে’র মধ্যে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজিত হিন্দুত্ববাদের সিলেবাস বাদ দেয়ার ঘোষণা না দিলে ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরবর্তী বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শুক্রবার (৬ মে) বাদ জুমআ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ধর্মহীন শিক্ষানীতি, সেক্যুলার শিক্ষা আইন এবং হিন্দুত্ববাদ- নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাতিলের দাবীতে আয়োজিত বিশাল গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন।



নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারী আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও এইচ এম সাইফল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান,মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, শিক্ষক নেতা এবিএম জাকারিয়া, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সৈয়দ ওমর ফারুক প্রমুখ।



পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল সা. ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনরচিত বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজিন করা হয়েছে যা ৯৫% মুসলমানের ঈমান ও আমলে চরম আঘাত। গরুকে মা সম্বোধন করে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্বাদ শিখানো হচ্ছে। দেব-দেবির নামে বলি দেয়া গরু বা পাঠা হালাল বলে শিখানো হচ্ছে। এভাবে সরকার ছাত্রছাত্রীদের মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে।

পীর সাহেব দাবি আদায়ে আগামী ১০-২৬ মার্চ জনমত গঠনের লক্ষ্যে উল্লেখিত বিষয়ে খোলা চিঠি বিতরণ, ১২ মে দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান, ১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি, ২০ মে শিক্ষক সমাবেশ, ২১ মে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন-এর কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তিনি ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশসহ সকল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্ষমতাসীন ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ বাস্তবায়নে ইসলামই একমাত্র বাধা। তাই তারা সিলেবাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদেরকে ঈমান ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদে ধাবিত করতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌনাচার শিক্ষার নামে অবাধ যৌনাচারে উদ্ধুদ্ধ করছে।



সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নাস্তিক হওয়ায় তিনি কৌশলে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সিলেবাসে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি মুখে কুলুপ আঁটা শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ মাওলানা ই্উনুছ আহমাদ বলেন, মুসলমানিত্ব ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মুসলমানিত্ব ধ্বংস করতে দিতে পারি না। কারণ তারা কৌশলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেঈমান বানাতে চেষ্টা করছে।

সভাপতির বক্তব্যে হেমায়েত উদ্দিন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নাস্তিক বানাতে আধুনিক ও প্রগতিশীলতার নামে পরিকল্পিতভাবে পাঠ্যবইয়ে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী লেখা সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ঈমানদার জনতাকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি ধর্মীহীন সেক্যুলার শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিলের আহ্বান জানান।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368296
০৭ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:৪১
বিবেক নাই লিখেছেন : বিবেক তুমি আর কতকাল ঘুমাবে? পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হলো- ১) দ্বিতীয় শ্রেণী: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ – শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ২) তৃতীয় শ্রেণী: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ৩) চতুর্থ শ্রেণী: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ৪) পঞ্চম শ্রেণী: ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ৫) পঞ্চম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যা বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিলো। ৬) পঞ্চম শ্রেণী: শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো। ৭) ষষ্ঠ শ্রেণী: ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা। ৮) ষষ্ঠ শ্রেণী: মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’। ৯) ষষ্ঠ শ্রেণী: মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি। ১০) সপ্তম শ্রেণী: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত। ১১) অষ্টম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি। ১২) নবম-দশম শ্রেণী: সর্ব প্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি। ১৩) নবম-দশম শ্রেণী: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি। ১৪) অষ্টম শ্রেণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেগম সুফিয়া কামালের লেখা “প্রার্থনা” কবিতা। ১৫) নবম-দশম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি। ১৬) নবম-দশম শ্রেণী: গোলাম শিক্ষণীয় লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা। ১৭) নবম-দশম শ্রেণী: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’কবিতা। এর বদলে বাংলা বইয়ে প্রবেশ করেছে- ১) পঞ্চম শ্রেণী: স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। ২) ষষ্ঠ শ্রেণী: প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা। ৩) ষষ্ঠ শ্রেণী: সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। ৪) ষষ্ঠ শ্রেণী: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ কাহিনী। ৫) সপ্তম শ্রেণী: `লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম কানুন। ৬) অষ্টম শ্রেণী: পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’ এর সংক্ষিপ্তরূপ। ৭) নবম-দশম শ্রেণী: প্রবেশে করেছে‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা। ৮) নবম-দশম শ্রেণী: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী। ৯) নবম-দশম শ্রেণী: পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার। ১০) নবম-দশম শ্রেণী: ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭ এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
০৭ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:২১
305687
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Look like Satan do their job successfully. Now Muslims turn. But if they still sleeping then may be both party are end up same destination, that is hail fire. May Allah helps us to understand the situation and act accordingly.
০৭ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৪
305688
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : জানিনা আমরা আর কত দিন চুপ করে বসে থাকবো।আর কত কি হারালে আমাদের হুশ হবে ।
368302
০৭ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : সঠিক পদক্ষেপ, সফলতার প্রচেষ্টা অব্যাহত হওয়া চাই। অন্যান্ন ইসলামী দলকেও আহবান করা যেতে পারে আর তাদেরও যোগদান করা উচিৎ। জনগন সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।।
০৭ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৬
305689
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : শুকরিয় ,সব দলের মাতভেদ ভূলে এগিয়ে আসা উচিত।
368336
০৭ মে ২০১৬ রাত ১০:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : অন্তত এই ইস্যুতে মুসলিমরা এক হোক। নিজেদের আপসে ভেধাভেদ ভুলে এক কাতারে আসা উচিৎ। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৮ মে ২০১৬ দুপুর ০২:১১
305744
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আল্লাহ কবুল করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File