সৌদী সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে শায়েখে চরমোনাই মুফতী ফয়জুল করীম সাহেবের হজ্বে গমন
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:২৭:৩৫ সকাল
সৌদী সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে পবিত্র হজ্বব্রত পালনে যাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই। পবিত্র মক্কায় মসজিদ আল হারামে ক্রেন ধসে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১২৫ জন হাজীর মর্মান্তিক মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে এবং সৌদী সরকারের রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে হজ্বব্রত পালন উপলক্ষে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই।
মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, পবিত্র মক্কায় মসজিদ আল হারামে ক্রেন ধসে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১২৫ জন হাজির মর্মান্তিক মৃত্যু নিঃসন্দেহে শহিদী মৃত্যু। যাদের ভাগ্য ভাল। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, লা মাজহাবী ভ্রান্ত মতাদর্শিরা আমাকে বিভিন্নভাবে সৌদীতে নাজেহাল করতে চেয়েছিল। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ১১টি অভিযোগ দিয়ে আটক করিয়েছিল। আল্লাহর রহমতে সবই ভুয়া ও মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন সৌদীর বাদশাহ রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাকে দাওয়াত দিয়ে হজ্বব্রত পালন করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসবই আল্লাহর অনুগ্রহ।
তিনি বলেন, কুরবানির দিন জনসাধারণকে পশুবর্জ্য সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন পশুবর্জ্য অপসারণে কুরবানির দিন বাড়তি জনবল নিয়োগ দিতে পারত। অথচ সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা মেরামত, নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের চেয়েও কুরবানীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সংকোচনেই উৎসাহি দেখা যাচ্ছে।
তিনি সরকারের প্রতি শত শত বছর ধরে চালু থাকা ইসলামী নিদর্শন পবিত্র কুরবানীর ঐতিহ্যবিরোধী এই উদ্যোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মনে মারাত্মক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া তৈরী হতে পারে।
তিনি কেরাণীগঞ্জে ভেঙ্গে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারী-বেসরকারী জায়গায় নির্মিত সকল মসজিদগুলো সম্প্রসারণ করতে হবে। ভেঙ্গে ফেলার চক্রান্ত ঈমানদার জনতা সহ্য করবে না।
নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে. মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বন) সাড়ে ১২টার ফ্লাইটে মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম সৌদী এলায়র লাইনসে পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯১ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, 'অপমান করে মাল্যদান'
আমি হলে অপমানে জীবনেও সৌদির আমন্ত্রনের কথা বলতাম না। বলতাম নিজের গরজে আবারো হজ্জে গিয়েছি। তবে দুঃখ যে, এসব আলেমকে কোনদিন সত্য কথা বলার জন্য দেশীয় কারাগারে ঢুকতে হয়নি, যদিও বিদেশের কারাগারে বেহুদা ঢুকে জিল্লতি পেতে হয়েছে। এখন সেটাকে জিহাদী জোশ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই তিনি সেখানে গিয়েও তিনি মুরীদ ব্যবসা চালু রাখতে দোকান খুলে বসেছিলেন! ইসলামের কোথাও নাই পীর-মুরীদ ব্যবসার কথা। দেশেও এসব নামধারী আলেম বড় স্বার্থপর ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।
গলায় মালা দেখিয়ে সম্মান করলেন তবে পাছায় যে একটা হাতি সাইজের লাথি মারা হয়েছিল সেটা ভুলে গেলেন কেন।
নিজের কপালে নিজে মারা শুরু করেন ।অপমান করার অপচেষ্টাতো আর কম করেন নাই। এখন আর কি বলবেন।আহলে হদস দের কে খরব দেন।দেখেন সৌদি বাবাদেরকে আর কিছু বুঝাতে পারেন কি না।
এসব নামধারী আলেম বড় স্বার্থপর ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।
অনেক বড় দল আমাদের এই ব্লগে।
চরমোনাই মোরা মুরীদ ভাই।
নাকি ডালমে কুচ কালা হ্যায়!
একজন মুরিদ বহুরুপ!
আল্লাহর অলীর সাথে জেল জুলুমের বেয়াদবী! আমার পীরসাহেব খুব মাইন্ড করেছেন।
আমার পীরসাহেবকে দেখতে মাঝে মাঝে কাবাঘড় নিজেই চরমোনাই চলে আসে।
তোমার পীর আমার পীর চরমোনাই চরমোনাই।
জালিমেরা মিথ্যাচারের মাধ্যমে অপমান করতে চেয়েছে,আর আল্লাহর অভিপ্রায় মযার্দা বহুগুনে বারিয়ে দেওয়ার।
এবার আর কি বলবে জালিমেরা।
ভাই মুসলিম, আপনি কিন্তু আমার পীরসাহেবের নামে আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছেন। এটা কিন্তু গ্রহনীয় নয়।
শায়েখের প্রস্তুতি সমপন্ন ।এখন বিমান বন্দরের ভিতরে ।কিছুক্ষনের মধ্যে আল্লাহর ঘরের মেহমান হওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করবেন ।
সর্ম্পূন্য সৌদী সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসাবে।
আল্লাহ হুজুরকে কবুল করুন।
এখন কান্দো ।সৌদি বেতন বন্ধ হয়ে গেল নাকি।
পীরের কলবের সাথে যখন কলব ফানা হয়ে যায় তখন। এটাইতো ফানাফিশ শায়খ।
আপনার দেখি আমার পীরসাহেবের সম্মন্ধ্যে কোন জ্ঞানি নেই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন