গোলামকে কে ক্রয় করবে……? সুলভ মূল্যে বেচে দিবো।

লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২৬:৩১ দুপুর

কুচকুচে কালো সাহাবী হযরত জাহেয রা.। গ্রাম থেকে শাক-সবজি সংগ্রহ করে শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। খুব ভালোবাসতেন রাসূল সা. তাঁকে। বলতেন “জাহেয আমাদের গ্রাম আমরা জাহেযের শহর“।

:

একদিন তিনি উদোম শরীরে বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করছিলেন। রাসূল সা. পিছন থেকে এসে তাঁর বোগলের নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ঘাড়কে এমন ভাবে ধরলেন যেনো সে নড়তে না পারে। ধরার সাথে সাথে তিনি স্বজোরে বলতে লাগলেন, এই ! কে ধরেছো আমাকে? ছাড়ো ! ছাড়ো বলছি !

:

এদিকে রাসূল সা. ও ধরে রেখে বলতে লাগলেন, এই গোলামকে কে ক্রয় করবে……? সুলভ মূল্যে বেচে দিবো।

রাসূল সা.-এর আওয়াজ শুনে জাহেয রা. চুপ হয়ে গেলেন। রাসূলের গায়ে ছিলো চাদর জড়ানো। হাত উঁচু করে জাহেযকে ধরায় রাসূল সা. এর সিনা মোবারক অনাবৃত হয়ে পড়েছিলো। সুযোগ বুঝে জাহেয রা. নিজের নগ্ন পিঠকে রাসূলের সিনার সাথে মিলিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।

:

কিছুক্ষণ পর রাসূল সা. তাঁকে ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, জাহেয ! তুমি চুপ হয়ে গেলে যে? আবার আমার সিনার সাথে তোমার পিঠ ঠেকিয়ে দিলে!

জাহেয রা. বললেন, ওগো প্রিয় রাসূল সা. আমিতো নি:স্ব । নিতান্তই হতদরিদ্র। কোনো পুঁজি নেই। হাশরের মাঠে যদি আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, জাহেয! আমার কাছে কি এনেছো তুমি ? জবাবে বলবো, প্রভূ ! উপস্থাপন করার মতো কিছুই নেই। তবে, আমার পিঠখানা পরীক্ষা করে দেখুন, তাতে তোমার হাবীবের পরশ আছে। একথা শুনে রাসূল সা. তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

:

বন্ধুরা ! তিনিতো অন্তত রাসূল সা. এর পরশ পেয়েছেন। আমাদের তো তাও নেই। কোন সম্বল নেই। কোন পুঁজি নেই। রিক্ত হাত। শুন্য থলে। আমরা কী পেশ করবো তাঁর কাছে। আমরা তো এমন হতভাগ্য যে, আমাদের চোখ তাঁর হাবীবকে দেখেনি। এমন দূর্ভাগা আমাদের নাক তাঁর ঘ্রাণ নিতে পারেনি। এমন বঞ্চিত তাঁর সাথে এক পথে চলতে পারিনি। আমরাতো এমন রিক্ত যে , আমাদের হাত তাঁকে ছুঁতে পারেনি। তবে আমাদের কী হবে? কী আছে আমাদের?

:

হ্যাঁ আছে। আমাদের অন্তরে মদীনা অলার প্রেম আছে। হৃদস্পন্দনে তাঁর অনুরাগ আছে। প্রতি রক্তকনিকায় তাঁর ভালোবাসা আছে। মহব্বত আছে। এই প্রেম আর অনুরাগকেই আমরা প্রভুর সামনে পেশ করবো সেদিন।

প্রভু অন্তর্যামি। তিনি দেখেন। বুঝেন। উপলব্ধি করেন।

:

হে প্রভু ! তাঁর ভালোবাসাকে পুঁজি করেই জীবন কাটানোর তৌফিক দিন। তাঁর পদাঙ্ক অনুস্মরণ করে আমরণ চলার তৌফিক দিন। মদীনা অলার প্রেমানলে জ্বলে জ্বলে নিজকে নি:শ্বেষ করার তৌফিক দিন। আমীন।।

কুচকুচে কালো সাহাবী হযরত জাহেয রা.। গ্রাম থেকে শাক-সবজি সংগ্রহ করে শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। খুব ভালোবাসতেন রাসূল সা. তাঁকে। বলতেন “জাহেয আমাদের গ্রাম আমরা জাহেযের শহর“।

:

একদিন তিনি উদোম শরীরে বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করছিলেন। রাসূল সা. পিছন থেকে এসে তাঁর বোগলের নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ঘাড়কে এমন ভাবে ধরলেন যেনো সে নড়তে না পারে। ধরার সাথে সাথে তিনি স্বজোরে বলতে লাগলেন, এই ! কে ধরেছো আমাকে? ছাড়ো ! ছাড়ো বলছি !

:

এদিকে রাসূল সা. ও ধরে রেখে বলতে লাগলেন, এই গোলামকে কে ক্রয় করবে……? সুলভ মূল্যে বেচে দিবো।

রাসূল সা.-এর আওয়াজ শুনে জাহেয রা. চুপ হয়ে গেলেন। রাসূলের গায়ে ছিলো চাদর জড়ানো। হাত উঁচু করে জাহেযকে ধরায় রাসূল সা. এর সিনা মোবারক অনাবৃত হয়ে পড়েছিলো। সুযোগ বুঝে জাহেয রা. নিজের নগ্ন পিঠকে রাসূলের সিনার সাথে মিলিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।

:

কিছুক্ষণ পর রাসূল সা. তাঁকে ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, জাহেয ! তুমি চুপ হয়ে গেলে যে? আবার আমার সিনার সাথে তোমার পিঠ ঠেকিয়ে দিলে!

জাহেয রা. বললেন, ওগো প্রিয় রাসূল সা. আমিতো নি:স্ব । নিতান্তই হতদরিদ্র। কোনো পুঁজি নেই। হাশরের মাঠে যদি আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, জাহেয! আমার কাছে কি এনেছো তুমি ? জবাবে বলবো, প্রভূ ! উপস্থাপন করার মতো কিছুই নেই। তবে, আমার পিঠখানা পরীক্ষা করে দেখুন, তাতে তোমার হাবীবের পরশ আছে। একথা শুনে রাসূল সা. তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

:

বন্ধুরা ! তিনিতো অন্তত রাসূল সা. এর পরশ পেয়েছেন। আমাদের তো তাও নেই। কোন সম্বল নেই। কোন পুঁজি নেই। রিক্ত হাত। শুন্য থলে। আমরা কী পেশ করবো তাঁর কাছে। আমরা তো এমন হতভাগ্য যে, আমাদের চোখ তাঁর হাবীবকে দেখেনি। এমন দূর্ভাগা আমাদের নাক তাঁর ঘ্রাণ নিতে পারেনি। এমন বঞ্চিত তাঁর সাথে এক পথে চলতে পারিনি। আমরাতো এমন রিক্ত যে , আমাদের হাত তাঁকে ছুঁতে পারেনি। তবে আমাদের কী হবে? কী আছে আমাদের?

:

হ্যাঁ আছে। আমাদের অন্তরে মদীনা অলার প্রেম আছে। হৃদস্পন্দনে তাঁর অনুরাগ আছে। প্রতি রক্তকনিকায় তাঁর ভালোবাসা আছে। মহব্বত আছে। এই প্রেম আর অনুরাগকেই আমরা প্রভুর সামনে পেশ করবো সেদিন।

প্রভু অন্তর্যামি। তিনি দেখেন। বুঝেন। উপলব্ধি করেন।

:

হে প্রভু ! তাঁর ভালোবাসাকে পুঁজি করেই জীবন কাটানোর তৌফিক দিন। তাঁর পদাঙ্ক অনুস্মরণ করে আমরণ চলার তৌফিক দিন। মদীনা অলার প্রেমানলে জ্বলে জ্বলে নিজকে নি:শ্বেষ করার তৌফিক দিন। আমীন।।

বিষয়: বিবিধ

১২৩৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

340613
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : মুরীদভাই, আমি কি তাহলে আমার পীরের সিনার সাথে পিঠ মিলাতে পারবো?

অনেক সুন্দর বিষয় জানলাম। আমার পীরসাহেবে কে বলতে হবে। তার সীনার সাথে আমার পীঠ লাগাতে হবে। পীরের সাথে প্রেম করতে হবে।

মুরীদভাই, আপনি কি ফানাফিশপীর হতে পারছেন? আমি প্রায় কাছাকাছি। স্বয়নে স্বপনে পিরের খেয়াল ছাড়া কিছুই নাই। এইতো অল্পসময়ের মধ্যে ফানাফিশপীর হলেই পরে ধাপ ফানাফিরাসুল তার পরেই ফানাফিল্লাহ। আহ্ কি দারুন ভাবতেই অন্তর কেপে উঠছে।

তোমার পীর আমার পীর চরমোনাই চরমোনাই।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৪
282049
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : তাের মত আহলে হদস আর মউদুদী পূজারির দিলে বক্রতা ছাড়া কিছুই দেখছিনা ।তুইকি সব জায়গায় এরকম আচড়ন করে থাকস।তোর জন্মগত সমস্যা আছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৮
282050
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : তাের মত আহলে হদস আর মউদুদী পূজারির দিলে বক্রতা ছাড়া কিছুই দেখছিনা ।তুইকি সব জায়গায় এরকম আচড়ন করে থাকস।তোর জন্মগত সমস্যা আছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৫
282057
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : অপ্রিয় সত্য কথা@ আপনি এভাবেই কি অপ্রিয় সত্য কথা গুলে বলে দেন।মা-শা আল্লাহ ।আল্লাহ আপনার কলমকে শানিত করুন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০১
282063
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : বাহ! বাহ! বাহ! মুরিদভাই, আহলে হদসদেরকে আমিও পছন্দ করিনা।

আমরা দুজন মুরিদভাই, মোদের পীর চরমোনাই।
চলুন দুজলে গলা মিলাই, একই সুরে গান গাই।
তোমার পীর আমার পীর চরমোনাই চরমোনাই।

অপ্রিয় সত্যকথা বলি মুরিদভাই, মিয়াজি নামে চেঞ্জ চাই।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৬
282066
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আপনার মত র্মূখর সাথে কথা বলতেও বিবেকে বাঝে।


সারাদিন কয় ঘন্টা ডিউটি করেন অনলাইনে? বেতন কেমন?
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৭
282069
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : পীর সাহেব বলেছেন বেতন না নিয়েই তার প্রচার করতে। চরমোনাই আমার আস্তানা চরমোনাই আমার ঠিকানা।

মোরাতিনজন মুরিদভাই একসাথে থাকতেচাই।
আপনারা দুইজন সরি একজন আমাকে সয্য করতে পারছেন না কেন?

আমি কিন্তু পীরের কাছে নালিশ করবো।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
282071
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আপনার আসলে কোথায়ও সমস্যা আছে।:Thinking
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৬
282072
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : পীরের সিলসিলা পেয়েছি মুরিদভাই।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
282073
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আল্লাহ আপনার দিল থেকে বক্রতা দূর করে দিক ।আমিন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
282074
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আমার পীরসাহেবের জন্যও একই দুআ করবেন।
340615
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৫
282058
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : শুকরিয়া।
340624
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
জাইদী রেজা লিখেছেন : চমৎকার লিখা । হৃদয় ছুঁয়ে যায় । অসংখ্য ধন্যবাদ ।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৫
282059
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : শুকরিয়া।
340639
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২৪
ফরিদুল ইসলাম তুষার লিখেছেন : আল্লাহু আকবার!!!
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
282060
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : শুকরিয়া।
340643
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৮
অপ্রিয় সত্য কথা লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ,উনারা ছিলেন আশেকে রাসুল সা.।যাদের জান মাল উৎসর্গ ছিল আল্লাহ ও তারঁ প্রিয় রাসুল সা.।হে আল্লাহ !আপনি আামদেরকে সাহাবা রা. এর মত কবুল করুন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
282061
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আমিন । ঠিক বলেছেন। শুকরিয়া।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৫
282065
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : মুরদিভাই, আপনি বললেন: "জন্মগত সমস্যা আছে।" তো অন্যকে গালিদিলে মুনাফিকি হয় ও অন্যর বাবামাকে গালি দিলে নিজের বাবা মাকে গালি দেয়া হয়।
এটি আমার পীরসাহেব বলেছেন।

তোমার পীর আমার পীর চরমোনাই চরমোনাই।
340762
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। রসুল ( সঃ ) এই ঘটনাটির তথ্য দেয়া উচিত ছিলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File