ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে -পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:৪৯:২২ দুপুর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, আল্লাহর উপর থেকে পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেওয়ার কারণেই দেশে এই অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আজ সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেওয়া হয় এবং সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, কুদরতে ক্ষুদা শিক্ষা ব্যবস্থা তথা ইসলমী শিক্ষাকে বাদ দিয়ে একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চায়।
তিনি বলেন, ইসলামকে মুছে ফেলার জন্য নাস্তিক-মুরতাদ ইসলাম বিদ্বেষীরা ঘরে বসে নেই। তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করছে। অথচ আমরা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করি কিন্তু তাদের মোকাবেলার প্রস্তুতি না নিয়ে ঘরে বসে থাকি। তাই তিনি সকলকে ইসলামী আন্দোলনে শরিক হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।
রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ফজলুল উলুম মাদরাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে ওলামা ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আহমাদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান আব্দুল খালেক। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কুষ্টিয়া জেলা সহ-সভাপতি মুহা. আমিনুল ইসলাম মুলতান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. আব্দুল জলিল, প্রশিক্ষন সম্পাদক মাও. আব্দুস সালাম, সাবেক সেক্রেটারি মুহা. আব্দুল্লাহ আখন্দ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক নাজমুছ ছলিহীন বিন মোহাম্মদ, মাও. ফিরোজুল আলম, মাও. ইব্রাহীম কাসেমি, মাও. শামসুল হক, মুফতি রবিউল ইসলাম সহ অন্যান্য উলামায়ে কেরাম।
বিষয়: বিবিধ
৩৫৭২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাদের জন্য । এখনই কি শুরু করে দেবেন নাকি ?
আমারে কেউ মাইরালা
যে কোটি কোটি লোক কে ভ্রান্ত করে নাকি যে শুধু নিজে ভ্রান্ত ?
এরপরেও আমাদের কথা মানুষ ভূলের উর্ধ্বে নয়।
কিন্তু মালাউনের গোস্ঠি আমাদের সাথে বহসে না বসে পিছনে মিথ্যাচার করে বেড়ায়!
কোরআন হাদীসের আলোকে উত্তর না দিতে পারলে "মুয়াল্লিমুল মালাইকা মালাউনে" ফতোয়া আপনার পশ্চাত্'দেশে এ ঢুকিয়ে দেয়া হবে।
শয়তানের ওলীদের সাথে বাহাজে পারা যাবেনা ।
আমি যা উদ্বৃতি দিয়েছি আগে সেইগুলার উত্তর দেন কোরআন ,হাদীসের আলোকে।দেখি আপনার আর পীরবাবা চর্মরোগী গোষ্ঠীর ক্ষমতা কত।অন্যথায় ধর্মের মধ্যে নতুনত্ব ঢোকানোর জন্য শয়তানের ওলী চরমোনাই কে ঐ জাহান্নামে ঢোকানো হবে ।
মালাউনের গোস্ঠি সাহস থাকলে বস ?কোথায় কবে বসবি বল?
এদেরকে নাকি আবার কিছু বল্লে তাঁর উপরে আল্লাহ্ পাকের গজব নাজিল হয়।[বয়ানে শয়তানের ওলী]।সহীহ্ হাদীসের আলোকে এই জিকিরের ব্যাখা চাই।
যাইহোক ,আপনি থেকে যখন তুই তে নাইমা আসছেন তখন মনে প্রশ্ন ঘোরপাক খাওয়া শুরু করছে ,মালাউন শব্দের অর্থ কি ?
এটা কি কোন মুসলমান কে ব্যবহার করা বৈধ ?
নাকি চরমোনাইয়ের বিরোধীতা করলে সেই মালাউন বলে গণ্য হবে ?
প্রশ্ন নাম্বার ২ ,
আল্লাহ্ পাক ১২৬ তরিকা মানতে বলেছেন নাকি ১টি তরিকা মানতে বলেছেন ?
হাদীস কোরআন মানবো নাকি চরমোনাইয়ের লেখা বইয়ের বয়ান মানব ?
পীর সাহেব আমাকে ২ ডানা ধরে জান্নাতে নিতে পারবে এমন একটা গ্যারান্টি চাই আল-কোরআন এবং সহীহ্ হাদীসের আলোকে ।
পীরবাদের হাজার দলে বিভক্ত হব নাকি কোরআনের আয়াত অনুসারে সকল মুসলমান গ্লোবালাইজেশনের মত একই ছাতার তলে আসব ?
পবিত্র কোরআনে সূরা আল ইমরাণের ৩নং আয়াতে বর্ণিত আছে ,
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ,আল্লাহ্'র রজ্জু কি চরমোনাই তরিকা নাকি আলকোরআন ?
প্রশ্ন নাম্বার ৩,আচ্ছা চরমোনাইয়ের বইতে লেখা আছে তাদের তরিকার কোন পীর সাহেব নাকি কুম বিইজনি বইলা কারে জীবিত করছিল।হেহেহে হেসেই মরি ছাগল কি আর গাছে ধরে ?
এই খোদায়ী শক্তি তিনি কোথা থেইকা পাইছিল?
ঈসা বা যিশু আঃ মানুষ জিন্দা করত আল্লাহ্'র ইচ্ছায় অর্থাত্ কুম বিইজনিল্লাহ্ বলে কিন্তু ঐ পীর করল নিজে উহা কেমনে কি ?
পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে এইটার উত্তর চাই ।
মূসা আঃ ও রাখালের ঘটনাটা তিনি কোথায় পাইল ?
কোরআন কিংবা সহীহ্ হাদীসে নাকি নিজেরাই তৈয়ার করছে ?
শেষকথা হল ,আপনি আমার দ্বিনি ভাই ,আপনার উচিত্ শুধুমাত্র সহীহ্ হাদীস ও কোরআন কে মানা ।কোন পীর জান্নাতে নিতে পারবেনা আপনি কোরআন পড়ুন তাহলেই শয়তানের ওলীদের মুখোশ আপনার সামনে উন্মোচন হবে।আপনি হানাফি মাজহাবের বোঝা যায়,দেখুনতো ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি এমন কোন কথা বলেছেন কিনা ?
আমি জানিনা ,আপনার সম্পর্কে তেমন ভাল জানা নাই আমার।তবে আপনার লেখার একজন পাঠক আমি।
আমি জানিনা ,আপনি আমাকে সংশোধন করতে এসো এভাবে আক্রমনত্বক ভাষা কেন প্রয়োগ করলেন??তাই আমার মনে প্রথম প্রশ্ন জাগলো আপনার কাছে ,আপনার এই কাজটি কুরআন-হাদিসের আলোকে সহী নাথাকুক কোন জয়ীফ হাদিস দিয়ে দয়া করে প্রমান করুন।
#পীর সাহেব চরমোনাইকে আপনি নাস্তিকের চেয়ে নগন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন!!!
আমার অবাক লাগে ,আপনি আবার আমাকে কিছু কুরআন-হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছেন ,যা আপনার মনমত হয়েছে!!!
#আপনি প্রথম কমেন্টে জগাখিচুড়ি করে ফেলেছেন দেখে আমার বুঝে এসেছে যে আপনার চরমোনাই সর্ম্পকে তেমন কোন জানা-শুনা নাই।
#আমি আমার কমেন্ট যে মন্তব্য করেছি ,তা কিন্তু আপনার জন্য নয়।বরং চরমোনাইর পক্ষ থেকে বার বার জবাব এবং সংশোধনের জন্য আহবান জানানোর পরেও তাদের সাথে না বসে পিছনে মিথ্যাচার করে যারা তাদেরকই আমার উদ্দ্যেশ্য ছিল।অহেতুক কস্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন সেই আশাই রাখি।
#পরবর্তী কমেন্টে আপনি যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন ,তা একজন সাধারন মুসলমানের ভাষাও হয় না।
#আপনি পীর সাহেব কে শয়তানের ওলি বলেছেন!!! এখানেই ক্ষ্যান্ত হননি উনাকে সোজা জাহান্নামে ঢুকাবেন !!!যা আল্লাহ ব্যাতিত কারো পক্ষে সম্ভব নয় ,তা আপনি পারেন????????????
###আপনি আপনার শেষ কমেন্ট এসে আপনার মন-মানষিকতার পুরা পুরি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন।আবার শেষে দ্বীনের দায়ীর সুরত গ্রহন করেছেন !!!আপনার জন্য আফসোস হয়।
এই কি আমাদের ইসলাম??এই কি দায়ী??? ছি: !
এবার আপনার জবাব ।রুচিতে কুলায় না ,তারপরেও দিলাম।
#চরমোনাইর বিরোধীতা করলেই মালাউন হয় না।সত্যকে জেনে না জেনে মিথ্যাচার করাই মালাউনের খাসলত।(বিস্তারিত সময় নাই)
#১২৬ তরিকা আল্লাহ পাক মানতে বলেন নাই,কোন পীরও বলে নাই। পীর কাকে বলে, কি জিনিষ, কেন দরতে হয় ,তা হয়তো আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন ।
#যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কুরআন-হাদিস মানতে হবে।আর চরমোনাই বই যদি কুরআন হাদিসের বাহিরে হয় তাহলে কেন মানবেন???
পীরসাহেব নিজেই জান্নাতে যাবেন এই গ্যারান্টি কি দিবে ??আর যদি কোন হক্কানি বুযুর্গ আলেম -ওলামা জান্নাতে যায় ,আল্লাহ পাক একজন জান্নাতির সুপারিশে আল্লাহর অনেক বান্দা-বান্দীকে জান্নাতে নিবেন ।ইহা প্রমানিত।
#পীরবাদই কি শুধু হাজার দলে বিভক্ত করেছে?? আর কোন ফেরকা কি আপনি দেখেন নাই।চরমোনাই পীর সাহেব এমন কি ফেরকা করলো???
#ইহা একটি বুযুর্গের কারামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ,যা উনার নিজের কোন কথা নয়।আর এই সকল বইয়ের অধিকাংশ লেখা মায়রুপে মাসনবী থেকে নেওয়া।
সময়ে স্বল্পতার কারনে বিস্তারিত লিখতে পারলাম না।
আসলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী যে আপনার সাথে একেবারেই জঘণ্য আচরণ করেছি ।আশা করি আপনি আমায় ক্ষমা করে দিবেন আর মুসলমানরা এক ভাই আরেক ভাইকে ক্ষমা করতে ১ সেকেন্ড ও সময় নেয়না বলে আমার বিশ্বাস।আপনি আমাকে মুয়াল্লিকা মালাউন বলেছেন এজন্যই আমি ক্ষেপে গিয়ে এরকম উগ্রতা দেখিয়েছি যা আমার উচিত্ ছিলনা।আল্লাহ্ আপনার ভাল করুন ।যাইহোক আপনি পীরের মুরিদ হয়ে এখনো ভ্রান্তিতে আছেন আশা করি কোরআন এবং সহীহ্ হাদীস পড়লে আপনি ফিরে আসবেন সঠিক পথে কেননা আপনি জ্ঞানী আর চরমোণাই ,ছারছিনারা বিদাআতি।যারা দ্বিনের মাঝে নতুনত্ব ঢোকায় তাদের সম্বন্ধে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলআমিন কি বলেছেন সেটা আপনি নিশ্চই জানেন ।
দেখুন আমি যেই এলাকাটিতে বাস করি এখানে ২৩,০০০ জনগণের ৯৫%ই চরমোণাই সাহেবদের মুরিদান।আমার পিতা চরমোণাই হুজুরের মুরিদ ছিল এখন চরমোণাইয়ের ইসলামে তাঁর ধারণা বিরুপ হয়েছে।আমার বন্ধু মোহাম্মাদ অপু গাজী ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের বা.গঞ্জ(স্থানটা সংক্ষিপ্ত দিলাম নিজের সিক্যিইউরিটির জন্য) প্রচার সম্পাদক ।আমি একসময়কার তাঁর ভক্ত এবং আওয়ামিলীগ যে বছর জয়ী হোল সে বছর আমি আমার এলাকা থেকে একা মাঙনা তাঁদের নির্বাচনী পোস্টার লাগিয়েছিলাম। তাঁদের দুটো বই পড়েছি ।প্রকাশ্যে তাঁর ওয়াজ মাহফিল শুনেছি।আমাদের বাসার পাশেই তিনি প্রতিবছর সিজনাল দ্বীন প্রচারে আসেন ।তাঁর একজন ভক্ত নব মুসলিম সিরাজুল ইসলাম সিরাজী সাহেব আমাদের এলাকাতে প্রায়ই ১০হাজার টাকার কন্টাক্ট করে আসেন(দশ হাজার না দিলে নাই) ,তাঁকে আমরা দশ হাজার টাকার হুজুর ডাকি ।এরপর ও কি বলবেন আমি তাঁর সম্বন্ধে কিছুই জানিনা ?
উনি শয়তানের ওলী এতে কোন সন্দেহ নাই ।কারণ কোরআন হাদীস বহির্ভূত কথা যারা বলে ,ধর্মের মাঝে নতুনত্ব যারা ঢোকায় তাঁরাই তো শয়তানের ওলী।একটা জয়ীফ হাদীসের উদ্বৃতি দিয়ে তাঁরা জিকিরের সময় লাফালাফি হালাল করে নিয়েছেন ,আল্লাহ'র সাথে স্ত্রীর মত প্রেম করা জায়েয করে নিয়েছেন(নাউযুবিল্লাহ্),ছয় লতিফার জিকির ,মানুষ জিন্দা করা ,পীর সাহেব কবরে বসে মুরিদানের খবর নেন,মুসা আঃ এর নামে বেয়াদবি মূলক সাজানো ঘটনা ইত্যাদি মিথ্যা এবং বেয়াদবি যাঁরা ধর্ম হিসেবে ইসলামে ঢুকিয়েছেন তাঁদের শয়তানের ওলী নয় তো কি বলা যায় ?মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে দুই প্রকার ওলীর কথা বলেছেন ১.আল্লাহ্ এর ওলী ২.শয়তানের ওলী ।আল্লাহ্ এও বলেছেন যে ,নিশ্চই শয়তানরা তাঁর ওলীদের কাছে ওহী পাঠায় ।আর ভাই আপনার বোঝায় সমস্যা হয়েছে আমি তাঁকে জাহান্নামের সার্টিফিকেট দিয়েছি যে সে জাহান্নামে যাবে ।আমি বলেছি তাঁর জাহান্নামে যেতে হবে ।আর এটা আমার ধারণা তাদের দ্বীন প্রচার দেখে।কে জাহান্নামে যাবে সেটা তো আল্লাহ্ই বলেছেন এটা নির্ধারিত ,শিরক কুফরীকারী ,বিদাআতিরা আর পাপাচারকারীরা ।
মালাউন তো তাঁদের বলা যাবে ,যারা শিরক কুফরি করে ।আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করে কোরবানী দেয়।
আপনাকে চরমোণাই সাহেবের "মাওয়াআজে কারীমিয়া" বইটি পড়ার অনুরোধ করলাম ।সেখানে "লেখকের কথা "তে ১২৬তরিকার বয়ানের কথা উল্লেখ আছে।মারেফত নামক বিদাআতি কথাবার্তায় ভরপুর ।
একেবারেই খাঁটি কথা ।তাইলে আপনার মাওআজে কারীমিয়া সহ এসহাক সাহেবের ভেদে মারেফাত বা ইয়াদে খোদা বইটি পড়া উচিত্ ।এসহাক সাহেবের বইতে যে হাদীসগুলো উদ্বৃতি দেয়া হয়েছে তাঁর অধিকাংশ হাদীসই জয়ীফ এবং জাল ।আর কোরআনের আয়াত যা আছে তার প্রত্যেকটার অপব্যাখা করা হয়েছে ।
ভাই আমার এটা কিভাবে প্রমাণিত সত্য দয়া করে সময় পেলে এ নিয়ে একটা সিরিজ প্রকাশ করে আমাকে দাওয়াত করুন আমি আমার ভুল সংশোধন করব ।তবে আমি এটুকু নিশ্চিত যে একমাত্র আল্লাহ্'র অনুগ্রহ ছাড়া আর নবী সঃ এর সুপারিশ ব্যতিত কোন মানুষ ও জান্নাতে যাবেনা ।এমন কি রাসুল সাঃ ও আল্লাহ্'র দয়া ছাড়া জান্নাতে যাবেনা তবে ইনশাআল্লাহ্ তিনি যাবেন ।
ভাই আমার কোন বুযুর্গই কারামতির উর্ধ্বে মোজেযায় উঠতে পারবেনা এটা কোরআন হাদীস থেকে প্রমাণিত।আর ভাই বুযুর্গ বলতে কি বোঝাচ্ছেন ?
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুযুর্গ তো শয়তান ।
মসনবীর ঘটনাটা কি কোরআন হাদীসের আলোকে দেয়া নাকি বানিয়ে লেখা?
কুম বিইজনিহ বলে তো নবী হয়ে ইসা আঃ ও কাউকে জীবীত করেন নাই তিনি এ খোদায়ী শক্তি কোথায় পাইলেন ভাই আমার ?
ভেদে মারেফত বা মাওয়াযে কারিমার কোন ভূল গুলি আপনার নজরে এসেছ আমার জানা নাই।
বাকি পীর সাহেব হুজুরের মাহফিল যদি আপনার বাসার কাছে হয়ে থাকে ,তাহলে কেন আপনি কেন তাকে জিজ্ঞাসা করেন নাই।
সীমা লংঙ্গনের ক্ষেত্রে আপনি আল্লাহ কে ভয় করুন।
আপনি পীর সাহেব চরমোনাইর শানে যে দরনের আচরন প্রকাশ করেছেন একজন কাফেরের ব্যাপারেও এ দারনা পোষন করা জায়েয আছে কিনা আমার জানা নাই।
আপনার হয়তো জানা আছে যে পীর সাহেব হুজুর প্রতি মাহফিলে বলে থাকে ,আমাদের যদি কোন ভূল হয় ,তাহলে দরিয়ে দিন আমারা কুরআন - হাদিসের আলোকে শুধরে নেবো।এবছর দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রদান মুফতি মাহফিলে এসেছেন ।উনি গোটা মাহফিলে কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেছেন এবং শেষ বলেছেন -চরমোনাই তরিকা বিলকুল সহী ।এখন আপনার কথা মানবো নাকি মুফতি সাহেবের ফতোয়া মানবো??? নাকি আপনি তাকেও নাস্তিক বানিয়ে ফেলেন তা দেখি। নাকি আপনি তার চেয়ে অনেক বড় আলেম?
আমি কি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং কি মিথ্যাচার করেছি আশা করি হাতেনাতে ধরিয়ে দিবেন ।আমার দেয়া উদ্বৃতি যদি ভুল হয় তাহলে আমি নিজেই পীর সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইব অন্যথায় পীর সাহেব সমগ্র মুসলিমের কাছে ক্ষমা চাইবে গোমরাহ করার জন্য ।
দেখুন আমি যদি তাঁর ভুল ধরিয়ে দিতে উঠি তাহলে কি আমি আস্ত থাকব ?
আমাকে তো তার ভক্তরা পিটাইয়া মেরে ফেলবে ।
এক্ষেত্রে আমি তাঁর পিছনে বসে সমালোচনা করছি এবং রাসুল সাঃ এর নির্দেশ মানছি কেননা তিনি বলেছেন ,অন্যায় দেখলে সরাসরি প্রতিবাদ কর ,তাও যদি না পার তাহলে কথার মাধ্যমে তার সমালোচনা কর ,যদি মনে কর তাও তোমার দ্বারা সম্ভব নয় তাহলে পেছনে বসে সমালোচনা কর ,আর যদি তাও না পার তাহলে অন্তর থেকে ঘৃণা কর ।
দেখুন ,বিদাআত করলে শয়তান কুফরির চেয়েও বেশি খুশি হয় কারণ যে বিদাআত করে সে ধর্ম মেনেই করে ।যদি তাঁর কঠোর সমালোচনা না হয় তাহলে এটা সে শুধরে নিবে কি করে ?
আচ্ছা আপনি আমার কথায় কতটুকু শুধরেছেন জানতে ইচ্ছে হয় তাহলেই বুঝব ।
দেওবন্দ তো নিজেই একটা বিদাআত যারা ওয়াহাদাতুল উযুদ এর আক্বিদা নিয়ে ঘুরাফিরা করে ।
আবার ও সেই তরিকা টানলেন ।এখানেই দেখা যাচ্ছে যে দেওবন্দরা আপনাদের তরিকা চরমোণাই সহীহ্ বলে গেছেন ।আমাদের ইসলাম সহী এ বক্তব্য দিয়ে যাননি আর মুসলিমদের তরিকা তো একটাই সেটা ইসলাম ।সুপারিশকারী ও ঐ একজনই নবী মুহম্মদ সাঃ।
আমার কথাও না ,মুফতির কোরআন হাদীসের বাইরের ফতোয়া ও না আপনি মানবেন কোরআন হাদীস ।
নাস্তিক নয় বরংচ বিদাআতি বানানো যাবে কারণ দেওবন্দের একটা আক্বিদা হল আপনি কোন কিছু আল্লাহ্ মেনে সেজদা করলে সেটা আল্লাহ্ কে সেজদা করা হবে।
আমি যে আলেম একথা আপনাকে কে বল্ল সেটা আগে বলুন?
নিজেকে নিজে আলেম বলা তো জাহেলের কর্ম ।
ভাই জবাব তো আমি দেব না ।জবাব দেওয়ার কথা আপনার ।কেননা আপনিই তো বলেছেন ,ওরে মালাউনের গোস্ঠী কোথায় বসবি বল ?
আমি বসে গেলাম ।আপনাকে যে প্রশ্নগুলো করলাম একটাও কোরআন হাদীসের আলোকে দেন নি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন