ইসলাম ও মুলমানদের সোনালী ইতিহাস : আমরা সেই সে জাতি !
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৪ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৪২:০০ দুপুর
#ইসলামের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মিশর বিজয়ী সেনাপতি আমর ইবনুল আস তখন মিশরের প্রাদেশিক গভর্নর। তাঁর শাসনে মিশরের জনগণ বেশ শান্তিতেই কাটাচ্ছিল। কিন্তু তাঁর একটা বেয়ারা ছেলে তাঁর ন্যায় পরায়নার সুনাম প্রায় নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছিল। সে যখনই যে রাস্তায় বের হত , সবাইকে নিজের চালচলন দ্বারা বুঝিয়ে দিত যে, সে কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং রাজার ছেলে।
#একদিন সে জনৈক মিশরীয় দরিদ্র খৃস্টানের ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারল। দরিদ্র মিশরীয় গভর্নরের কাছে তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস পেল না। তাই নীরবে হজম করলো। কয়েকদিন পর তার জনৈক প্রতিবেশি মদীনা হতে ফিরে এসে জানালো যে, মুসলিমদের খলিফা ওমর অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ শাসক। তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করেন এবং কেউ কারো ওপর যুলুম করেছে জানলে কঠোর শাস্তি দেন।
#এ কথা শুনে ঐ মিশরীয় খৃস্টান একটি উটের পিঠে চড়ে দীর্ঘ সতেরো দিন চলার পর মদীনায় খলিফার কাছে পৌছলো এবং গভর্নরের ছেলের বিপক্ষে মোকদ্দমা দায়ের করলো। হযরত ওমর তৎক্ষণাত হযরত আমর ইবনুল আস এবং তার ছেলেকে মদীনায় ডেকে আনলেন। অতঃপর বিচার বসলো।
#সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা হযরত আমর ইবনুল আসের(রা) ছেলে দোষী প্রমাণিত হলো। খলিফা ওমর(রা) অভিযোগকারীর ছেলেকে দেখিয়ে বললেন, সে তোমাকে যেভাবে যে কয়বার প্রহার করেছে তুমিও সেই কয়বার তদ্রুপ প্রহার কর। ছেলেটি যথাযথভাবে প্রতিশোধ নিল।
#তারপর খলিফা বললেন, “প্রজারা শাসকের দাস নয়। শাসকরা প্রজাদের সেবক। প্রজারা ঠিক তেমনি স্বাধীন যেমন তাদের মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হবার সময় স্বাধীন ছিল।”
এটাই হচ্ছে ইনসাফ,আর এই ইনসাফের নির্দেশ আল্লহ মুসলিমদের প্রতি দিয়েছিলেন কুরআনে,
#হে ঈমানদারগণ ! ইনসাফের পতাকাবাহী ও আল্লাহর সাক্ষী হয়ে যাও, তোমাদের ইনসাফ ও সাক্ষ তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তার অথবা তোমাদের বাপ-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে গেলেও৷ উভয় পক্ষ ধনী বা অভাবী যাই হোক না কেন আল্লাহ তাদের চাইতে অনেক বেশী কল্যাণকামী৷ কাজেই নিজেদের কামনার বশবর্তী হয়ে ইনসাফ থেকে বিরত থেকো না৷ আর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো পথ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন৷ (সূরা আন নেসাঃ১৩৫)
#আল্লাহ আমাদের কত সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন ইনসাফ করতে হবে যদিও নিজেদের বিপক্ষে যায় আর এতেই কল্যাণ।আমরা বেইনসাফি করি নিজেদের কল্যাণের লক্ষেই কিন্তু তাতে কল্যান আসে না।কারন কল্যাণ অকল্যাণের মালিক আল্লহ।এরপরো না বুঝলে কিংবা বুঝেও অন্যায়ের পক্ষ যে নিবে সে নিজের অকল্যাণের জন্য নিজেই দায়ী।
বিষয়: বিবিধ
১২২৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন