মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যা সরকারের নতজানু নীতির ফসল : পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০২ জুন, ২০১৪, ০৩:৪৬:০৮ দুপুর
$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্তে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের অতর্কিত গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশী শত শত নাগরিক হত্যার পর এখন মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রহরী বিজিবি সদস্য খুন করার মতো দু:সাহস দেখিয়েছে মিয়ানমার। ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ায় মিয়ানমারের বিজিপি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড জওয়ানদের হত্যার সুযোগ পেয়েছে। সুবেদার মিজান হত্যার বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে সরকারকে।
তিনি আরো বলেন, অতীতের ইতিহাসকে ধারণ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনোক্রমেই কাপুরুষের পরিচয় দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জনে জীবন ও রক্ত দিতে পারে সে জাতিকে পৃথিবীর কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না।
তিনি অত্যন্ত আক্ষেপ করে বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ মিজানের লাশ নিতে এসে অক্ষত অবস্থায় ফিরে গেলো কিভাবে? তখন বিজিবি জওয়ানরা কি ভুমিকা রেখেছে? বিজিবি’র এহেন ভুমিকা বাংলাদেশকে লজ্জাস্কর অবস্থা ফেলেছে।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে। আর এজন্য বিজিবিকেই শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। পলায়নকারী বা কাপুরুষিত ভুমিকা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। তিনি অবিলম্বে মিয়ানমার সীমান্তে হত্যাসহ ভারত সীমান্তে সকল হত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সীমান্ত রক্ষায় এদেশের নাগরিকরা রক্ত দিতে প্রস্তুত তবু ভারতের আধিপত্য স্বীকার করতে রাজি নয়।
বিষয়: বিবিধ
১১৬২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১৯৯২ সালে ও ২০০০ সালে মিয়ানমারের সীমান্তে বিডিআরের যুদ্ধ কৌশলের কাছে বার্মিজ সেনাবাহিনী চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। ২০০০ সালে নাফ নদীতে বর্মার ২ ডিভিশন সৈন্যের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আলম ফজলুর রহমানের নির্দেশে বিডিআর মাত্র ২৫০০ সৈন্য দিয়ে তিন দিন বিরামহীন গুলিবর্ষন করে। সেই যুদ্ধে মিয়ানমারের ৬ শতাধিক সৈন্য নিহত হবার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিনাশর্তে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়।
কেবল বর্মার সাথেই নয়, রৌমারী পাদুয়ার যুদ্ধে বিডিআর শত শত ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীকে হত্যা করে। তার বদলা হিসাবেই ২০০৯ সালে ভারত সন্ত্রাসী হামলা করে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা করে বিডিআরকে ধংস করে। ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে হাসিনা বিজিবি গঠন করলেও শুরু করে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার। বিজিবি কাজ যেখানে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা, চোরাচালান প্রতিরোধ করা, সেখানে রাজনৈতিক কারনে বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক হত্যায় সরকারকে করে বিজিবি। কক্সবাজার, লক্ষীপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে, এমনকি শাপলা চত্তরে নিরিহ আলেম ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র হত্যা করে বিজিবি মানুষের বদদোয়া কুড়ায়। রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করে বিজিবি পেশাদারিত্ব ধংস করে দিয়েছে হাসিনা। যুদ্ধ তো দূরের কথা, এখন আর বিজিবি নিজের আত্মরক্ষা করতেও পারে না।
এভাবে অপরাজনীতিতে ধংস হয়ে যাচ্ছে একেকটি বাহিনী। হাসিনা হলো দেশের এক নম্বর শত্রু! এটাকে খতম না করলে দেশ ঠিক হবে না, দেশের ভূমি রক্ষা পাবে না।
যাক খুশী হলাম । অন্যদের থেকেও অনুরুপ আশা করি । তবে এখানেও কিন্তু থাকতে পারে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন