কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ুন -পীরসাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৩:১৬ বিকাল
হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও বিশ্বনবীর (সানির্দেশিত সুন্নাহর আলোকে শরীয়ত
অনুযায়ী জীবন পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমেই কেবল মানুষ পরকালের ভয়াবহ আযাব থেকে মুক্তি এবং জান্নাতের অসীম শান্তি লাভ
করতে পারবে। অন্যথায় দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানে মানুষের বরবাদি ছাড়া আর কিছুই নেই।
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ
মাহফিল ও হালকায়ে জিকির উপলক্ষে শুক্রবার বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন।
তিনি বয়ানে ভক্ত-মুরিদ ওশুভাকাক্সক্ষীদের উদ্দেশে নামায,পর্দা পালন, দান-
সাদাকা এবং সর্বক্ষেত্রে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার নির্দেশনা দেন। তিনি ধর্মপ্রাণ সকল মুসলমানকে নবীপ্রেম ও রাসূলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জীবন ও সমাজ গড়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
মাহফিলে আরও বয়ান পেশ করেন শায়খুল হাদীস আল¬ামা শেখ আহমদ,
আল¬ামা মুফতী মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, হযরত মাওলানা ছগীর নোমানী, মাওলানা নুরুল করীম বেলালী, হযরত মাওলানা আবু বকর, হযরত মাওলানা আবদুল¬াহ প্রমুখ।
আধ্যাত্মিক সংগঠন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে উক্ত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে পীর সাহেব চরমোনাই ও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করছেন।
শনিবার সকালে আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।
এদিকে মাহফিলকে উপলক্ষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম
মহানগরের উদ্যোগে মাহফিলস্থলে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি চলছে। মানবতার সেবায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন কর্মসূচির পরিচালক ও মহানগর জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বিষয়: বিবিধ
২৩৫৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেই জন্যইতো বলি আসে বসি,কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক আমরা দেখে নেই।
ভেদে মারফত একটি সাধারন বই।এখন মানুষের পালনীয় বা বর্জনীয় এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ্য নয়।এবং কাউকে পড়ার জন্য বাধ্য করা হয় না।শুধু মাত্র তরিকার লাইনে বুযুর্গানে দ্বীনের কিছু ঘটানা উল্লেখ করা হয়েছে।তাও মায়ারফে মাসনবি সহ বিভিন্ন বই থেকে।
অথচ এই আপনারাই রুমী রহ. নিয়ে কত ডল-তাবলা বাজিয়ে বিভিন্ন নামে -বেনামে তাকে বিক্রি করে খেয়ে থাকেন।
সেই রুমীর লেখা গুলি অন্য কেউ একটি কম-বেশি ব্যাখ্যা করে দেওয়াই আপনাদের মাথা ব্যাথা।
অন্য দিকে গোমড়া মউদুদী ইসলাম,মুসলমান নিয়ে অনেক এমন অপব্যাখ্যা করেছেন,যা ইসলামের সাথে পুরাপুরি সাংঘষির্ক ।এমন কি ইসলাম ও মুসলমানের ইতিহাসে এত নোংরা অপব্যাখা কোন কাফেরও করে নাই যা মউদুদী করেছে। সেই মউদুদীর ভ্রান্ত লেখা গুলি আজ মউদুদী অনুসারিদের জন্য সাংগঠিনিক ভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অথচ মউদুদী এবং তার অনুসারিদেরকে আমাদের উপমহাদেশ সহ সারা পৃথিবীর আহলে হক্ব আলেমগন ভ্রান্ত বলেছেন এক বাক্যে। এই সকল ভ্রান্ত মত পথেরই আপনি যে একজন অনুসারি এতে কি কোন সন্দেহ আছে??
টাকা বুঝেনেন।
”তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোর পূর্বক রুহ নিয়ে আসছি” (নাউজুবিল্লাহ)
যে কাজ রসুল (সা) কখন করার চিন্তাও করেননাই তা চরমনাই করে চিন্তা করেন কি পরিমান ভুশি মাথায় আছে।
যাহোক এটলিস্ট ভূশি গুলো গরু/ছাগলের খাদ্য হবে।
খন্ডিত বক্তব্য দিয়ে মানুষের মাঝে এখন আর বিভেদ সৃস্টির দিন নাই।মানুষ এখন সতকৃ।
বেশ ভালই উন্নতি তবে মুরিদ গুলোর কি হবে???
আর আপনারা তো হলেন আহলে খবিস।
এই কথা যিনি লিখেছেন উনি আবার বুর্জগ হয় ? কাউকে পড়ার জন্য বাদ্য করুক বা না করুক । সমস্ত আলেম যেই ভাবে মওদূদীর লিখার বিরোধীতা করেছে তেমনি যেই কেউ কোরান সুন্নাহ এর অপব্যাখ্যা করলে বিরোধীতা করবে এইটাই নিয়ম । রাসুল(সাঃ)বলেছেন যারা দুই জিনিস ধরে রাখবে তারা পথ ভ্রষ্ট হবে না । ১টি হল কিতাবূল্লাহ ও ২য় হল সূন্নতে রাসূলূল্লাহ । এই দুইটি বাদ দিয়ে আপনি মারফৎ ধরেন বা বাপের পথ ধরেন বা পীরের ধরেন কোন লাভ নেই । ধরতে হবে কোরানের পথ হাদীসের পথ । কোন ব্যাক্তি এসে বলল আল্লাহ দরবার থেকে জান কেড়ে এনে জীবিত করেছি । আমি বূর্জগ !আর চোখ বন্ধ করে কেউ না মানলে তাকে মওদূদী বলে গালি দিবেন ? এইটার নাম ইসলাম প্রচার নয় । আপনি কোরান বা হাদীসের ডকুমেন্ট দিতেন ভাল হতো । নাস্তিকরা কোরানকে গালি দিলে গা জলে আর আপনাদের কাজগুলির কোরানের ডকুমেন্ট চাইলে ও মাথা খারাপ হয়ে যাই । এইটা বুঝলাম না ।।
আমি যা বলেছি তা ভাল কের পড়ুন,তার পরে জবাব দিন।
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী - ইংরেজী+আরবী+ উর্দ্দু এই তিন ভাষায় নামটি হলে ও একটি আরবী শব্দ থাকায় মনে করেছিলাম মুহাম্মদ(সাঃ)এর উম্মৎ । তাই জানতে চেয়েছিলাম, কোরান হাদীসের কোথায় আছে -আল্লাহ দরবার থেকে জুর পূর্বক রুহ নিয়ে এসেছি । অর্থাৎ আল্লাহ পরাজিত হয়েছে বুজর্গ হাতে (নাজুবিল্লাহ)এ ধরণের ভন্ড কাফেরদেরকে বুজর্গ মনে করেছেন । রাসুল(সাঃ)এর উম্মৎ(অনুসারী)না হয়ে, চরমুনায়ের উম্মৎ(অনুসারী) হলে এধরণের মনে করায় সাভাবিক । ধন্যবাদ
আমরা চরমোনাইর উম্মাহ নয়।আমাদের এমন কোন আপমল -আখলাক -আক্বিদা নাই,যার কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘষিক।
পারবেন শুধু মরহুম এসহাক (রহ.)এর কিছু লেখা,যা সে অন্যের বরাত দিয়ে লিখেছেন,ওগুলো নিয়ে ডোল-তাবলা বাজাতেন। আপনাদের থলিতে আর কিছুই পাওয়া যাবে না।
অথচ মউদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদার অনুসরন করতে গিয়ে একজন মুসলামান যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঈমান হারা হয়ে যাচ্ছে তা আপনার মত উম্মতে মউদুদীরা চোখে দেখবেন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন