এখনো উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে না আসলে অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে -পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৩৩:৫১ বিকাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ইসলামের সাথে বৈরীতা করে ইতিহাসে কেউ রেহাই পায়নি বর্তমানে কেউ পাবে না। অভিশপ্ত নারী নেতৃত্বের কারণেই দেশে আল্লাহর গজব আসাই স্বাভাবিক। বর্তমান তাগুতি শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে উলামায়ে কেরামগণকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর উলামায়ে কেরাম যখন তাগুতের সহযোগী হয়ে যায় তখন ইসলামদ্রোহী শক্তিগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে ঝেঁকে বসে।
তিনি তাগুতের সহযোগী ভূমিকা পরিহার করে ইসলামের পক্ষে কাজ করার জন্য উলামায়ে কেরামের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ইসলামকে আজ জঙ্গি প্রমাণে মরিয়া একটি গোষ্ঠী। কিন্তু ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। এখনো উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ না হলে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে না আসলে অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং গণ-মানুষের অধিকার আদায়ে আরো একটি সংগ্রামে উলামায়ে কেরামগণকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়া এদেশের মানুষের ভাগ্যের কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের এই বিপ্লবের সূচনা করতে না পারলে জাতিকে আরো চরম খেসারত দিতে হবে।
কাজেই সকল হীনমন্যতা, সংকীর্ণতা আর ভয়-ভীতি ঝেড়ে ফেলে সত্যের পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে সাহসিকতার সাথে সম্মুখপানে আলেম-ওলামা ও ইমাম-খতীবদের এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা শাখার উদ্যোগে মেঘনার মাইনকারচরস্থ একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি কাজী এম. রফিকুল ইসলাম। আলহাজ্ব কফিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মু. মোবারক হোসেন, মুফতী মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ডা. আবদুল জলিল, মাওলানা মু. ইসহাক ও মাওলানা হাফেজ আল আমিন প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৫ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিবিরের মউদুদী আক্বিদা এবং ইসলাম পরিপন্হী কর্ম কান্ড পরিহার করলেই তো হয়।তাহলে তো সব আলেমরাই তাদের সমর্থন দেয়।
পীরের তো শেষ নাই
ঝুলাপীর/ল্যাংটাপীর/শোয়াপীর/বসাপীর পীর আর পীর। মোশারফ করিম ও একটা নাকি নাটক করছে "শোয়াবাবা"।
পীরে শেষ করছে ইসলাম টারে বাংলাদেশে।
আর না পারলে তখন গালিগালাজ শুরু।
আহলে হদসের এখন দলিল হল লম্পট মোশারফ করিমের নাটক।
হা হা আহলে খবিস।
তাই আসেন দেখি গালিগালাজ করা ইসলাম কিবলে।
আর চিনে নেই মুনাফিক লক্ষন???
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বণির্ত :নবী (সা) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাটি মুনাফেক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি লক্ষন থেকেই যায়। ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্তহলে অশ্লিল ভাবে গালাগালি করে।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
সহিহ হাদিস দিয়ে আপনার উত্তর দিলাম এর মাঝে সবারি শিক্ষা আছে। তাই সাবধান হউন। আর কোরআন ও সহিহ হাদিসের দিকে ফিরে আসুন। এটাই সরল পথ। যাদিও আপনি আমার কথা শুনবেননা আমি যানি তার পরেও আপনাকে আহবান জানাচ্ছি।
তাই আসেন দেখি গালিগালাজ করা ইসলাম কিবলে।
আর চিনে নেই মুনাফিক লক্ষন???
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বণির্ত :নবী (সা) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাটি মুনাফেক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি লক্ষন থেকেই যায়। ১. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্তহলে অশ্লিল ভাবে গালাগালি করে।
(সহিহ আল বুখারী, অধ্যায় মুনাফিকের লক্ষন, হাদিস নং-৩৪)
সহিহ হাদিস দিয়ে আপনার উত্তর দিলাম এর মাঝে সবারি শিক্ষা আছে। তাই সাবধান হউন। আর কোরআন ও সহিহ হাদিসের দিকে ফিরে আসুন। এটাই সরল পথ। যাদিও আপনি আমার কথা শুনবেননা আমি যানি তার পরেও আপনাকে আহবান জানাচ্ছি।
ক্ষমতার মোহই সকল সন্ত্রাসের জন্মদাতা।
পীরসাহেব চরমোনাই (রহ.)
হেফাজাতের ব্যানারে যখন সব আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ৯ মার্চ১৩ হাটাজারি মাদ্রাসা মিটিং হয়,আপনি কি সেখানে পীরসাহের চরমোনাইর বক্তব্যাটি শুনেছেন???
এরপরে কারা অত্যান্ত সূখ্ন কৌশলে চরমোনাইকে পাশ কাটিয়ে তারা কাদের ঈঙ্গিতে এবং আল্লামা আহমাদ শফি ও বাবুনগরি অসম্মতিতে কাজ করে হেফাজাতের মত একটি সম্ভব্য ইসলামী বিপ্লবের পথকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
আশা করি মোটা-মোটি জেনে তারপরে জানাবেন।
অধিক সন্যাসীতে কিন্তু গাঁজন নষ্ট হয় ।
আর ৭৩ দলের মধ্যে একটি দল জান্নাতে যাবে। আর সেই একটি দল রসুল (সা)হাদিসে স্পস্ট করে দিয়েছেন। সেই দলটি হল যারা, রসুল (সা) ও তার সাহাবারা (রা) সেই সময়ে যে মত,পথের উপর ছিলেন যারা সেই মতের ও পথের উপর থাকবে তারাই সেই আলজামাআত (একটি দল)।
যাদের চোখে টিনের চশমা পরে ঘুরে তারা এগুলো বুঝবে না। আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন।আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন