মজলুম জাতিকে উদ্ধার করতে ছাত্র সমাজকে আপোষহীন বিপ্লবের সূচনা করতে হবে -মুফতী সৈয়দ মু. ফয়জুল করীম
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ৩০ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৩১:০৪ রাত
দেশে আজ চরম সঙ্কটময় মুহূর্ত বিরাজমান। দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শিক্ষাক্ষেত্রে চলছে দুর্নীতি, অনিয়ম। শিক্ষা নিয়ে একটি মহল ব্যবসা শুরু করেছে। ভর্তি বৈষম্য, অযাচিত কোটা প্রথা, শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকাসহ বিভিন্নভাবে এদেশের মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত।
দেশের মানুষ এখনও ডাস্টবিন থেকে খাদ্য কুড়িয়ে খাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের প্রতিনিয়ত লাগামহীন উর্ধ্বগতি হচ্ছে। যার কারণে মানুষ খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সাধারণ মানুষ আজ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের মাথাগোঁজার একটু ঠাঁই নাই। ক্ষমতাশীনরা এর কোন ব্যবস্থা করতে পারে নাই। সর্বত্র জুলুম, নির্যাতনের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে দেশের মানুষ।
এই মজলুম জাতি আজ মুক্তি চায়, শান্তি চায়। একটু মাথাগোঁজার আশ্রয় চায়। কিন্তু স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে কেউ জনগণের এ অধিকার নিয়ে ভাবেনি। প্রত্যেকে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল। আর বাস্তবতা হল, মানবরচিত এ কুফরি মতবাদের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা কখনও সম্ভব হবেনা। একমাত্র ইসলামই পারে মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে। তাই রাষ্ট্রময় ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আরেকটি আপোষহীন বিপ্লবের সূচনা করতে হবে। আর এ বিপ্লবের সূচনা হবে ছাত্র সমাজের মাধ্যমে।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৯ টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য, নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহা. ফয়জুল করীম পীরে কামেল চরমোনাই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহা. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল কে এম আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, নির্বাচন নিয়ে কোন ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
তিনি মিশর, ফিলিস্তিন, মায়ানমারসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনের তীব্র নিন্দা জানান এবং বাংলাদেশ সরকারকে এর জন্য সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে আহ্বান জানান।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মু. আমিনুল ইসলাম, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাও. আতাউর রহমান আরেফী, জনাব শরিফুল ইসলাম শাহিন, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এইচ এম রফিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মু. নূরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মু. নূরুন্নবী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মু. আবদুর রহমান গিলমান, অর্থ সম্পাদক মুসা বিন কাসিম, দফতর সম্পাদক বিলাল হুসাইন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন