তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ুন -পীর সাহেব চরমোনাই

লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৮:১৭:১০ রাত

১৫ দিনব্যাপী তালিম-তারবিয়াতের আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন- আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবীয় গুনাবলী সৃষ্টির উদাত্ত আহবান নিয়েই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান আমাদের কাছে এসেছিল। মুসলিম জাতীয় ঐতিহ্য চেতনায় এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনে রমজান অতি গুরুত্বপূর্ণ।



রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। উন্নত চরিত্র অজর্নের পক্ষে অন্তরায় পাশবিক বাসনার প্রাবল্যকে পরাভূত করত: পাশবিক শক্তিকে আয়ত্ত্বাধীন করা হচ্ছে সিয়ামের তাৎপর্য।

ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে সর্বত্র আল্লাহর দ্বীনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় যাবতীয় প্রতিকুলতার মুখে টিকে থাকার জন্যে যে মানসিকতার প্রয়োজন, সিয়ামের সাধনার মধ্যেই তা অর্জিত হয়।

মানবতার মহান নেতা রাসূল সা. ও তাঁর বিপ্লবী সাহাবারা এ মহান মাসে লড়াই করেছিলেন বাতিলের বিরুদ্ধে, অন্যায়, অসত্য, জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে এবং মানুষের ওপর মানুষের প্রভুত্ব খতম করার মহান লক্ষ্যে। সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মানব জাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের আহবান জানায় এ মাসে।

তিনি আরো বলেন, শুধু উপবাস থাকাই রমজানের সাফল্যের শর্ত নয়, বরং উপবাসের সাথে যাবতীয় পাপ কাজ যেমন- মিথ্যা কথা বলা, গীবত করা, চোগলখোরী, অতি মুনাফাখোরী, কালোবাজারী, ঘূষ-দূর্নীতি, প্রতারণা ও প্রবঞ্চণার মতো ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত না থাকলে রমজানের ফল পাওয়া যাবে না।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, রমজানের পুরোপুরি হক আদায় করে অন্যায়, অসত্য ও তাগুতি শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের সমাপনী অধিবেশনের আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত চরমোনাইর ময়দানের বিশেষ তালিমে ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হতে থাকে। উল্লেখ্য যে, প্রতি রমজানের ১-১৫দিনব্যাপী এ তালিম অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এতে পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীরুল মজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, আল্লামা আইয়ূব আলী আনসারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান কালিশ্বরী, মাওলানা জিয়াউল করীম, মুফতী ইসহাক মু. আবুল খায়ের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ওলামায়েকরাম ও চরমোনাই’র খলিফাগণ আলোচনা করেন।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File