হরতাল অবরোধ আর সরকারের বাধা লংমার্চগামী জনস্রোত রুখতে পারবে না: পীর সাহেব চরমোনাই,লংমার্চে আগতদের স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা থাকবে ইসলামী আন্দোলন
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৩০:১৬ রাত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, হরতাল অবরোধ সৃষ্টি করে এবং গাড়ী-লঞ্চ বন্ধ করে ঢাকামুখী ঈমানদার জনতার স্রোত রুখা যাবে না। লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে সরকার ঈমানদার জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেদের সর্বনাশা পতন ডেকে এনেছে।
আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মুসলমানরা আজ ঐক্যবদ্ধ। গণমানুষের এই অহিংস আন্দোলনে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আগামীকালের লংমার্চ ও ঢাকার মহাসমাবেশ সফল হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। দেশব্যাপী জনতার এই আন্দোলনের ভাষা না বুঝে সরকার যদি অবিলম্বে ঈমানী দাবীসমূহ বাস্তবায়ন না করে তবে পরিণাম মোটেও শুভ হবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই আল্লামা আহমাদ শফী আহুত আগামীকালের লংমার্চ ও মহাসমাবেশে জিকিরের সাথে যোগ দিতে আন্দোলনের নেতা-কর্মী সমর্থকসহ সর্বস্তরের ঈমানদার দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানিয়েছেন। ##
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা ঢাকায় আগত ধর্মপ্রাণ
মুসলমানদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকা পালন করবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম আগামীকালের লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদেরকে আল্লাহর মেহমান উল্লেখ করে তাদের খেদমতে নিয়োজিত থাকতে ঢাকাস্থ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দাবী নিয়ে সারাদেশের মুসলমানরা আল্লামা আহমাদ শফীর ডাকে ঈমানী দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছে। কোন ষড়যন্ত্রই এ আন্দোলনকে দমাতে পারবে না।
আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আল্লামা শফী সাহেব ঘোষিত লংমার্চ ও মহাসমাবেশকে ঘিরে ইসলামবিরোধী শক্তির ঘৃন্য অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং চিহ্নিত নাস্তিকদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, লোক দেখানো দু’একজন ব্লগারকে গ্রেফতার করলে হবে না, সকল নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতার করে বিচার এবং রাসূলের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আইন পাশ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আমীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
http://www.islamiandolanbd.org
বিষয়: বিবিধ
১১০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন