হরতাল কেন কারফিউ জারীকরেও লংমার্চ বন্ধ করা যাবে না -আল্লামা শাহ আহমাদ শফী
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৫৭:২৫ দুপুর
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হুমকি দিয়ে বলেছেন, “সরকার সমর্থিত কয়েকটি সংগঠনের ডাকা ৬ এপ্রিলের হরতাল আজ সন্ধ্যার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে ৭ এপ্রিল থেকে লাগাতার হরতাল দেয়া হবে।”
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর লালবাগ শাহী মসজিদ মাদরাসায় লংমার্চ সফলের লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুমকি দেন।
আল্লামা শাহ আহমাদ শফী বলেন, “লংমার্চ থেকে পিছপা হওয়ার কোনো পথ আমাদের জন্য খোলা নেই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা এলে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।”
‘লংমার্চ কর্মসূচি বানচাল করার অপচেষ্টায় সরকার লিপ্ত’ দাবি করে তিনি বলেন, “মন্ত্রী ও সরকার দলীয় নেতারা আমাদের এ আন্দোলনকে ‘জঙ্গী’ আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সরকারদলীয় কিছু চিহ্নিত দালাল সংগঠন শনিবার হরতাল ডেকে হঠকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।”
লংমার্চ সফল করার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা শফী বলেন, “এই লংমার্চ কাউকে গদি থেকে নামানো বা গদিতে বসানোর জন্য নয়। ঈমানের দাবিতে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।” তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
আল্লামা আহমাদ শফির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে বলা হয়, “লংমার্চ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে এ হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। সরকারের মদদে এ হরতাল প্রত্যাহার করা না হলে ৭ এপ্রিল থেকে লাগাতার হরতাল চলবে।” সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, “পরিবহন মালিক সমিতিকে বাস ভাড়া না দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাদের রুখতে পারবে না।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, “ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারী তালিকাভুক্ত ৮৪ জন ব্লগারের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র। তাছাড়া আমাদের দাবি শুধু গ্রেফতার নয়, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে আইন করতে হবে। এছাড়া ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করতে হবে।”
এর আগে হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি প্রতিহত করা এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামি জোটসহ ২৭টি সংগঠন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডাক দিয়েছে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এই হরতালে সমর্থন জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, শায়খুল হাদীস আশরাফ আলী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসহাক, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসেন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম, (অপরাংশ) চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান নেতা শাহরিয়ার কবির আনুষ্ঠানিকভাবে হরতালের ঘোষণা দেন।#
বিষয়: বিবিধ
১২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন