তোমরা যাদের গুলি করছো
লিখেছেন লিখেছেন আবাবিল ০৬ মে, ২০১৩, ১০:৩৩:৪৩ রাত
হে আল্লাহর গোলাম তুমি কী জানো তুমি কাদের গুলি করছো। কাকে লাঠিপেটা করছো? তুমি হয়তো জানো না কারন তখন কেবল তুমি ভূমিষ্ট হয়েছো। তোমার মা কে জিজ্ঞেস করে দেখো সে বলবে এই আলেমদেরই কনো একজন তোমার কানে আযান দিয়েছে। শাহাদার ঘোষনা তোমাকে শুনিয়েছে।
তুমি কি জানো এই মানুষগুলো কারা?
এরা হলো সেই সেই মানুষ যারা নিশ্চিত বেকাত্ব জেনেও তোমাদের মত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেনি। করেছে সনদ বিহিন এমন এক পাঠা শালায় যেখান থেকে পাঠ শেষ করে দুনিয়াবি কনো ফায়দাই তারা পাবে না। একবার চিন্তা করো এরা যদি এই সনদ বিহীন পাঠশালায় পাঠ না করতো, তবে আজ তুমি যে চেয়ারে বসে মোটা অংকের বেতন গুনছো সে চেয়ার আরও প্রতিযোগিতাপূর্ন হয়ে যেত। হয়তো তুমি পেতেই না সে চেয়ার।
বলতে পারো কিসের আশায় , কিসের জন্য তারা এই পথ বেছে নিলো? তারা দুনিয়ার অতি তুচ্ছ জীবনের চেয়ে আখিরাতকেই প্রাধান্য দিয়েছে। তোমার আমার মতো দুনিয়ার মহে নিজেকে হারিয়ে ফেলেনি।
যাদেরকে তুমি আজ তুচ্ছ মূল্য করে লাথি দিচ্ছ, গুলি করছো, গালিদিয়ে ফেসবুকে-ব্লগে পোষ্ট দিচ্ছ তারা কখনও কনো মেয়ে কে ধর্ষণ করতে যায় নি, ইভটিজ করতে যায় নি। অথচ একটু ডানে-বামে চেয়ে দেখো যাদেরকে তুমি আধুনিক-স্মর্ট বলছো তারাই এই অপকর্মের সাথে জরিত।
তোমার বাবা-মা মারা গেছে একটু দোয়াও জানো না।
এরাই তোমার হয়ে তোমার বাবা-মা'র জন্য দুয়া করে।
বিয়ে করবে। তুমি সুটেড-বুটেড। সব আয়োজন করেছো। ভিআইপি কমিউনিটি সেন্টার হায়ার করেছো। কিন্তু আসল কজটা কেউ করতে জানো না, অপেক্ষা তোমাদের ভাষায় এই মূর্খদের জন্য। বিয়ের খুদবাটাও দিতে পারো না। কলেমাটাও পরাতে জানো না।
এই আলেমই তোমার অসাধ্য সাধন করে দিলো তাই তুমি তাকে হাদিয়া দিলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর দেখো তোমার বিয়ের ফটোগ্রাফারকে দিচ্ছ ৫০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা। ৫০০ টাকা পেয়ে আলেম খুশি। কিন্তু ফটোগ্রাফার খুশী না। কারন এ টাকা দিয়ে তার হয়তো এক বোতল মদের টাকাই হবে না।
তোমাকে বলছি। তুমিকি কখনও মিশেছো এদের সাথে? না মিশলে একবার মিশে দেখো? জীবনের মানে কী । সুখে থাকার মানে কি জানতে পারবে।
সকল অবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া কিভাবে করা যায় জানতে পারবে। হয়তো তোমার জীবনও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
তারা তোমার জন্য কী দাবীগুলো আদায় করতে চেয়েছিলো, একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবেছো কি?
তুমি কী কখনও এদের কে জিজ্ঞেস করেছিলে এই দাবিগুলোর লাভ-ক্ষতি কী কী? তাদের ঈমানী মৌলিক দাবি গুলোর ইসলামি ব্যাখ্যা কেনো তুমি একজন জাহেল লোকের কাছে নিতে যাও?
কেন তুমি বিরধীদের প্রচারনায় প্ররচিত হও?
তুমি যখন গুরুতর অসুস্থ হও তখন কি তুমি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে যাও? না কি ডাক্তারের কাছে যাও?
অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাও।
তবে তাদের ইসলামিক দাবি গুলো ব্যাখ্যা কেন তুমি ইসলামি জ্ঞানহীন সেকুরারদের কাছে নিতে গেলে?
নাকি তুমি দুনিয়াবি সংকির্ণলোভের বসবর্তি হয়ে জেনে বুঝেই তাদের বুকে গুলি চালালে। আর তাদের রক্ত দেখে উল্লাসে ফেটে পরলে?
তুমি পত্রিকায়-টিভিতে ইউরপের বৃদ্ধশ্রম দেখে খুবই
আবেগি হও, খুবই ব্যাথিত হও। বলে থাকো, "মানুষ নিজের বাবা মার সাথে এমন আচারন করতে পারে?"
বিশ্বাস করো তোমার ছেলেমেয়েরাও তোমাকে এক সময় বৃদ্ধশ্রমে পাঠাবে যদি তুমি ইসলামী শিক্ষা তাদের না দিতে পারো। কনো রাষ্ট্র-সংবিধান-আইন বলে না যে বাবা-মাকে বৃদ্ধশ্রমে পাঠানো যাবে না। এটা শুধু ইসলামই বলে। বিশ্বাস করো তারা এটাই চেয়েছিলো। যেন তোমার সন্তান আল্লাকে ভয় করে।
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের যে আদেশ সেটা যেন ভুলে না যায়।
পরিষেশে বলি। জীবনে অনেক ধন-সম্পদ, ইজ্জত-সন্মান কামিয়েছো। অবধারিত সেই ডাক এসেছে।
তুমি সে ডাকে বাধ্যতামূলক সারাদিয়েছো। দামি খাটে নয়, মাটিতে পরে আছে তোমার নিথর দেহ।
চেয়ে দেখে-
তোমার পাশে কালেমা পরার লোক নেই।
তোমাকে গোসল দেয়ার লোক নেই।
তোমাকে কাফনের কাপড় পরানোর লোক নেই।
পূন্যবান লোক নেই যে তোমার খাটিয়াটি কাধে তুলে নেবে। সেই সুটেড-বুটেড আধুনিক লোকগুলো আজ তোমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে। ফাকে দারিয়ে হয়তো কাদছে। আর এই আলেমরা এসেই তোমাকে রেখে আসার সকল কাজ করছে। কী করতে হবে কী না করতে হবে সব পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে স্বার্থহীন ভাবে। জানাজা থেকে শুরু করে কবরের শেষ মাটি দানাটা পর্যন্ত তুমি এই আলেমদেরই মুখাপেক্ষি।
এরাই সে আলেম সমাজ যারা তোমার ভূমিষ্ট হওয়ার আযান থেকে শুরু করে কবরের ষেশ মাটি টুকুও পর্যন্ত তোমার সাথে থাকে। বিনিয়ে তারা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি আশা করে। দুনিয়া তাদের কাছে খুবই তুচ্ছ।
তারা আল্লাহর কাছে সন্মান আশা করে আখেরাতে।
দুনিয়ার মিছে সন্মান, মিছে শান শৌকত তাদের দরকার নেই।
আরও একবার ভেবে দেখো হে মানব-মনবী তুমি কাদের বুকে গুলি চালাচ্ছ? কাদেরকে গালি দিচ্ছ?
কাদেরকে তুমি ছাগু বলছো?
বিষয়: বিবিধ
২১১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন