ছাগল দিয়ে হাল-চাষ!!!
লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ১৪ মার্চ, ২০১৬, ০৭:২০:১০ সন্ধ্যা
ওয়ান ইলেভেন-এর পরের সময়টা,মঈন-ফখরুদ্দিনদের শাষান আমলের কথা বলছি।দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের জনগনের নিকট প্রশংসনিয় ছিল ঐ সময়টা এবং ঐ সময়ের নীতি-নির্ধারকরা।
মানুষের মনে সস্থি ছিল,বুক ফুলিয়ে চলাফেরা-কাজকর্ম করতে পাড়ত।সমগ্র বাংলাদেশে শান্তি বিরাজমান ছিল।
দু`বছর পড়ে যখন হাতে চুড়ি পড়ে,মুখে কালি মেখে দেশটাকে বিক্রি করে কলঙ্ক মাথায় নিয়ে দেশ ত্যাগ করলো....তখন থেকে তারা দেশের মানুষের নিকট হয়ে গেল কুলাঙ্গার।তাদের একটা অ-যোগ্য দিক ছিল আর তা হলো তারা কোন রাজনিতীবিদ ছিল না।কিভাবে সবকিছু নিজের হাতের মুঠোয় রেখে দেশকে বিক্রি করে দেয়া এত বড় ভয়ংকর পলিটিশিয়ান তারা ছিলনা বা এত বড় পলিটিক্স তারা জানত না। তাই তারা নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য মুখ লুকানোর জন্য মুখে কালি মেখে হাতে চুড়ি পরতে বাদ্য হয়েছিল.....বাদ্য হয়েছে কলঙ্ক মাথায় নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে।
এখন আসি আসল কথায়ঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরো ৬৯৬০ কৌটি টাকা গায়েব আগের ৮০০ কৌটি টাকা ছাড়াও!!!
এই ব্যাপারটা নিয়ে দেশের জনগনের মাঝে কোন অসস্থি নেই,নেই কোন টেনশন....কারন টাকা গেছে সরকারের,বাংলাদেশ ব্যাংকের,আমাদের কি?
আমারা বুজার চেষ্টা করি না এই টাকাগুলো ছিল আমাদের এবং আমাদের-ই রক্ত পানি করা টাকা।
শুধু কি এখানেই শেষ?
না,আসিতেছে শুভদিন দিতে হবে খেসারত,,,,মাথা পিছু ঋৃনের পরিমান বাড়বে!!তাতে কি ঋনতো আমাকে শোধ করতে হচ্ছে না.....
আমারা এটা বুজিনা বা বুজতে চাই না যে ঘর থেকে বাহিরে পা রাখলেই সেই ঋন আমাদেরকে ধাওয়া করে,,,,,,,,,,দ্রব্য-মুল্যের উর্ধগতি থেকে শুরু করে কবরে যাওয়া পর্যন্ত সেই ঋনের ঘানি-টা টানতে হয় বা হচ্ছে......
এখন বলি মুল কথাঃ
এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল আমাদের রাখাল রাজা কোথায় ছিল?
একটি ঘটনা বলে নেই রিজার্ভ লুটের ৪ মাস আগের।
২০১৫ সালে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ভল্ট থেকে ৫ লাখ টাকার বান্ডিল নিয়ে চম্পট দেয় স্টেট ব্যাংক এর ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা। সময় নেয় মাত্র ৪৬ সেকেন্ড। হাতে নাতে ধরা পড়ার পরে টাকা ফেরত দিলেও দীপককে পুলিশে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা এসে চোর দীপককে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি জানানো হয়নি গভর্নর আতিউরকেও।
গভর্নর আতিউরকে কেন জানাবে?সে তো রাখাল রাজা,দেশের রাজা না!এই যেমন আজকে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে যাবার পর দেশে বসে কিছুই বলতে পাড়ছে না,আবার তার স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে,,,,আমবার ভিবিন্ন মন্ত্রী-আমালারা মন্তব্য করছে এটা কোন ব্যাপারই না।তার অবস্থান এবং বর্তমান অবদান পাটখড়ির মত।
মজার ব্যাপার হলো কিছু দিন আগে দেখলাম মরিয়া প্রমান করিতে হলো উহারা ব্লগার ছিল,এখন গভর্নর আতিউরকে দেখে আমার মনে হচ্ছে গভর্নর আতিউর প্রমান রেখে যাচ্ছে যে ছাগল দিয়ে আসলেই হাল-চাষ হয় না,আর রাখাল কোন দিন গভর্নর হতে পাড়েনা আর হয়ে গেলেও যে কি অবস্থা হয় তার প্রমান চোখের সামনে.........।
যেভাবেই লুট হউক বা যেই চুরি করুক না কেন রিজার্ভ থেকে জনগনের এত টাকা লুট হয়ে যাওয়ার কৈফিয়ত কে দিবে জনগনকে??যেভাবে-ই বলতে যাইনা কেন দায়িত্বটা কি গভর্নর আতিউর-এর উপর বর্তায় না?কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই রাখাল কি সেটা বুজবে না পাড়বে???
২০০৭/২০০৮ সালে যখন পুরো পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা তখন প্রবাসিদের রেমিটেন্স-এর কারনে বাংলাদেশটা এই মন্দার প্রভাব মুক্ত ছিল।আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে প্রবাসিদের রেমিটেন্স বন্দ করে দেয়ার আর প্রয়োজনে টাকা পাঠালেও সেটা অবৈধ পথ হুন্ডি-তে,বৈধ পথে না।কারন বৈধ পথে টাকা পাঠালেই সেটা সরকারের হাতে তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যাবে এবং যা দেশের কোন কাজ হবে না চোর-চোট্রা বদমাইশরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কি জানি, এতো কূট চাল, মার প্যাচ তো বুঝিনা, আমনেরা যা কইন, হেইয়াই বিশ্বাস জরতে হয়। তবে কথা ঠিকই বলেছেন, টাকাগুলো আমাদেরই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন