"স্বঠিক পরামর্শ চাই"
লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ৩০ জুলাই, ২০১৪, ০১:০৩:২৩ দুপুর
কারো জানা থাকলে স্বঠিক পরামর্শ দিবেন!
খুবই গুরুত্ব পূর্ন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে--
আমার পাশের কম্পানিতে কাজ করে বয়সে ছোট হলেও আমদের দুজনের মাঝেই বন্ধু-সুলভ আচরন।
সে বিয়ে করেছে ১৯মাস হলো।
বিয়ে করে দুমাস থেকে আবার চলে আসে আবুধাবী,শুরু হয় সংসারে অশান্তি মা,বাবা,বোন,ভাই,ভাবী এদের অপজিট হচ্ছে স্ত্রী!
অশান্তির দফা রফা করতে ৫মাস আগে গেল দেশে,গিয়ে দেখলো সবার-ই কম বেশ দোষ আছে কিন্তু মা,বাবা,ভাই,বোনদের কিছু বলতে না পেড়ে স্ত্রীকেই শাসন করলো এতে হিতে বিপরীত হলো স্ত্রী এবার স্বামীর প্রতি নাখোশ।স্বামীর সাথে খারপ ব্যাবহার করতে শুরু করলো।
করবেই তো স্বাভাবিক,কারন সে তার সব আপন জন ছেড়ে যাদের কাছে আসছে তরা যদি তাকে আপন করে না নিয়ে পরের মেয়ে মনে করে সবাই মিলে কাজের মেয়ে বানিয়ে রাখে আর বেচারা স্বামীও যখন ব্যাপারটা বুজতে না পাড়ে তা হলে সে করবে টা কি?
যাই হোক সে মনে করলো স্ত্রী হয়ত স্বামী সংসার নিয়ে সুখী বা খুশি না তাই সে তার মা,বাবা,ভাই বোনদের সাথে পরামর্শ করে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রেখে কাবিনের নকল উঠিয়ে এক কাজি কে দিয়ে একটি ডিভোর্স পেপারে সাইন করে কাজির কাছে রেখে স্ত্রীকে না বলে চলে আসল আবার আবুধাবী।
স্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আসলো যদি আমার সংসার করতে না চাও আমি সব ব্যাবস্থা করে দিব আর কাজিকে বলল এই ডিভোর্স পেপারে কিছু লিখবেন না আমি না বলা পর্যন্ত যদি দেখি আমার স্ত্রী তালাক চায় তখন আমি বলব এবং আপনি যা প্রয়োজন সব কিছু লিখে পাঠিয়ে দিবেন।
(উল্লেখ্য স্ত্রীকে তালাকের ব্যাপারটা ছিল সম্পূর্ন স্ত্রীর উপর নির্ভর কারন স্ত্রী তালাক চাইলেই তাকে তালাক দেয়া হবে নয়ত না।)
যাক এখানে আশার ২০দিনের মধ্যে জানতে পারল আসলেই তার স্ত্রীর উপর সবাই অত্যাচার করত এমনকি ভাই,বোন,ভাবীদের কথা শুনে মাও তার স্ত্রীকে এক ধরনের কঠিন চাপে রাখত আর বেচারী নিজের আপনজন ছেড়ে এসে পরেছে সম্পূর্ন এক দল শত্রুর হতে।মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করলেও অনেক সময় বেচারী অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলেই সেটা হত তার বেয়াদবী যেটা স্বামীর কাছে বিচার আসত তোমার বউ চরম বেয়াদব।
বিশ দিন পর স্ত্রীকে ফোন করে বলল তোমাকে না বলে চলে আশাটা আমার ভূল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দিও আমি অনেক কিছু-ই বুজতে পাড়ি নাই।এখন তুমি তোমার বাপের বাড়ি থাক আমি তোমার সব ভরন পোষন দিব,কিছুদিন পড় আমি দেশে এসে তোমাকে নিয়ে যাব এবং সবার থেকে মা,বাবা আর তোমাকে নিয়ে ভিন্ন হয়ে যাব।
সেই বিশ দিন সহ আজকে প্রায় চার মাস হলো এখন সে কম্পানি থেকে ছুটি নিয়েছে দেশে যাওয়ার জন্য এই কথা ওর আত্মীয় স্বজন শোনার পর বলতেছে সে তার এই স্ত্রী আনতে পাড়বে না এই স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে যখন সে ডিভোর্স পেপারে সাইন করেছে।
সে বলতেছে আমি তো তালাক দেই নাই ঐ সময় এটা ছিল আমার একটা সিদ্ধান্ত এখন আমি বুজতেছিনা আমি কি আমার আত্মীয় স্বজনের আরেকটি চক্রান্তের স্বীকার নাকি শরিয়তে কোন বাধা আছে?
সে আমার কাছে জানতে চাইলে আমি কোন জবাব দিতে পাড়ি নাই কারন আসলে-ই কি শরিয়তে কোন বাধা আছে?
কারন ধর্মিয় কোন কিছু না জেনে কোন সিদ্ধান্ত দেয়াটা মোটেও ঠিক না। কিন্তু আমার মনে হয় এটা আরেকটি চক্রান্ত!
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে....
আমার মতে এটা তার আত্বীয়দের সরযন্ত্র ।
ধন্যবাদ...
"'স্ত্রী তালাক দাবী করলেই সে তালাক দিতে বাধ্য থাকবে" শ্রদ্ধেয় লোকমান ভাইয়ের এই কথাটা ঠিক নয়।
'স্ত্রী চাইলে তাকে তালাক দেয়া হবে' একথার অর্থ এই নয় যে স্বামী দিতে বাধ্য।
লিখিত আলোচনা অনুযায়ী স্বামী চাইলে স্ত্রী কে ফিরিয়ে আনতে পারবে,তালাক হয়নি।
আত্মার প্রশান্তির জন্যে কোন মুফতির সরণাপন্ন হওয়াটাই সব চেয়ে উত্তম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন