"ধারাবাহিক নামাজ শিক্ষা"--২

লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ২৩ জুন, ২০১৪, ০৯:০৬:১৮ রাত

সালাতের আহকাম:

যে ফরজ কাজগুলো নামাজ শুরু করার আগেই করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বলা হয়। সালাতের আহকাম মোট সাতটি। যথা- ১. শরীর পাক হওয়া : প্রয়োজনমতো অজু-গোসল বা তায়ামুমের মাধ্যমে শরীর পাক পবিত্র করা। ২. কাপড় পাক হওয়া, অর্থাৎ কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। ৩. জায়গা পাক হওয়া (নামাজ পড়ার স্থান পাক হওয়া)। ৪. সতর ঢাকা (পুরুষের নাভীর উপর থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা এবং মহিলাদের মুখমণ্ডল হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। ৫. কিবলামুখী হওয়া (কাবার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা)। ৬. ওয়াক্ত হওয়া (সালাতের নির্ধারিত সময় হওয়া)। ৭. নিয়ত করা (যে ওয়াক্তের সালাত আদায় করবে মনে মনে তার নিয়ত করা)।

সালাতের আরকান :

যে ফরজ কাজগুলো সালামের মধ্যে আদায় করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আরকান বলা হয়। সালাতের ৬টি আরকান রয়েছে, সেগুলো নিম্নে দেয়া হল- ১. তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। ২. কেরাম বা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া। নারী-পুরুষ উভয়কে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ত হবে। তবে অসুস্থ হলে বসে এবং বলতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় সালাত পড়তে হবে। ৩. কোরআন শরিফের কিছু অংশ পাঠ করা। ৪. রুকু করা ৫. সিজদা করা ৬. শেষ বৈঠকে বসা (যে বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা হয় তাকেই বলে শেষ বৈঠক) ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা।

নামাজের ভঙ্গের কারণসমূহঃ

১। নামাযের মধ্যে কথা বলা। ২। নামাযের মধ্যে পবিত্র কোরআন দেখে পড়া। ৩। নামাযের ফরজসমূহের মধ্যে কোন একটি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বাদ পড়ে গেলে। ৪। বিনা কারণে কাশি দেয়া। ৫। নামাযের ভিতরে আঃ উঃ শব্দ করা। ৬। নামাযের ভিতরে ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় কোন কিছু খাওয়া। ৭। কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের সময় এমন ভুল করা যে ভুলের দরুণ অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। ৮। নামাযে শব্দ করে হাসা। ৯। পুরুষের কাতারে মেয়ে লোক দাঁড়ানো। ১০। নামাযে ঘুমিয়ে গেলে। ১১। বিনা কারণে নামাযরত অবস্থায় এদিক ওদিক চলা ফেরা করা। ১২। ইমামের পূর্বে রুকূ, সেজদা ইত্যাদি করা। ১৩। আমলে কাসির করা (নামাযের মধ্যে এমন কাজ করা কেউ দেখলে যদি নামায পড়ছে বলে বুঝা না যায়। যেমনঃ দু হাতে কাপড় ঠিক করা)। ১৫। ছতর খুলে গেলে। ১৬। নামাযের ওয়াজিবসমূহের কোন একটি ছুটে গেলে এবং ছহো সিজদা ছেড়ে দিলে। ১৭। ব্যথার কারণে উচ্চস্বরে কান্না। ১৮। ওযূ ভঙ্গ হওয়া। ১৯। বেহুশ হয়ে পড়া

বিষয়: বিবিধ

১৩৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

238080
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৮
ভিশু লিখেছেন : খুব কাজের পোস্ট...Happy Good Luck
জাযাকাল্লাহ খাইরান!
Praying Praying Praying
238121
২৩ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৮
হতভাগা লিখেছেন : ''৪. সতর ঢাকা (পুরুষের নাভীর উপর থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা এবং মহিলাদের মুখমণ্ডল হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। ''

০ যদি এরকম একটা প্যান্ট বা পায়জামা পড়ি যেটা নাভির ২ আঙ্গুল উপর থেকে হাটুর ৪ আঙ্গুল নিচ পর্যন্ত হয় । এবং কোন জামা বা পান্জাবী না পড়ি - সেটা কি সঠিক সতর হবে ?

আর এভাবে যদি বেশ কয়েকজন খালি গায়ে জামাতে নামাজ পড়ি তা কি ঠিক আছে ?

''৩. কোরআন শরিফের কিছু অংশ পাঠ করা।''

০ সূরা ফাতেহা না পড়লেও কি এতে চলবে যদি অন্য সূরা পড়ি এর পরিবর্তে ?

''৬. শেষ বৈঠকে বসা (যে বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা হয় তাকেই বলে শেষ বৈঠক) ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা।''

০ তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা - এই তিনটিই কি পড়তে হবে ? নাকি শুধু তাশাহুদ, দরুদ পড়লেও হবে ?

''৮। নামাযে শব্দ করে হাসা।''

০ নিচু শব্দে হাসতে মানা আছে কি ?

''৯। পুরুষের কাতারে মেয়ে লোক দাঁড়ানো।''

০ এতে কার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে ? শুনেছি কাবা শরিফে নাকি পুরুষ মহিলা এক কাতারে নামাজ পড়তে পারে যখন কাবার চারপাশে ঘিরে নামাজ পড়া হয়- এটা কি সত্যি ? সত্য হলে এতে নামাজ ভঙ্গ হয় কি ?

জানা থাকলে জানাবেন আশা করি ।


পোস্ট ভালই দিচ্ছেন , চালিয়ে যান ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File