নারী পুরুষের অধিকার!

লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ০৮ জুন, ২০১৪, ১০:৩৭:৩৮ সকাল

নারী পুরুষের সম অধিকার বলতে আমি এটা মনেকরি না যে স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা একই টেবিলে বসবে,পাবলিক প্লেসে পুরুষের মত করে নারীরা অস্থান করবে,নারীরা পুরুষের মত জিন্সের প্যান্ট পড়ে হাটবে আর পুরুষরা নারীদের মত লম্বা চুল রেখে কানে দুল পড়ে রাস্তায় হাটবে।

আবার আমি এটাও মনেকরি না যে স্বামী-স্ত্রী ভাগ করে অর্থ উপার্জন করেবে,অর্থ খরচ করেবে,ঘরের কাজ করেব,অফিস সমলাবে, বাজার করবে,সন্তান লালন-পালনে সমান ভাবে অংশ নিবে।

কুরআন হাদীসে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে পুরুষ ও নারীর আধিকার নিয়ে।

কুরআন হাদীসে সুস্পষ্ট বলা আছে পুরুষের দৃষ্টি সংযত করার ব্যাপারে আবার নারীর পর্দার ব্যাপারে।এই কথাটা থেকে আমাদের অনেক কিছু বুজার আছে এবং সুস্থ্য বিবেকের মানুষরা অনেক কিছু বুজেই থাকেন।

তাছাড়া একে অপরের প্রতি উদার মনোভাব রাখলে যার যার প্রাপ্ত সম্মান করলে একে অপরের কাজের মূল্যায়ন করেল আসলে কারো প্রতি কারো-ই কোন অভিযোগ থাকার কথা না।

কিন্তু আজ-কাল একটা ব্যাপার লক্ষ করা যায় যে সম অধিকার অর্জন করতে গিয়ে পুরুষরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় হাজার বছর ধরে যেভাবে নারীকে নিষ্পেষিত করে এসেছে ঠিক সেভাবেই নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার ধারাবাহিকতায় পুরুষও নির্যাতিত হতে চলেছে। নারী তাও চাইলে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে পারে, কিন্তু পুরুষ? এখন কেউ কাউকে সম্মান করার আগে চিন্তা করে- আমি কারোটা খাই না…

তাছাড়া প্রত্যেকের মাঝেই একটা বদ-মনোভাব কাজ করে যেমন:একজন পুরুষ তার কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে মনে করে যে আমি অনেক কাজ করে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে রাজ্য জয় করে এসেছি এখন আমার স্ত্রী আমার সেবায় নিমজ্জিত থাকবে আমি শুধু পা দুলিয়ে খাব আর বিশ্রাম নিব।

এদিকে একজন মহিলা ঘর ঝাড়ু দেয়া থেকে শুরু করে রান্ন-বান্না ও সংসারের সব কাজ শেষ করে সন্তানদের স্কুলে দিয়ে আসা ও নিয়ে আসার সব কাজ করতে গিয়ে নিজের খাবারের কথাও ভুলে গেছেন সেদিকে স্বামী নামক পুরুষটারও কোন খেয়াল নেই।

তদ্রুপ একজন মহিলাও নিজ সংসারের কাজ করে এমন একটা মনোভাব ধারন করে বসে থাকে যেন সে অন্যের সংসারে কামলা খেটে এসেছে এখন আর এই সংসার তথা স্বামী নামক পুরুষটার জন্য কিছুই করার নেই।অথচ তার স্বামী ১২/১৪ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম করে বাসায় ফিরলেও কোন না কোন কারনে একটা অপ্রিয় কথা বলে উদ্ধার হয় যে এই সংসারে এসে কোন শান্তি পেলাম না কাজ করে করে আমার জীবন শেষ।

এইগুলো সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে তাই এমন মনোভাব সবাইকে পরিহার করতে হবে!

অনেক মহিলারা স্বামী কে সর্বদা বলে তোমার সংসার; তোমার বাড়ী; তোমার ছেলে মেয়ে— তোমার মা বাবা ইত্যাদি ইত্যাদি।আমি মনে করি এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করা উচিৎ মহিলাদের কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষরা এগিয়ে সর্বদায় নিজের শ্বশুর শ্বাশুরী মাতৃ সমতুল্যই মনে করে এবং শালা/শালী তথা শ্বশুর পক্ষের আত্মীয় স্বজন নিয়ে গর্ববোধই করে থাকে।

আবার অনেক পুরুষই তার স্ত্রীর প্রতি এমন মন্তব্য করেন বা এমন মনোভাব পোষণ করেন যে, “খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, আর কথা শুনবে না, তাকি হয়?’এ ধরনের মানসিকতা এক ধরনের প্রভুসুলভ মানসিকতা।

তবে আসলে পুরুষ জাতি যথেষ্ট উদার মনোভাবসম্পন্ন নারী জাতির প্রতি। পুরুষরা নারী জাতিকে সম্মান করে। তাঁদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করে।

এটা নারী জাতি মানতে রাজি না – এটাই হচ্ছে নারী জাতির মূল সমস্যা!!আর পুরুষরা সেটা বুজাতে সক্ষম হচ্ছে না!!!

যদিও নারীরাও পুরুষদের যথেষ্ট সম্মান করে এবং পুরুষ জাতির প্রতি যথেষ্ট উদার মনোভাব আছে....

প্রথমেই বলেছি একে অপরের প্রতি উদার মনোভাব রাখলে যার যার প্রাপ্ত সম্মান করলে একে অপরের কাজের মূল্যায়ন করেল আসলে কারো প্রতি কারো-ই কোন অভিযোগ থাকার কথা না অধিকার নিয়ে।

মনে রাখতে হবে দুজনের-ই অধিকার আছে সম্মান পাওয়া এবং দেয়ার।শুধু পাওয়ার আশা করলে তো আর হবে না।

কি বলেন?

বিষয়: বিবিধ

১০৯৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

232200
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
চোরাবালি লিখেছেন : কি এক ক্যাচাল শুরু হল্ আর অন্যের দোষ দিয়ে লাভ কি আমি নিজেও তো ক্যাচাল করে চলেছি
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
178945
সান বাংলা লিখেছেন : ধন্যবাদ....Good Luck
232210
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১১:২২
হতভাগা লিখেছেন : ''তবে আসলে পুরুষ জাতি যথেষ্ট উদার মনোভাবসম্পন্ন নারী জাতির প্রতি। পুরুষরা নারী জাতিকে সম্মান করে। তাঁদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করে।''

০ আসলেই তাই । কোন মেয়ে কোন ছেলে কর্তৃক ইভটিজিং এর শিকার হলে তার প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসে ছেলেরাই , এমন কি এতে তার প্রানও দিয়ে দেয় ।

কোন স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামী ও শশুড়-শাশুড়ি মানসিক ও আর্থিকভাবে নির্যাতিত হলে কেউ এগিয়ে আসে না এর কার্যকর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে , এমনকি সেই ছেলেটির আপন বোনও না যাকে এক সময় তার সেই ভাইই ইভটিজারদের কবল থেকে বাঁচিয়েছিল ।


'' আবার অনেক পুরুষই তার স্ত্রীর প্রতি এমন মন্তব্য করেন বা এমন মনোভাব পোষণ করেন যে, “খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, আর কথা শুনবে না, তাকি হয়?’এ ধরনের মানসিকতা এক ধরনের প্রভুসুলভ মানসিকতা।''

০ আপনার প্রতিষ্ঠান আপনাকে বেতন দেয় আপনার কাজের জন্য । চুক্তি মোতাবেক আপনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ মানতে বাধ্য । পছন্দ না হলে রিজাইন করতে তো কেউ আপনাকে আটকে রাখে নি ।

কোন চাকরিজীবী মেয়ে তো তার প্রতিষ্ঠানে এই নিয়মই পাবে । সেটা মেনেই তো সে সেখানে চাকরি করে পছন্দ হলে , না হলে চলে যায় অন্য খানে ।


আমাদের শরিয়তে স্বামীকেই তো কর্তৃত্ব করার কথা বলে । এটাকে যদি প্রভূত্ব করা মনে করে কোন স্ত্রী তাহলে তো সে তালাক দিয়ে বা নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে । ইসলাম তো তাকে এই অপশনটাও দিয়েছে ।


''যদিও নারীরাও পুরুষদের যথেষ্ট সম্মান করে এবং পুরুষ জাতির প্রতি যথেষ্ট উদার মনোভাব আছে....''

০ বাসে একজন বয়ষ্ক মহিলা বা কোন মহিলা উঠলে তার জন্য সিট ছেড়ে দেয় কে ? একজন পুরুষ । তা সে নারী জাতিকে মা-বোন জ্ঞান করে বলেই করে ।

কখনও কি দেখেছেন কোন বয়ষ্ক পুরুষ বা কোন পুরুষ মানুষ উঠলে কোন মহিলা তার জন্য সিট ছেড়ে দেয় ?

কোনটাকে সন্মান করা বলে -

ছেলেটা যে মহিলার জন্য সিট ছেড়ে দিল সেটা কে ?

না কি মেয়েটি যে পুরুষটির জন্য সিট ছেড়ে দিল না সেটা কে ?
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
178949
সান বাংলা লিখেছেন : আমি কিন্তু উভয়ের দোষ গুন বলেছি!
আপনার বিশ্লেষান আমার ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদGood Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File