নারী পুরুষের অধিকার!

লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ০৭ জুন, ২০১৪, ০৭:২৫:০৮ সন্ধ্যা

নারী পুরুষের সম অধিকার বলতে আমি এটা মনেকরি না যে স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা একই টেবিলে বসবে,পাবলিক প্লেসে পুরুষের মত করে নারীরা অস্থান করবে,নারীরা পুরুষের মত জিন্সের প্যান্ট পড়ে হাটবে আর পুরুষরা নারীদের মত লম্বা চুল রেখে কানে দুল পড়ে রাস্তায় হাটবে।

আবার আমি এটাও মনেকরি না যে স্বামী-স্ত্রী ভাগ করে অর্থ উপার্জন করেবে,অর্থ খরচ করেবে,ঘরের কাজ করেব,অফিস সমলাবে, বাজার করবে,সন্তান লালন-পালনে সমান ভাবে অংশ নিবে।

কুরআন হাদীসে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে পুরুষ ও নারীর আধিকার নিয়ে।

কুরআন হাদীসে সুস্পষ্ট বলা আছে পুরুষের দৃষ্টি সংযত করার ব্যাপারে আবার নারীর পর্দার ব্যাপারে।এই কথাটা থেকে আমাদের অনেক কিছু বুজার আছে এবং সুস্থ্য বিবেকের মানুষরা অনেক কিছু বুজেই থাকেন।

তাছাড়া একে অপরের প্রতি উদার মনোভাব রাখলে যার যার প্রাপ্ত সম্মান করলে একে অপরের কাজের মূল্যায়ন করেল আসলে কারো প্রতি কারো-ই কোন অভিযোগ থাকার কথা না।

কিন্তু আজ-কাল একটা ব্যাপার লক্ষ করা যায় যে সম অধিকার অর্জন করতে গিয়ে পুরুষরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় হাজার বছর ধরে যেভাবে নারীকে নিষ্পেষিত করে এসেছে ঠিক সেভাবেই নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার ধারাবাহিকতায় পুরুষও নির্যাতিত হতে চলেছে। নারী তাও চাইলে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে পারে, কিন্তু পুরুষ? এখন কেউ কাউকে সম্মান করার আগে চিন্তা করে- আমি কারোটা খাই না…

তাছাড়া প্রত্যেকের মাঝেই একটা বদ-মনোভাব কাজ করে যেমন:একজন পুরুষ তার কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে মনে করে যে আমি অনেক কাজ করে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে রাজ্য জয় করে এসেছি এখন আমার স্ত্রী আমার সেবায় নিমজ্জিত থাকবে আমি শুধু পা দুলিয়ে খাব আর বিশ্রাম নিব।

এদিকে একজন মহিলা ঘর ঝাড়ু দেয়া থেকে শুরু করে রান্ন-বান্না ও সংসারের সব কাজ শেষ করে সন্তানদের স্কুলে দিয়ে আসা ও নিয়ে আসার সব কাজ করতে গিয়ে নিজের খাবারের কথাও ভুলে গেছেন সেদিকে স্বামী নামক পুরুষটারও কোন খেয়াল নেই।

তদ্রুপ একজন মহিলাও নিজ সংসারের কাজ করে এমন একটা মনোভাব ধারন করে বসে থাকে যেন সে অন্যের সংসারে কামলা খেটে এসেছে এখন আর এই সংসার তথা স্বামী নামক পুরুষটার জন্য কিছুই করার নেই।অথচ তার স্বামী ১২/১৪ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম করে বাসায় ফিরলেও কোন না কোন কারনে একটা অপ্রিয় কথা বলে উদ্ধার হয় যে এই সংসারে এসে কোন শান্তি পেলাম না কাজ করে করে আমার জীবন শেষ।

এইগুলো সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে তাই এমন মনোভাব সবাইকে পরিহার করতে হবে!

অনেক মহিলারা স্বামী কে সর্বদা বলে তোমার সংসার; তোমার বাড়ী; তোমার ছেলে মেয়ে— তোমার মা বাবা ইত্যাদি ইত্যাদি।আমি মনে করি এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করা উচিৎ মহিলাদের কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষরা এগিয়ে সর্বদায় নিজের শ্বশুর শ্বাশুরী মাতৃ সমতুল্যই মনে করে এবং শালা/শালী তথা শ্বশুর পক্ষের আত্মীয় স্বজন নিয়ে গর্ববোধই করে থাকে।

আবার অনেক পুরুষই তার স্ত্রীর প্রতি এমন মন্তব্য করেন বা এমন মনোভাব পোষণ করেন যে, “খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, আর কথা শুনবে না, তাকি হয়?’এ ধরনের মানসিকতা এক ধরনের প্রভুসুলভ মানসিকতা।

তবে আসলে পুরুষ জাতি যথেষ্ট উদার মনোভাবসম্পন্ন নারী জাতির প্রতি। পুরুষরা নারী জাতিকে সম্মান করে। তাঁদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করে।

এটা নারী জাতি মানতে রাজি না – এটাই হচ্ছে নারী জাতির মূল সমস্যা!!আর পুরুষরা সেটা বুজাতে সক্ষম হচ্ছে না!!!

যদিও নারীরাও পুরুষদের যথেষ্ট সম্মান করে এবং পুরুষ জাতির প্রতি যথেষ্ট উদার মনোভাব আছে....

প্রথমেই বলেছি একে অপরের প্রতি উদার মনোভাব রাখলে যার যার প্রাপ্ত সম্মান করলে একে অপরের কাজের মূল্যায়ন করেল আসলে কারো প্রতি কারো-ই কোন অভিযোগ থাকার কথা না অধিকার নিয়ে।

মনে রাখতে হবে দুজনের-ই অধিকার আছে সম্মান পাওয়া এবং দেয়ার।শুধু পাওয়ার আশা করলে তো আর হবে না।

কি বলেন?

বিষয়: বিবিধ

১১০৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

231953
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:১২
পুস্পিতা লিখেছেন : সুষম অধিকার চাই!
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
178914
সান বাংলা লিখেছেন : সুষম অধিকার পারষ্পারিক ভাবে তৈরী করতে হবেGood Luck
231967
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : বাহ অনেক দিন পরে এসে সুন্দর লিখা দিলেন ধন্যবাদ
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
178915
সান বাংলা লিখেছেন : ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
232020
০৭ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৮
চোরাবালি লিখেছেন : সম অধিকারের জন্য চাই সম যোগ্যতা।
০৮ জুন ২০১৪ সকাল ১০:৪১
178917
সান বাংলা লিখেছেন : আজ-কাল সম যোগ্যতাই অর্জন করতে গিয়েই একে অপরের প্রতি সম সম্মান করতে চায় না!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File