এর পড়েও কি বলবেন শিয়ারা মুসলমান?
লিখেছেন লিখেছেন সান বাংলা ০২ জুন, ২০১৪, ১১:০২:৫৫ সকাল
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে এবার চালু করা হয়েছে মুসলমানদের জন্য ‘হালাল বেশ্যালয়’। ধর্মীয় অনুশাসনের সীমার মধ্যে থেকেই নাকি সেখানে যৌনকর্ম করা যাবে। আর মালিকপক্ষ তাই ওই বেশ্যালয়কে ‘হালাল’ বলে দাবি করছেন।
আমস্টারডামের রেড লাইট এলাকায় স্থাপিত ওই যৌনালয়ের নাম ‘হট ক্রিসেন্ট’। মুসলিম ধর্মের তিনজন স্থানীয় নেতার পরামর্শ নিয়েই নাকি তা স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই পতিতালয়ে যারা শরীর বেচতে যাবেন তারা নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। আর তাদের কখনো মাদক সেবনে বাধ্য করা হবে না। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ীই খদ্দেররা তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন।
শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত একটি রীতির ওপর ভিত্তি করেই এমন পতিতালয় স্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিয়াদের ওই রীতির নাম ‘মুতা বিয়ে’।
মুতা বিয়ে হলো একটি অস্থায়ী বিয়ে। শিয়াদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্করা আনন্দ বিনোদনের জন্য এ ধরণের বিয়ে করতে পারেন। বিয়ের আগেই এর সময় নির্দিষ্ট করা হয়। সময় পেরিয়ে গেলে আপনা আপনিই তালাক হয়ে যায়। শিয়াদের মধ্যে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক বিয়ে ধর্মীয় আইনসিদ্ধ। এর মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনও থাকতে পারে।
ঠিক এ রীতি অনুসরণ করেই ওই পতিতালয় স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে যৌন আনন্দ পেতে গেলে যৌনকর্মীকে প্রথমে মুতা বিয়ে করতে হবে। তারপরই কেবল তাকে পাওয়া যাবে শয্যায়।
সূত্র : বাংলামেইল২৪ডটকম(02-06-2014)
বিষয়: বিবিধ
৩৮১৩ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে সকলে এমন নয়। যতদূর জানি, শিয়াদের মধ্যে ১২ টি গ্রুপ। সবচেয়ে বিশুদ্ধ হচ্ছে, ইমাম খোমেনীর গ্রুপ যারা কোনো শিরকী কুফরী আকিদা লালন করেননা, যারা দীর্ঘ অনেক বছর ধরে ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. আহমদনিজাদ ছিলেন মুসলিম বিশ্বের একজন অত্যন্ত সাহসী নেতা। জীবন যাপন ছিল প্রায় হযরত উমার ফারুক(রা) এর মত।
ভাইয়ের হয়তো জানা নেই, এই খোমেনি তার লিখিত বইয়ে লিখেছে "আমি সেই আল্লাহকে আল্লাহ বলে স্বীকার করি না যে আবু বকর উমর উসমানের মতো অযোগ্য লোকদের খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নাউজুব্ল্লিাহ
সে তার বইয়ে উম্মাহাতুল মু'মিনিন আয়িশা রাযি. কে পতিতার সাথে তুলনা করেছে। নাউজুব্ল্লিাহ .......এবং এমন অনেক সাহাব বিদ্বেষী মতবাদ তারা পোষন করে।
শিয়া একটি আলাদা ধর্মমত। এটা কোনভাবেই ইসলাম নয়।
ধন্যবাদ।
আর শিয়ারা হলো স্বঘোষিত মুসলমান।
তবে তালাকের আগে দুই ফ্যামিলির মান্যজনদের নিয়ে মিলমিশের ব্যবস্থা করার কথা বলা আছে শরিয়তে । এক্ষেত্রে যেহেতু আগে থেকেই প্ল্যান করা থাকে মজা লুটে তালাক নিয়ে নেবার - এটা ইসলামকে অবমাননারই শামিল ।
আমেরিকা থেকে জাপান, আফ্রিকা থেকে নরওয়ে সর্বত্র মুসলমানেরা মুসলিম হিসেবে নিজেদের দাবী করে। আল্লাহ বলেছেন, 'তার কথার চেয়ে কার কথা সেরা, যে সৎ কাজ করে, অসৎ কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে এবং নিজেকে মুসিলম হিসেবে দাবী করে'।
সুতরাং শিয়ারা শিয়াই, তারা মুসলিম নয়। মুসলিম হিসেবে দাবী করতে হয়, কাজ করতে হয়, মানতে হয়। শিয়ারা কোনটাই করেনা।
সালাম আজাদী ভাই নীচে তাঁর মন্তব্যে যেমন বলেছেন, পৃথিবীর সর্বত্র অনেক মুসলমান তো নিজেদের মুসলিম দাবী করে শিয়াদের চেয়ে-ও জঘন্য কুকর্মে লিপ্ত ।
তখন তাকফিরী ফতোয়াবাজি মনে থাকে না ? আমার তো মনে হয়, ওয়াহাবী-সালাফী-আহলে-হাদীস-রা (এবং ওয়াহাবীদের সাথে আক্বিদাগত মিলের কারণে জামাত-শিবির) নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে "সঠিক” মুসলমান মনে করে না - সবাই শুধু শিরক-বিদ'আতের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে !
বেশ কম হল, কেয়ামতের দিন পাপ ও ছওয়াবের মানদন্ডে মুসলমানের আমলকে পাল্লায় রেখে পরিমাপ করা হবে। ফলে, মুসলমান পাপীরা জাহান্নামে যাবে, মুসলিম পূন্যবানেরা জান্নাতে যাবে।
শিয়া-সুন্নি বিরোধ কেন? শিয়ারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম?
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হলো সুন্নি-শিয়াদের মধ্যে কেন এত বিরোধ লেগে থাকে? আর আমি অনেকের কাছেই শুনেছি- শিয়ারা রাসূল (সা.)কে নবী হিসেবে স্বীকার করেন না, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না? আল্লাহর পরেই তো রাসূলকে সম্মান করতে হবে? শিয়ারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম? --রেডিও তেহরানের ফেসবুক গ্রুপে এ প্রশ্নটি করেছেন মাহমুদুল হাসান খান
উত্তর: আপনার প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ। আসলে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাগুলোর ব্যখ্যা নিয়ে মতভেদের কারণেই মুসলমানদের মধ্যে নানা মাজহাব বা মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সব ধর্মের মধ্যেই দেখা যায়। এ জাতীয় মতভেদ কেবল তর্ক বা মত-বিনিময়ের পর্যায়ে সীমিত থাকলেই তা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ নিয়ে সহিংসতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সব পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর বলে এ ব্যাপারে মুসলমানদের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রশি বা রজ্জুকে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না ।
আসলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অনেক মৌলিক বিষয়েই রয়েছে মতের মিল। যেমন, উভয় মাজহাবই এক আল্লাহ, অভিন্ন ধর্মগ্রন্থ তথা পবিত্র কুরআন এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানেন। উভয় মাজহাবই পরকালের প্রতি তথা পুনরুত্থান ও বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ও নারীদের পর্দা করা ফরজ হওয়ার বিষয়সহ আরো অনেক বিষয়েই একমত। এইসব বিষয়ের খুঁটিনাটি দিকে কিছু মতভেদ রয়েছে যা সুন্নি ভাইদের চার মাজহাবের মধ্যেও রয়েছে ।
তবে শিয়া ও সুন্নি মাজহাবের মধ্যে মতবিরোধের একটা দিক হলো- বিশ্বনবী (সা.)'র পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে। সুন্নি ভাইয়েরা মনে করেন এ বিষয়টি আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল মুসলমানদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন এবং সাহাবাগণ নির্বাচন পদ্ধতিতে খলিফা নির্বাচন করেছেন ।
অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা মনে করেন, বিশ্বনবী (সা.)'র স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি মহান আল্লাহই নির্ধারণ করেন ও তা রাসূল (সা.)-কে জানিয়ে দেন। আর এরই ভিত্তিতে হযরত আলী (আ.) এবং এরপর তাঁর বংশধরগণ ছিলেন মুসলমানদের প্রকৃত খলিফা।
তবে শিয়াদের সম্পর্কে একটি মারাত্মক মিথ্যা অভিযোগ তথা অপবাদ হলো তারা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী বা শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করেন না। বরং শিয়া মুসলমানরাও সুন্নি ভাইদের মতই মনে করেন যে, বিশ্বনবী (সা.)'র পর আর কোনো নবী আসবেন না এবং যারাই এ বিশ্বাস পোষণ করবে না তারা মুসলমান হিসেবে স্বীকৃত হবে না।
আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)'র ভাষণ ও বক্তৃতামালার সংস্করণ 'নাহজুল বালাগ্বা' শিয়াদের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রামাণ্য বই। আল্লাহ ও বিশ্বনবী (সা.)'র বাণীর পরই এ বইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। আবার সুন্নি মুসলমানের কাছেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য বই। এ বইয়ে স্বয়ং আলী (আ.) থেকে বার বার বলা হয়েছে যে রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী। দৃষ্টান্ত হিসেবে এ বইয়ে উল্লেখিত আলী (আ.)'র ৭১ ও ২৩৩ নম্বর খোতবা দেখুন (সাইটে এ দুই খোতবার ফটোকপি সংযুক্ত করা হল)। তাই শিয়ারা রাসূল (সা.)-কে নবী ও রাসূল বলে মানেন না- এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে প্রচারিত একটি অপবাদ।
শিয়া মুসলমানরা যে কোনো সমাবেশে কিংবা একা থাকলেও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরুদ পাঠ করে সম্মান প্রদর্শন করেন তাঁকে ও এমনকি তাঁর আহলে বাইতকেও।
এ ছাড়াও শিয়া মুসলমানরা বিশ্বনবী (সা.)'র নবুওত প্রাপ্তির দিবসকে উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন।
শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতভেদ থাকলেও তারা যুগ যুগ ধরে পরস্পরের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করে এসেছে। তাদের মধ্যে বড়জোর জ্ঞানগত তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি বিনিময় হতো। আসলে ইসলামের শত্রুরাই মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সহিংস দাঙ্গা বাধানোর জন্য সুন্নি নামধারী একদল ওয়াহাবিকে উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। এই ওয়াহাবিদের দৃষ্টিতে সুন্নিদের চার মাজহাবের তিন মাজহাবের ইমামগণ এবং তাদের অনুসারীরাও কাফির ও হত্যার যোগ্য! আপনারা হয়তো জানেন যে ভারত বর্ষে মোঘল শাসকদের অনেকেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। নবাব সিরাজউদদৌলাও ছিলেন শিয়া মুসলমান। দানবীর ও ভারতবর্ষে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্পদ ওয়াকফকারী মহান ব্যক্তিত্ব হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন ছিলেন একজন শিয়া মুসলমান। ভারতবর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনসহ উপনিবেশবাদী কাফির শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
বর্তমান যুগে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ থেকে মুসলমানদের দৃষ্টি আড়াল করতে এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহজেই শোষণ করার জন্য দেশে দেশে শিয়া-সুন্নি বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে সাম্রাজ্যবাদীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় এ ধরনের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে আলকায়দা বা আইএসআইএল-এর ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুই দেশের শিয়া ও সুন্নি আলেমগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াহাবি ও বিজাতীয় শক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানানোর পর সন্ত্রাসীরা শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের সম্মিলিত শক্তির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান রূপকার ইমাম খোমেনী (র.)ও বলেছেন, যারা মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল।
আরে ভাই এই সব খারাপ জিনিষ নিয়ে ব্যবসার কথা বাদ দিন, রামাদান বা ঈদ নিয়ে মুসলমান রা যা করতেছে, ঈমান থাকে তা দেখে? এই যে ঈদ উপলক্ষে যত সিনেমা, নাটক, নোংরা ঈদ ম্যগাজিন আমাদের মুসলিম দেশে হয়, তা কি ঈমান মেন নেয়?
আসলে শিয়া সুন্নি বলে কোন কথা আমি আর বলি না, আমি কোন দলের মধ্যেই আর ইসলাম খোঁজার চেষ্টা করিনা। মুসলিম হিসেবে আমি কি করছি- এটাই আমার একান্ত প্রশ্ন।
আপনাকে ধন্যবাদ, শীরোনাম মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে, আলহামদুলিল্লাহ
আমরা নিজেদের (যারা সুন্নী বা মুসলিম বলে নিজেদের দাবী করে) দোষ খুঁজে সংশোধিত হবার পরিবর্তে অন্যের দোষ তালাশে ব্যস্ত । শুধু তাই না, খবরটা সঠিক কিনা তা যাচাই না করে (কুর'আন আমাদের কি নির্দেশ দিয়েছে এ ব্যাপারে) কেউ কেউ (মন্তব্যকারীদের নামগুলো দেখে রাখুন; ভবিষ্যতে কাজে দেবে) তাকফিরী ষ্টাইলে ফতোয়াবাজিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । খবরটি নিয়ে মন্তব্য না করে শিয়ারা মুসলমান কিনা সে বিষয়ে আলোচনা গড়িয়ে গেছে । মূল খবরের আড়ালে যার মনে যা তা বের হয়ে গেছে …
পোষ্টের শিরোনাম শুধু মানুষের দৃষ্টি-ই কাড়েনি, এটি এক শ্রেণীর ব্লগারদের শিয়াদের প্রতি সুপ্ত ঘৃণা-বিদ্বেষাগ্নি-কে উস্কে দিয়েছে ।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152465872795762&set=a.10151447225515762.1073741825.581630761&type=1&theater;
মন্তব্য করতে লগইন করুন