ঈমান ও আক্বীদার মানদন্ডে থার্টি ফাস্ট নাইট
লিখেছেন লিখেছেন আবু লাবীব ইউসুফ সরকার ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:২৯:২১ দুপুর
ভূমিকাঃ
প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বারের রাতটিকে বিশ্বের অনেক দেশে থার্টি ফাস্ট রাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে, ইদানিং আমাদের দেশেও এই রাতটি উক্ত নামে আখ্যায়িত হচ্ছে। যদিও ইংরেজী নববর্ষ উদজাপন রেওয়াজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও আগে থেকে চলে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে বর্ষবরণের সাথে সাথে যোগ হয়েছে এই নুতন কথাটি “থার্টি ফাস্ট নাইট” যা হয়তো আরো ১০-১৫ বছর আগে মানুষ শুনে নাই।
প্রিয় পাঠক আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চাই এই থার্টি ফাস্ট নাইট নিয়ে।
নিঃসন্দেহে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ এটি মুসলমানদের আবিষ্কার করা কোন কথা নয় বরং এটি সর্ব প্রথম অমুসলিমরাই আবিষ্কার করেছে, তাই আসুন দেখি তারা কিভাবে এই রাতটি উপভোগ করে।
একেক দেশে একেক সংস্কৃতরি মাধ্যমে র্বষবরণ অনুষ্ঠতি হয়। একজন অন্য জনরে গায়ে পানি ছিটিয়ে থাইল্যান্ডরে উৎসব, আঙুর খেয়ে স্পনেরে উৎসব, নবর্বষরে শুরুতে ঘুমালে চোখের ভ্রু সাদা হয়ে যায় সে কারণে শুরুর সময়টাতে না ঘুমিয়ে কোরিয়ানদের উৎসব, রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে বারোটি ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে মেক্সিকোর উৎসব, ভোর হওয়ার সাথে শিক্ষকদের নিকট র্দীঘায়ু কামনা করে ভিয়েতনামের উৎসব, পরিবারের সব সদস্যদের একত্রে রাতরে আহার করার মাধ্যমে আর্জেন্টিনা উৎসব, সাদা পোষাক পরধিান করে ব্রাজিল বাসীর উৎসব পালিত হয়।(এই অংশটি নেট থেকে সংগৃহিত)
এই আবিষ্কারকদের উৎসব পালনের পদ্ধতি যেখানে কিছু কুসংস্কার এবং কিছু শালীন কর্ম কন্ড রয়েছে।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নবাবিষ্কৃত এরাতের ভয়াবহতাঃ
আমারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্যম মুসলি রাষ্ট্র, আমাদের দেশে এই রাত পালন হচ্ছে, নাচ,গান,বেহায়াপনা এব ং চরম অশ্লীলতার লেটেষ্ট রূপ ডিজে পার্টির মাধ্যমে।
প্রিয় পাঠক দুঃখ্য জনক হলেও বাস্তব সত্য হল এই যে, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মর্ডানের নামে তরুণ-তরুনীরা এরাতে ‘র্মাডার’ হচ্ছে|
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন- দুই শ্রেণীর জাহান্নামী রয়েছে, যাদের আমি এখনও দেখিনি। এমন সম্প্রদায়, যাদের হাতে গরু পরিচালনা করার লাঠি থাকবে। তা দ্বারা তারা মানুষকে প্রহার করবে। আর নগ্ন পোষাক পরিধানকারী নারী, যারা পুরুষদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও পুরুষের দিকে আকৃষ্ট হয়। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ উহার সুগন্ধি এত এত দূর থেকে পাওয়া যায়’। - মুসলিম, মিশকাত ৩৫২৪।
কোরআন ও হাদীসের দৃষ্টি ভঙ্গিঃ
প্রথমতঃ আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের জীবনের সবকিছুই হতে হবে ইসলামের আলোকে, অথচ এই ইসলাম তার নিজস্ব বর্ষ বরণ অর্থাৎ আরবী বর্ষ বরণের কথাও তার কোন অনুসারীকে বলে নাই।
দ্বিতীয়তঃ রাত এবং দিন, আল্লাহ্ র সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত, তাই তাঁর সৃষ্টিকে তাঁর বিধান মোতাবেক ব্যবহার এবং ভোগ ও উপভোগ করাই সমচিন। তাই আসুন আমার দেখি রাত সম্পর্কে আল্লহ্ কি বলেছেন?
সূরা নাবার ১০-১১ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা এরশাদ করেছেনঃ
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا * وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا"،
অর্থঃ“রাতকে করেছি আবরণ আর দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়।
"وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ اللَّيْلَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا".
সূরা ইউনুসের -৬৭ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা এরশাদ করেছেনঃ
অর্থঃ“ তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য।
সূরা কাসাসের ৭৩ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা এরশাদ করেছেনঃ
وَمِنْ رَحْمَتِهِ جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
অর্থঃ“ তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদো জন্য রাতও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ ও তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
সূরা মুযযাম্মিলের ১-৩ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা এরশাদ করেছেনঃ
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ. قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا. نِصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا. أَوْ زِدْ عَلَيْهِ
অর্থঃ“হে বস্ত্রাবৃত,রাত্রিতে দন্ডয়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে, অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথবা তদপেক্ষা বেশী ।
তাহলে এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে যে রাতের মূল কাজ হল মানুষ আরাম করবে এবং রাতের কিছু অংশ আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত করবে।
হাদীসে রাত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছেঃ
((ينزل ربنا تبارك وتعالى إلى السماء الدنيا كل ليلة حين يبقى ثلث الليل الآخر فيقول: من يدعوني فأستجيب له، من يسألني فأعطيه، من يستغفرني فأغفر له، حتى ينفجر الفجر)) أخرجه البخاري برقم ১১৪৫، ومسلم برقم ৭৫৮.
অর্থঃ“ রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে আমাদেও রব পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন কে আমার নিকট কোন দোয়া করবে আমি তার দোয়া কবুল করব, কে আমার নিকট কিছু চাইবে আমি তাকে তা দিব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব, এভাবে ফযর হওয়ভ পর্যন্ত তা চলতে থাকে। (বোখারী হাদীস নং ১১৪৫ মুসলিম হাদীস নং-৭৫৮)
প্রিয় পাঠক মহন আল্লাহ্ যখন মানব মন্ডলীকে এই ভাবে আহ্বান করতে থাকে তখন কেউ কি করে অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনায় মগ্ন থাকতে পারে ? !
বিষয়: বিবিধ
১৫০২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সবাই রাতে ঘুমায়, দিনে জাগে। এখানে কোরাণের কি কারস্মা? এটা ছাগলও বুঝে।
কিন্তু আপনারা যখন রাত জেগে পিছলামী এবাদত করেন তখন মনে থাকে না?
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আপনার নবীর ভৌগলিক জ্ঞান প্রাইমারী ছাত্রের চেয়ে কম। পৃথিবীর এক স্থানে যখন রাত, অন্য স্থানে তখন দিন। আর চাইলেই যদি আল্লা দিতে পারতেন তা হলে আপনাদের মত হুজুরা ৫টাকা/১০টাকার জন্য আরেক জনের কাছে হাত পেতে থাকত না।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ইহুদী-নাসারা রা তাদের বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, প্রযুক্তি দিয়ে মুসলমানদের তথাকথিত আল্লাকেই নরকে চালান করে দিয়েছে। তারপরও আল্লা আল্লা?A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন