জামাতের বিদেশী প্রভু কারা!!!

লিখেছেন লিখেছেন লালসালু ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৪৩:০৮ সন্ধ্যা

জামাতের বিদেশী প্রভু কারা!

আমার এই পোষ্ট লেখার ইচ্ছা ছিল না। নেট ঘেঁটে বের করছিলাম ইসলামী ব্যাংকের পেছনে কারা। কিন্তু হঠাৎ মনে হল ইসলামী ব্যাংকের পেছনে যেসব বিদেশী রয়েছেন তারাই হয়তো জামাতের বিদেশী প্রভু!

বিদেশী প্রভু মানে কী? বিএনপির মতে আওয়ামীলীগের বিদেশী প্রভু ভারত। আওয়ামীলীগের মতে জামাতের বিদেশী প্রভু পাকিস্তান আর বিএনপির বিদেশী প্রভু আমেরিকা।

এবার আসি মূল আলোচনায়। বিশ্বের ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এই ব্যাংকের ওয়েব সাইট ঘাঁটতে যেয়েই এই পোষ্টের উদ্ভব।

প্রথমেই বলে রাখি আমার পরিচিত অনেকেই ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে জড়িত। এর মধ্যে কয়েকজন ইসলামী ব্যাংকে চাকুরি করেন। এর মধ্যে একজন তাবলীগ করেন। যিনি রিটেন পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাবলীগ এর লোকজন জামাত বিরোধী। আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি তার এলসি খোলা হয় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আমার ইসলামী ব্যাংকে কখনো একাউন্ট ছিল না এমনকি আমার বাবারও ছিল না। এর আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা পড়ে ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে যা কিছু জেনেছি এখন তা বাস্তবে জানার সুযোগ পেয়েছি।

তা আমি ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে কী কী জানলাম?

বাজারে ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে প্রচলিত কিছু ধারনা আছে। যেমন,

১) ইসলামী ব্যাংক জামাত শিবিরের ব্যাংক

২) এই ব্যাংকে শুধুমাত্র জামাত শিবিরের লোকজনই চাকুরি করে।

৩) এই ব্যাংক জামাত শিবিরের ফান্ডের একটা বড় অংশের যোগানদাতা।

৪) এই ব্যাংক একটি সাম্প্রদায়িক ব্যাংক (শুধুমাত্র মুসলমানদের)

৫) এই ব্যাংকে শুধুমাত্র জামাত শিবিরের লোকজন ব্যাবসা করে/একাউন্ট খোলে।

এই ধরনের আরো কিছু কথা এই ব্যাংক সম্বন্ধে শোনা যায়।

আমি শুধুমাত্র এইসব গুজবের সাথে আমার জানা এবং অভিজ্ঞতা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি।

প্রথমে আসি ২ নং পয়েন্টে “ইসলামী ব্যাংকে শুধুমাত্র জামাত শিবিরের লোকজনই চাকুরি করে”। আমি এই পয়েন্টের সাথে ১০০ভাগ একমত। আমি ওদের যত ব্রাঞ্চে গিয়েছি সব ব্রাঞ্চেই দেখি দাঁড়ি টুপিওয়ালা লোকজন। দাঁড়িতে জামাতী কাটিং! জামাতী কাটিং শব্দটা শুনে অবাক হয়েছেন? যারা জামাত শিবিরকে দেখেছে তারাই জানে দাঁড়ির জামাতী কাটিং এর মানে কী? আমার ধারনা জামাতের রোকন না হলে এই ব্যাংকের বড় পদে প্রমোশন দেয়া হয় না। এই ব্যাংকের চাকুরিজীবিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পোষ্ট হল এমডি। ওনার কোন রাজনৈতিক পরিচয় না জানা গেলেও ছয় জন ডিএমডির মধে একজন হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবে এমপি, জামাত নেতা ও শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এর ভাই আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদেক। বাকী পাঁচজনের মধ্যে তিন জনকে দেখেছি দাঁড়িওয়ালা। জামাতী হওয়াই স্বাভাবিক। হয়ত ওনারা জামাতের কোন কমিটিতে নাই তাই জানি না। জামাতী ছাড়াও মাঝে মধ্যে কিছু লোক ওনারা নেয়। এর মধ্যে কিছু হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের লোকজন আছে। পাহাড়ী উপজাতীও কিছু আছে। আমার ধারনা সেগুলো লোক দেখানো।

এবার আসি ৩ নং পয়েন্টে “ইসলামী ব্যাংক জামাত শিবিরের ফান্ডের একটা বড় অংশের যোগানদাতা” এ ব্যাপারেও আমি ১০০ ভাগ একমত। দেশের যত ব্যাংক রয়েছে তা কোন না কোন পলিটিকাল নেতার পরিচয়ে চলে। যেমন, ন্যাশানাল ব্যাংক বিএনপি আমলে চলে কুমিল্লা বড়ুরার সাবেক এমপি তাহের সাহেবের ছেলে সুমনের নামে। তিনি এই ব্যাংকের পরিচালক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের অফিসের বাড়ীর মালিক। ওনার পুরো নাম জাকারিয়া তাহের। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেখবে উনি এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবেন। আর আওয়ামীলীগের আমলে এই ব্যাংকের সর্ব ক্ষমতার অধিকারি হন সিকদার মেডিকেলের মালিক বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা সিকদার সাহবে। এভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রত্যেক ব্যাংক এর পরিচালনা পরিষদে আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপির বড় কোন নেতা আছে। ওদের ওয়েবসাইট ঘাঁটলেই এই সব তথ্য পাওয়া যাবে। আমি যা বলতে চেয়েছি, বিএনপি নেতা ব্যাংক থেকে যে লভ্যাংশ পায় তিনি অবশ্যই তা বিএনপির কাজে লাগাবেন। আওয়ামীলীগ নেতা ব্যাংক থেকে যে লভ্যাংশ পান তিনি অবশ্যই তা আওয়ামীলীগের কাজে লাগান। তাহলে জামাতের নেতারা যেহেতু ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত তাই জামাতের নেতারা এই ব্যাংকের লভ্যাংশ জামাতের কাজে লাগাবেন এটাই স্বাভাবিক।

এখন আসি ৪ নং পয়েন্টে “ইসলামী ব্যাংক একটি সাম্প্রদায়িক ব্যাংক (শুধুমাত্র মুসলমানদের)” এই পয়েন্টের সাথে আমি ১০০ ভাগ দ্বিমত। ইসলামী ব্যাংকের প্রথম একাউন্ট ১৯৮২ সালে খোলেন এক হিন্দু। ওনার একাউন্ট নম্বর ০০১ এখনো ওনার একাউন্ট ইসলামী ব্যাংক ‘লোকাল অফিস’ ব্রাঞ্চে চালু আছে। এছাড়া আমি নিজে দেখেছি অনেক ভিন্ন ধর্মের অনেক মানুষ ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছে এবং নিয়মিত লেনদেন করছে। তবে আমার ধারনা এটা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম। যেহেতু ওদের প্রত্যন্ত এয়াকায় অনেক ব্রাঞ্চ আছে তাই ঐ এলাকার হিন্দুরা অন্য কোন ব্যাংক না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছে।আর যেহেতু ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স আনা সবচেয়ে সহজ তাই প্রবাসীর পরিবারের লোকজন এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলেন তিনি যেই ধর্মের লোক হন না কেন।

৫নং পয়েন্ট “ইসলামী ব্যাংকে শুধুমাত্র জামাত শিবিরের লোকজন ব্যাবসা করে/একাউন্ট খোলে” এই ব্যাপারে আমি ১০০ ভাগ দ্বিমত। জামাত শিবিরের লোকজনের ব্যাক্তিগত একাউন্ট এই ব্যাংকে আছে। কিন্তু খেয়াল করেছি জামাত শিবির পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট এই ব্যাংকে অনেক কম! জামাতের লোকদের আমরা যতটা বোকা মনে করি ওরা ততটা বোকা নয়। ওরাও ভাল করে জানে যেকোন মুহূর্তে এই ব্যাংক সরকার ‘ক্রোক’ করতে পারে তাই তারা তাদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক রাখতে অন্য ব্যাংকের একাউন্টে টাকা রাখে। তাহলে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগে এত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক কারা? একটু ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনার এলাকায় যে শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে তা যত ছোট বা বড় হোন না কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে কোন ব্যাংক। খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন ৩০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে যদিও সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি’র বড় নেতা এমনকি লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অথবা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে পারেন! ইসলামী ব্যাংকের ইনভেস্ট বিভাগের এক অফিসারের মতে এই সরকারের ক্ষমতাসীন দলের ৩৪জন এমপি কোন না কোন ভাবে ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত। এর মধ্যে একজন হলেন যশোরের অভয়নগর আসনের এমপি আকিজ গ্রুপের মালিক। ওনার প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ব্যাপারটা এমন “তুমি খাড়াইবা আর আমি তোমারে বসাইয়া দিমু, যাতে সবাই মনে করে আমাগো মইধ্যে কোন মিল নাই-সূত্র স্কাইপি”। কুষ্টিয়ার ঝিনাইদহের আরেক এডভোকেট এমপি যার একটি ল’ কলেজ ঢাকায় আছে তার কলেজের প্রত্যেক ছাত্রে একাউন্ট ইসলামী ব্যাংকে খুলতে হয়। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফী জমা নেয়া হয়। আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের পুরান ঢাকার বাড়ীটাও ইসলামী ব্যাংকের ইনভেস্টে করা। এরকম আরো শত শত উদাহরন আছে। তার মানে তারা তলে তলে ঠিক আর শাহবাগীরা গলা ফাটাচ্ছেন ই-তে ……………

এবার আসি ১নং ও মূল পয়েন্টে “ইসলামী ব্যাংক জামাতীদের ব্যাংক”। এই প্রসঙ্গে আমি একটি গল্প বলি। আমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতাম যাদের ইনভেস্টর ছিল যমুনা ব্যাংক। সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের অনেক টাকা। তার এক ছোট ভাই দীর্ঘ ১৮ বছর ইটালি থেকে কিছুই করতে পারেন নি। বড় ভাই দেখলেন ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু করা দরকার। তখন তিনি ৫ কোটি টাকা খরচ করে একটি গারমেন্টস ইন্ড্রাস্টি দিলেন আর ছোট ভাইকে এর এমডি হিসেবে বসালেন। মূলত মালিক বড় ভাই। শেয়ারও তার। ছোট ভাই শুধু দেখাশোনা করেন। ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঠিক এ কথাটাই সাজে। এটাকে আমি ‘ছোট ভাই বড় ভাই সিস্টেম’ ধরে নিলাম, নিচের আলোচনায় এই সিস্টেম কাজে লাগবে। ইসলামী ব্যাংকের মূল মালিক সৌদী আরবে কিছু ধনকুবের। তারা ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে শুধুমাত্র তাদের এদেশীয় ‘ছোট ভাই’ জামাতীদের জন্য।

ইসলামী ব্যাংকে আর শেয়ার কত? শেয়ারহোল্ডার কারা?

ওদের ওয়েবসাইট থেকে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস এর লিস্টে যা পেলামঃ

১- চেয়ারম্যানঃ অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আব্দুর জাহের-উনি খাঁটি জামাতী। উনি এক সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ঐ ব্যাংকের অফিসারদের তথ্য মতে তিনি এসেছেন মূলত ইবনে সিনা ট্রাস্ট থেকে। ইবনে সিনা ট্রাস্ট ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। ইবনে সিনা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

২- ভাইস-চেয়ারম্যান- ইউসুফ আব্দুল্লাহ আল রাজী মূলত ইনিই ইসলামী ব্যাংকের মালিক পক্ষের লোক। ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শেয়ারহোল্ডার আল-রাজী কোম্পানীর নামের সাথেও এই লোকের নাম মিলে যায়। তারমানে আল-রাজী ওনার ফ্যামিলী বিজনেস। ওয়েব সাইটে সার্চ দিয়ে দেখি আল-রাজী কী? Al-Rajhi Banking & Investment Corporation

টাইপ করে সার্চ দিলাম। যে তথ্য পেলাম তা হল ‘আল-রাজী ব্যাংক হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক, সৌদী আরবের সবচেয়ে বড় ইভনেস্ট। এর চেয়ারম্যান হলেন ‘সোলায়মান আব্দুল আজীজ আল-রাজী যিনি ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের ১২০ তম ধনী। উনি সৌদী রাজ পরিবারের বাইরের সর্বোচ্চ ধনী। ২০০২ সালে এফবিআই এর সন্দেহভাজনের তালিকায় এই ব্যাক্তি ছিলেন, এফবিআই এর সেই অপারেশনে নাম ছিল । পরে মার্কিন সিনেটের ‘বিশেষ বিলে’ এই ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার মানে বোঝা যায় মার্কিন কংগ্রেসে এই লোকের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। টাকার কাছে সবাই অসহায়।

৩-ভাইস চেয়ারম্যান- ইঞ্জিনিয়ার মুস্তফা আনোয়ার- ক্লীন সেইভড! ওনার সম্মন্ধে তথ্য দেয়া আছে- তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি, যেই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম হর্তা কর্তা আওয়ামীলীগের দ্বিতীয় প্রধান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী! আনোয়ার সাহবে বিজিএমইএর পরিচালক ছিলেন, তিনি বার্ডস গ্রুপ নামক গার্মেন্টস গ্রুপের এমডি এবং চেয়ারম্যান। এই বার্ডস গ্রুপের অন্যতম তত্বাবধায়ক হলেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সেক্রেটারি সাভার-আশুলিয়ার এমপি’র ডান হাত শাহাদাত হোসেন খান!

৪-বিদেশী পরিচালক পেলাম যার নাম ডঃ আব্দুল হামিদ ফুয়াদ আল খতিব, মূলত ওনার বংশীয় নাম ফুয়াদ আল খতীব। আপনারা কেউ যদি কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে গিয়ে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন ঢোকার মুহূর্তে ‘ফুয়াদ আল খতীব ফার্নিচার’। রাস্তার পশ্চিমে ইবনে সিনা ফুয়াদ আল খতীব ব্রাঞ্চ কিছুদিন আগে যার নাম ছিল ‘ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতাল’। ইবনে সিনা ট্রাস্টের মূল দাতা হলেন এই ফুয়াদ আল খতীব ফ্যামিলী। ফুয়াদ আল খতীব সম্মন্ধে নেটে যা পেলামঃ তিনি হলেন সৌদী আরবের কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঙ্গিনিয়ারিং এর সহকারী অধ্যাপক। ওনার ওয়েব লিঙ্ক http://alkhateeb.kau.edu.sa/Default.aspx?Site_ID=0002641&Lng=EN

মূলত ওনার পিতা ফুয়াদ আল খতীব ছিলেন সৌদী রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সৌদী আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি, দিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৬ই আগস্ট। এরপর বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসেন এই ফুয়াদ আল খতীব। মূলত তিনিই ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্দোক্তা।

৫-ইঞ্জিনিয়ার ইস্কন্দর আলী খান- দাঁড়িওয়ালা এই পাবলিক সম্মন্ধে কোন তথ্য পেলাম না। তবে মনে হল জামাত শিবিরের লোক।

৬-মমিনুল ইসলাম পাটোয়ারী- ওনার ছবি দেখে মনে হল তিনি একদা ঢাকা মহানগর জামাতের আমীর ছিলেন। এখন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য।

৭-সালাহউদ্দিন আহমেদ নামক ভারতে পড়াশোনা করা এক তরুন পরিচালক পেলাম।

এছাড়া আর যাদেরকে পেলাম তাদের কারো রাজনৈতিক পরিচয় পেলাম না। তবে এরা পেশাগত যোগ্যতায় দক্ষ। এরা সম্ভবত বেতনভুক্ত পরিচালক।

ইসলামী ব্যাংকের লোকাল স্পন্সর হিসেবে যাদেরকে পেলাম তাদের বেশিরভাগই বিখ্যাত কেউ নন। ওয়েব সাইট ঘেঁটে কিছু পেলাম না।

এবার আসি মূল স্পন্সর মানে বিদেশী স্পন্সর কারা। বিদেশী স্পন্সরের মধ্যে দুই জনের কথা উপরে আলোচনা করলাম- আল-রাজী ও ফুয়াদ আল খতীব। এছাড়া আছেন Kuwait Finance House (K.S.C.), Kuwait

ওয়েবে সার্চ দিয়ে যা পেলাম তার সার কথা হল এটির মালিক মূলত কুয়েত সরকার।

এরপরে আছে Jordan Islamic Bank, Jordan

এটির মূল মালিক জর্ডান সরকার।

এরপর Islamic Investment & Exchange Corporation, Doha, Qutar

এরকম একটার পর একটা নাম দেখছি আর ওয়েবে ঘাঁটাঘাঁটি করছি। দেখার পর পুরাই টাস্কিত হলাম। বাংলাদেশে জামাতের রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের অবস্থা করুন হয়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ ছয়টা সরকার জামাতকে সহযোগিতা করে।

পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল শুধু ইসলামী ব্যাংক সম্মন্ধে জানা অথচ শেষ পর্যায়ে এসে যা জানতে পারলাম এরা সবাই জামাতের বিদেশী প্রভু।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

২৪০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File