জামাতের সবচেয়ে বড় উপকার করেছে গণজাগরন মঞ্চ!!!
লিখেছেন লিখেছেন লালসালু ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১০:০৫:২৫ রাত
জামাতের সবচেয়ে বড় উপকার করেছে গণজাগরন মঞ্চ!!!
-
-
-
-
ইসির বিশ্লেষণে ও বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামী ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন পেয়েছিল ১০টি। এর পরে ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আসন পেয়েছিল ১৮টি। এ নির্বাচনে তারা ২২২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোট ভোট পেয়েছিল ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৬১টি, যা মোট ভোটারের ১২.১৩ ভাগ। দেখা গেছে, এর পরে ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে তাদের জনসমর্থনে ভাটা পড়ে। এ নির্বাচনে তারা আসন পায় ৩টি। ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোট ভোট পায় ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩টি, যা মোট ভোটারের ৮ আট দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচনে জামায়াত আসন পায় ১৭টি। এ সময় ৩১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোট ভোট পায় ২২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩টি, যা মোট ভোটের চার দশমিক শূন্য ছয় ভাগ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তারা মাত্র দুটি আসন পায়। এ নির্বাচনে ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোট ভোট পায় ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৭ টি, যা মোট ভোটের চার দশমিক সাত ভাগ।
-
বোঝা যাচ্ছে যে হারে জামাতের ভোট কমছে তাতে আর দুই একটা নির্বাচন করার পর জামাতের জামানত হারানো একটা স্বাভাবিক পর্যায়ে পরিণত হবে। মানুষ এখন অনেক সচেতন, ওরা ভাবে, জামাতকে ভোট দিয়ে কী লাভ, কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারব না তার চেয়ে বরং আওয়ামীলীগ বিএনপিকে ভোট দেই, ভোটটা কাজে লাগবে। এবার তারা আসন পেয়েছে ২টি। সামনে হয়তো একটি পেত, পরেরবার একটিও না।
এভাবে জামাত এক সময় হয়তো মৃত একটি সংগঠনে পরিনত হত। তখন জামাত তার নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন না করে রাশেদ খান মেননের মত নৌকা অথবা ধানের শীষে নির্বাচন করত। দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেয়া তখন হত ‘ভোটটা পানিতে ফেলা’! কে চায় তার ভোট পানিতে ফেলতে?
৯১ এর নির্বাচনে আমাদের এলাকায় জামাতের প্রার্থী হয়েছিলেন জামাতের তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর আমীর, ব্লগার যাযাবর এর পিতা মাওলানা অধ্যক্ষ আবু তাহের। পরের বার উনি আরো অনেক কম ভোট পেয়েছিলেন। তখন থেকেই মনে হতে লাগল বাংলাদেশের জামাতের ভবিষ্যত ভাল না। ২০০১ সালে জোটবদ্ধভাবে জামাত নির্বাচন না করলে ২০০৮ সালে জামাতের অনেক প্রার্থী জামানত হারাত।
সার কথায় আমি বলতে চেয়েছি,
১) জামাত এখন মরার পথে, কয়েকদিন পর এমনিতেই মরে যেত। ছাত্ররা যখন দেখত সংসদে ওদের কোণ আসন নেই, কোন উপজেলা চেয়ারম্যান, কমিশনার জামাত করেন না তখন ছাত্রদের মাঝে শিবির দাওয়াতী কাজ করে তেমন বেশি সুবিধা করতে পারত না যেমন পারছে না বর্তমানে বাম দলগুলো। অথচ এক সময় এই বাম দলগুলোর আধিপত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পর্যন্ত টেকা কষ্ট হয়েছিল।
২) জামাতের নেতা মীর কাশেম আলীর মালিকানাধীন দিগন্ত টিভির দর্শক ছিল শুধু জামাতীরা।
হঠাৎ সরকারের কী মনে হল! এই মৃত প্রায় জামাতকে জাগানো দরকার। কী করা যায়। সরকারের মদদে সৃষ্ট হল গণ জাগরন মঞ্চ। শুরু হল স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জামাত বিরোধী আন্দোলন। শুরুতে এই আন্দোলনে ছেলে বুড়ো সবাই স্বতঃস্ফুরত ভাবে গিয়েছিল। আমাদের ফ্যামিলীর ছয় জন সদস্যের মধ্যে দুই জন গিয়েছিল। আমার মনে হয় ঢাকা শহরের এমন পরিবারের সংখ্যা কম আছে যেই পরিবার থেকে শাহবাগে কেউ যায়নি। আমাদের এলাকার মসজিদের ঈমাম সাহেব তার ফ্যামিলী নিয়ে শাহবাগে গিয়েছিলেন। মসজিদে এসে ওদের জন্য দোয়া করেছিলেন যাতে ওরা সফল হয়। আমি দেখেছি আমাদের এলাকার সাধারন জনগন যারা জীবেনও রাজনীতি করেননি তারা শাহবাগীদের জন্য নিজের পকেটের টাকা দিয়ে খিচুড়ী রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার ছোট বোন আমার কাছ থেকে টাকা নিল, ওদের ইউনিভার্সিটি থেকে ওর বন্ধু বান্ধবীরা মিলে শাহবাগে যাবে আর ওদের জন্য বিরানী রান্না করবে। এমন গণ আন্দোলন বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি।
কিন্তু দুই তিনদিন পার হতে না হতেই দেখা গেল আম জনতার এই আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেল। একটি গোষ্ঠী এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া শুরু করল। জনতার মনে দাগ কেটেছিল তবে তবুও জনতা শাহবাগীদের সমর্থন দিচ্ছিল। থাক না, নেতৃত্ব কেউ দিক তাতে আমার যায় আসে না, সে তো মানুষ।
এই শাহবাগের পক্ষে গোটা জাতী, ৯৯% মিডিয়া, সরকার। একমাত্র দিগন্ত টিভি ছাড়া আর সব টিভি প্রায় ২৪ ঘন্টা শাহবাগীদের কাভারেজ দিতে থাকল। টক শো, গান, অনুষ্ঠান সব শাহবাগ কেন্দ্রীক। আগে টক শো’তে দুই পক্ষের দুইজন আলোচক আনা হত, কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক টিভি চ্যানেল দুই পক্ষে দুই আলোচক না এনে শুধু মাত্র এক পক্ষের দুই আলোচক আনা শুরু করল। সবার মুখে শাহবাগ আর শাহবাগ। বিএনপি নেতারা সরাসরি না হলেও শাহবাগীদের সমর্থন দিল। তাদের ভাষা ছিল “শাহবাগীদের প্রতি সমর্থন দিচ্ছি, তারা জেগে উঠেছে তবে………………..” দিগন্ত টিভিতে কাদের সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শাহবাগীদের জন্য দোয়া করলেন। শাহবাগ তখন দেশের প্রাণ!
কিন্তু হঠাৎ করে ভেজাল লাগালেন বিএনপির আমলে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় থাকা নব্য সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। মাহমুদুর রহমান বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মুন্নুর জামাই। মূলত মাহমুদুর রহমান ভেজাল লাগান নাই, তার আগে গোমর ফাঁস করেছিলেন শমী কায়সারের পিতার হত্যাকারীর মালিকানাধীন লিস্টেড রাজাকার ইনকিলাব পত্রিকা। ‘ই-তে ইনকিলাব তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ বলে শাহবাগীরা শ্লোগান দেননি। দিবেই বা কেন? আওয়ামী রাজাকাররা তো শাহবাগীদের টার্গেট না!
থাবা বাবা ওরফে রাজীব মারা গেলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করেছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। তার বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ফেইসবুক, ব্লগের এত প্যাঁচাল বোঝেন না তাই থাবা বাবার বাসায় গিয়ে তাকে শহীদ ঘোষনা দিলেন। আমি ১০০% নিশ্চিত উনি যদি জানতেন রাজীব ব্লগে কী লিখেছেন তা হলে জীবনেও রাজীবের বাসায় যেতেন না।
থাবা বাবা ব্লগে, ফেইসবুকে কী লিখছেন তা প্রকাশ করে দিল আমার দেশ, ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম। আমার ধারনা এই চারটি পত্রিকা মিলে যত সার্কুলেশন তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় প্রথম আলো। কিন্তু কীভাবে কীভাবে যেন আম জনতা যারা নেট ইউজ করেন না তারা জেনে ফেলল শাহবাগে পেছনে কারা। তখন শুরু হল শাহবাগের দ্বিতীয় অধ্যায়।
দ্বিতীয় অধ্যায় পতনের অধ্যায়। প্রথম প্রথম আম জনতা যেভাবে শাহবাগ শাহবাগ করত তা দপ করে নিভে গেল। সকল পত্রিকা, টিভি রাজীবকে আস্তিক প্রমানের চেষ্টা করল। আমার চার বছরের ব্লগিং ইতিহাসে যাদেরকে চরম ইসলাম বিরোধী হিসেবে দেখেছি তারা তাদের পোষ্ট মুছে ফেলল। কিন্তু পোষ্ট আর কত মোছা যায়! গুগল কেশ আছে না? এছাড়া থাবা বাবার ফেইসবুকে আইডিতো মোছা যায় নাই। এই আইডিকে ফলো করলে থাবার সব লেখা পড়া যায়। আম জনতা ঘুম ভাঙ্গল। এতদিন কাদের পেছনে ঘুরলাম! নাউজুবিল্লাহ। দুই দিন আগে যারা প্রোফাইল পিকচার হিসেবে শাহবাগের ছবি দিচ্ছিল তারা প্রোফাইল পিকচার বদলিয়ে দিল ‘নাস্তিকের বিচার চাই’! শাহবাগ স্কোয়ার, প্রজন্ম চত্বর ইত্যাদি ফেইসবুকের ফ্যান পেইজে লক্ষাধিক ‘লাইক’ ছিল। আম জনতা ‘লাইক’ ফিরিয়ে নিতে লাগল। লক্ষাধিক ‘লাইক’ এখন নেমেচে এসেছে ৩০ হাজারের নিচে। জনগন কত দ্রুত পাল্টায়।
জনগণের ভাষা মিডিয়াও বোঝে। তারাও দ্রুত পল্টি মারতে লাগল। দুই দিন আগে পত্রিকার প্রথম পাতার ৬০ ভাগ জুড়ে থাকত শাহবাগ আর ৪০ ভাগ জুড়ে থাকত বিজ্ঞাপন, এখন পত্রিকাগুলো তা কমিয়ে এক বা দুই কলামে নিয়ে এসেছে।
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি বাংলাদেশে রাজাকার বলতে গোলাম আযম। আর একটু বড় হবার পর জানতে পেরেছি নিযামীও রাজাকার। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শুনেছি মুজাহিদও রাজাকার। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুনছি কাদের মোল্লা, সাঈদীও রাজাকার।
প্রথম চারজনের ক্ষেত্রে আম জনতা কোন আপত্তি নেই, আপত্তি আছে শুধু জামাতীদের। কিন্তু শেষ জনের ক্ষেত্রে সরকার ভেজাল করে ফেলেছে। আমার পরিচিত যারা শাহবাগে শ্লোগান করেছিল তাদের অনেকেই বলেছে “লাকী আক্তার যখন স-তে সাঈদী তুই রাজাকার তুই রাজাকার বলেছে তখন ওরা অনেকেই শ্লোগান তোলেনি” কারন একটাই সাঈদী যে রাজাকার এ কথা তারা কেউ বাপ দাদাদের মুখে শোনেনি যেমনটা শোনা গেছে গোলাম আযমের বেলায়। এছাড়া সাঈদী বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ওয়াজ করে বেড়িয়েছেন। অনেক হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ওনার ওয়াজ শুনে মুসলমান হয়েছেন। এরকম একজন লোককে আমি চিনি যিনি বর্তমানে একটি অফিসে চাকুরি করেন। সাঈদীর ব্যপারটা এতই সেনসিটিভ যে একটি গুজবে কান দিয়ে মানুষ সাঈদীকে চাঁদে দেখা শুরু করেছে এবং এর সংখ্যা কম হলেও দেড় থেকে দুই কোটি। বাংলাদেশের মানুষ গুজবে বিশ্বাসী। সাঈদী সত্যিই রাজাকার ছিল কী না ছিল না সেটা আমার বিষয় নয় কিন্তু তিনি একজন ভাল বক্তা ছিলেন। ওনার গ্রেফতারের পর ওনার ওয়াজ ওয়েব সাইট থেকে মানুষ ঘেঁটে বের করা শুরু করল। ওয়াজ এতই মর্মস্পরশী যে কেউ বিশ্বাস করবে না সাঈদী এত বড় মাপের রাজাকার!
কোর্ট ফাঁসি দিল ‘এত বড় রাজাকারের’ আর আম জনতা দেখতে লাগল ফাঁসি হয়েছে ‘এত বড় আলেমের”! ঐ ফাঁসির দিন থেকেই জামাত শিবির তার তান্ডব শুরু করলে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিন পুলিশের গুলিতে এত মানুষ মারা যায় নি। ৭-৮টি জেলা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন হয়ে গেল। আমার পরিচিত কক্সবাজারে একজন থাকেন, তিনি বলেছেন, “চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের রাস্তায় এত গাছ ফেলা হয়েছে যে, যদি সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ মিলে এই গাছগুলো সরানোর শুরু করে তাহলে এই গাছ সরাতে ৭ দিন লাগবে! টিভিতে দেখাতে লাগল ‘জামাত পুলিশকে আক্রমন করেছে আর পুলিশ গুলি করেছে, গুলিতে জনগন মারা গেছে’ খবরটা অনেকে পছন্দ করল না। একমাত্র দিগন্ত টিভি প্রচার করছে ‘জনতার প্রতিরোধ’ আর সবাই প্রচার করছে ‘জামাতের সন্ত্রাস’। পাবলিক দুই পক্ষের খবর পেতে চায়। তাই অন্য একটি টিভির পাশাপাশি দিগন্ত টিভির খবর দেখতে শুরু করল। তার মানে দাঁড়ায়, কেউ যদি চ্যানেল আইয়ের খবর দেখে সাথে ব্যালেন্স করার জন্য দিগন্ত টিভির খবর দেখে কেউ ৭১ টিভির খবর দেখলে ব্যালেন্স করার জন্য দিগন্ত টিভির খবর দেখে। মোট ১৭-১৮টা টিভি বনাম দিগন্ত টিভি। অথচ দুই দিন আগে আম জনতা দিগন্ত টিভি দেখত না। দেখত শুধু শিবির জনতা। এক লাফে দিগন্ত টিভির অবস্থান এগিয়ে গেল (শুধু খবর ও টক শো’র জন্য)। এছাড়া মানুষের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। দিগন্ত টিভি দেশে অনেকাংশে নিষিদ্ধ।
আবার ফিরে আসি সাঈদীর জন্য কতজন জীবন দিচ্ছে? কারা দিচ্ছে?
বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার শাহাদাতে কেউ প্রতিবাদ করে মারা যায় নি অথচ সাঈদীর ফাঁসির রায়ে এক দিনেই প্রায় ৫০ জন মারা গেল। যত ভুদাই জনগন হোক না কেন তাদের মনে এর কিছুটা দাগ পড়েছেই। এছাড়া মানুষ দেখেছে একপক্ষে শাহবাগের ইসলাম বিরোধী আরেকপক্ষে দাঁড়ি টুপিওয়ালা মাদ্রাসার ছাত্র। সহানুভুতি দেখানোর ক্ষেত্রে আপনি কাকে বেছে নিবেন? নিশ্চয়ই মাদ্রাসার ছাত্রকে। একদিকে মসজিদের ইমাম মারা যাচ্ছে আরেকদিকে বলা হচ্ছে ‘ধর ধর অমুক ধর… জবাই কর’। পাবলিকের সেন্টিমেন্ট কোন দিকে যাবে?
মানুষ এমনিতেই পদ্মা সেতু, সীমানায় বিএসএফ এর গুলি, হলমার্ক, মন্ত্রীদের অতিকথন, শেয়ার বাজার, অর্থনৈতিক মন্দা, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজার ইত্যাদি নিয়ে ক্ষ্যাপা। বিএনপি গুলশানে বসে এসির বাতাসে শরীর ঠান্ডা করছে। রাজপথে বিএনপি নেই। আছে শুধু জামাত। জনগন কী আর করবে। বিএনপি’র ব্যনারে না হোক জামাতের বানারে মাঠে নামল। খেয়াল করবে যেসব জেলায় সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদ বেশি হচ্ছে সেসব জেলায় জামাতের অবস্থান কতটুকু? ঐসব এলাকায় বিএনপির আধিপত্য বেশি। বগুড়ার মত এলাকায় জামাতকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর অথচ সাঈদী মুক্তি আন্দোলন বগুড়ায় বেশি হচ্ছে। সাথে আছে সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, মির্জা ফখরুলে এলাকা ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা। এই সব জেলায় বিএনপির ভোট ৭০ ভাগ। বিশ্বাস না হলে যাচাই করে নিন।
এবার ফিরে আসি প্রথম কলামে। জামাতের ভাঙ্গা নৌকায় জোড়া দিল আওয়ামীলীগ! বাকীটা বোঝার বুঝে নিন। জামাতকে চাঙ্গা করার জন্য গণজাগরন মঞ্চকে জামাতের ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ।
বিষয়: বিবিধ
২২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন