কর্মক্ষেত্রে তেতুলের ব্যবহার-১
লিখেছেন লিখেছেন লালসালু ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১৭:২০ সন্ধ্যা
কর্মক্ষেত্রে তেঁতুলের ব্যবহার!-১
নাফিস ট্রেডিং। অফিস পুরানা পল্টনে। এই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা আঠারো জন। মালিক নাফিস সাহেবের আফসোস ওনার অফিসের লোকজন স্মার্ট নন। তিনি বিভিন্ন অফিসে আসা যাওয়া করেন, সেখানকার অফিসাররা কত সুন্দর করে শার্ট প্যান্ট ইন করে টাই পরে, বুট জুতা চকচক করে। অথচ ওনার অফিসের লোকজন সরকারী চাকরিজীবীদের মত আনস্মার্ট। অনেক বলে কয়েও তিনি এই ছেলেগুলোকে স্মার্ট বানাতে পারলেন না। ওনার এক ব্যংকার বন্ধুকে সমস্যাটি তুলে ধরলেন। বন্ধুটি একটা সমাধান দিল। নাফিস সাহেব সেই সমাধান অনুযায়ী কাজ করলেন।
এক মাস পরে ঐ অফিসে ফ্রন্ট ডেস্ক এক্সিকিউটিভ কাম টাইপিস্ট পদে এক সুন্দরী মেয়ে জয়েন করল। মেয়েটি খুব স্মার্ট, চেহারা দেখলেই প্রেম করতে ইচ্ছে করে। খুব সুন্দর করে কথা বলে। যেখানে শিক্ষানবীশ অফিসার পাওয়া যায় সাত আট হাজার টাকায় সেখানে নাফিস সাহেব এই মেয়েকে বারো হাজার টাকা বেতন দিলেন। মেয়েটাও তার রুপের মূল্য বুঝেছে, সেও বারো হাজারের কমে চাকরি করবে না। অন্যান্য যোগ্যতা বাদ দিয়ে এই মেয়েটিই শেষ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছে। তিন চার দিনের মধ্যে অফিসের চেহারা বদলে যেতে লাগল। ছেলেগুলো খুব সুন্দর করে পরিপাটি হয়ে অফিসে আসছে, সে বিবাহিত হোক আর অবিবাহিত হোক! যে ছেলে তিন মাসে একবার জুতা পালিশ করত না (আমার মত) সেই ছেলে মনে হয় প্রতিদিন জুতা পালিশ করে অফিসে ঢোকে। আসলে ছেলেটি পকেটেই সু পালিশ ব্রাশ রাখে! অনেকের চুল এলোমেলো থাকলেও এখন সবার চুল গোছানো, অনেকে চুলে জেল দিচ্ছে। মনে হচ্ছে সবাই ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ব্যবহার করা শুরু করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন