যেসব মুসলমান বিজ্ঞানীদের অবদান দখল করেছে পশ্চিমারা
লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ০১ জুন, ২০১৪, ০৬:৪১:২৫ সন্ধ্যা
মুসলিমগণ বিশ্বের মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা। উনারাই আলোকিত করেছেন আমাদের চিন্তাচেতনাকে, সভ্যতা-সংস্কৃতিকে, জীবন ও জগতকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পাশ্চাত্যের অনেক গবেষক এ সব মুসলিম মনীষীর নামকে উপস্থাপন করেছেন বিকৃতভাবে। ফলে প্রাচ্যের লোকগুলো তাদের চিরচেনা এসব মনীষীকে পাশ্চাত্যের দেয়া নামে চিনতেও পারেন না। নিচের উনাদের কয়কজন কথা তুলে ধরা হলঃ
(১) প্রথমেই ধরা যাক আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজ্মি র কথা। তিনি ছিলেন পার্সিয়ান (ইরানী) মুসলমান বিজ্ঞানীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম একজন। তিনি একাধারে ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ ও দার্শনিক ছিলেন। ইউরোপীয়রা বিশেষত ল্যাটিন লেখকরা তার নামকে বিকৃত করে লিখছে “গরিটাস” বা “আল গরিদম” ।
(২) রসায়ন বিজ্ঞানী আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান আল-আযদী র কথা আমরা জানি। কেবল চিকিৎসা বিষয়েই জাবির প্রায় ৫০০ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রসায়নবিদদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। রসায়ন বিজ্ঞানের জনক জাবির ইবন হাইয়ানের প্রনীত ‘কিতাবুস সুসুম’ (Book of Poison) আরবঔষধবিজ্ঞানের অন্যতম উৎস। অথচ তাঁর নামটি বিকৃত করে পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা লিখেছে “জিবার” ।
(৩) আবূ ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি ছিলেন কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহশাস্ত্র, ইতিহাস, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব,রাজনীতি, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে বিশারদ। তিনি ছিলেন গ্রিক, হিব্রু, ইরানি, সিরিয়াক এমনকি আরবি ভাষাতেও বুৎপত্তিসম্পন্ন। তিনি নানা বিষয়ে ২৬৫ খানা গ্রন্থ রচনা করেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তার নাম বিকৃত করে তাকে পরিচিত করেছে “আল কিন্ডাস” নামে
(৪) তেমনি জাফর ইবনে মুহম্মদ আবু মাশার আল বলখী একজন বিখ্যাত পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক, গণিতবিদ ছিলেন। তিনি আল ফালাকী, আবুল মাসার, ইবনে বলখী নামেও পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তার নাম বিকৃত করে রাখা হয় “আল বুসার”এবং “আল বুক্সার” ।
(৫) কাগজের অন্যতম আবিষ্কারক ইউসুফ ইবনে ওমরে র নাম ইংরেজি স্টাইলে রাখা হয়েছে “উমট” ।
(৬) আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে জাবির ইবনে সিনান আর্ রাকী আল হারানী আস্ সাবী আল-বাত্তানী ছিলেন একজন মশহুর জ্যোতির্বিদএবং গণিতজ্ঞ। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার জন্য নিজস্ব মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বহু বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যায় প্রচলিতভুলগুলো সংশোধন করে এই শাখার অনেক সংস্কার ও উন্নতিসাধন করেন। অথচ পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাকে উল্লেখ করেছে “আল বাতেজনিয়াজ”, “আল বাতেজনি”, “আল বাতেনিয়াজ” ইত্যাদি নামে।
(৭) আবু বকর মুহম্মদ ইবনে যাকারিয়া আল রাজী র নাম কে না জানে। তিনি একজন পার্সিয়ান পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, দার্শনিক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানী । তিনি প্রায় দুশ’র মতো গ্রন্থ রচনা করেন, যার শ’খানেক চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর। তবে তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে ‘আল জুদায়ী ওয়াল হাসবাহ’ নামক গ্রন্থটি। ইংরেজি ভাষাতেই ১৪৯৮ থেকে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত এই গ্রন্থখানা মোট চল্লিশবার মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কিতাব আল মনসুরী নামে দশ খণ্ডে একটি বিরাট চিকিৎসা গ্রন্থও প্রণয়ন করেন। এই মহান চিকিৎসা বিজ্ঞানীর নাম ইউরোপীয়রা বিশেষত ল্যাটিন লেখকরা বিকৃত করে লিখছে “রাজেস” বা “রাজিজ” ।
(৮) আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ আবু ইস্হাক ইব্রাহিম ইবনে ইয়াহিয়া আল নাক্কাসআল-জারক্বালী । তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ছকের (Astronomical Table) জন্য পাশ্চাত্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর Book of Tables ত্রয়োদশ শতকে রাজা আল্ফোন্সোর(King Alfonso X) নির্দেশে অনূদিত হয় এবং এর মাধ্যমে পাশ্চাত্যে গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যার পূনর্জন্ম হয়। তিনি অ্যাস্ট্রোল্যাব যন্ত্রের উন্নতিসাধন করেনএবং বুধগ্রহ সংক্রান্ত টলেমীর মতবাদে সংশোধনী আনেন। তাঁর নাম পাশ্চাত্য গ্রন্থসমূহে উল্লিখিত হয়েছে “মারজাকেল” নামে।
(৯) চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয় ইবনে সিনা কে। তার প্রকৃত নাম আবু আলী আল হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সিনা। তার উপাধি হচ্ছে আল শেখ আল রইস। তিনি একাধারে পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, ভূগোলবিদ, হাফিজ, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, কবি, ইসলামি চিন্তাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর রচিত ১৬টি মৌলিক গ্রন্থের ১৫টিতে তিনি বিভিন্ন রোগের কারণ ও চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু যেগ্রন্থটি তাঁকে অমর করেছে তার নাম “কানুন ফি-তিব্ব” যা ছিল ৫ খন্ডে এবং ৮০০ পরিচ্ছেদে ।এ গ্রন্থটি সমগ্র এশিয়া এবং ইউরোপে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত বিপুলভাবে সমাদৃত হলো। ইউরোপে এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বাইবেল (Bible of Medicine) নামে সমাধিক পরিচিত। এজন্য তাঁকে অনেকে চিকিৎকদের চিকিৎসক (Doctor of doctors) বলে অভিহিত করেন।অথচ তার নামও বিকৃতির হাত থেকে রেহাই পায়নি। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তার নাম দিয়েছে “এভিসিনা” ।
(১০) আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহ্মদ ইবনে রুশদ । তিনি ইবনে রুশদ নামে বেশী পরিচিত। তিনি একজন আন্দালুসীয়ান (স্পানিস) মুসলিম বিজ্ঞানী। তিনি একাধারে ইসলামিক দার্শনিক, ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদ, যুক্তিবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ, পদার্থবিদ ছিলেন। তাঁর নাম পাশ্চাত্য গ্রন্থসমূহে উল্লিখিত হয়েছে “এভেরুন” নামে।
(১১) আবূ মারওয়ান আব্দুল মালিক ইবনে জুহুর । তিনি ইবনে জুহুর নামেও পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম পদার্থবিদ, শল্যচিকিৎসক, ঔষধবিশেষজ্ঞ, ইসলামি পন্ডিত ছিলেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “এভেনযোর” ।
(১২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, যুক্তিবিদ, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিদ,মহাকাশবিদ আবূ নাছের মুহম্মদ আল ফারাবী । তারা তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আল ফারাবিয়াস” ।
(১৩) প্রখ্যাত পদার্থবিদ,জ্যোতির্বিদ, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, চিকিৎসাবিদ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী, আবূ আলী আলহাছান ইবনে আল হাছান আল ইবনে হাইছাম। তিনি বসরায় জম্মগ্রহণ করায় আল বাসরী নামেও পরিচিত। আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন “কিতাবুল মানাজির”-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এছাড়া, তাঁর “মিযান আল-হিক্মাহ্”(Balance of Wisdom) এবং “মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার” (On the Light of the Moon) গ্রন্থদ্বয়ে তিনিসর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।তারা তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আল হ্যাজেন” ।
(১৪) প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, পদার্থবিদ, মনোবিজ্ঞানী , কবি এবং বিজ্ঞানী আবূ বকর মুহম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনেআল সাইগ । তবে তিনি ইবনে বাজ্জাহ্ নামে বেশীপরিচিত। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “এভেমপেজ” ।
(১৫) আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আব্দুল মালিক ইবনেমুহম্মদ ইবনে তোফায়েল আল কুসী আল আন্দালুসী । তবে তিনি ইবনে তোফায়েল নামে পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম লেখক, উপন্যাসিক, দার্শনিক, ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন। তারা তার নামবিকৃতি করে রেখেছে “আবুবাসের” ।
(১৬) নুর আদ-দীন ইবনে ইসহাক আল-বেত্রুগী । তিনি ইসলামি স্বর্ণযুগে মরক্কোতে জম্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আলপেটরাজিনাস” ।
(১৭) আবূ হামিদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ আল গাজালী । তিনি একাধারে ধর্মতত্ত্ববিদ, দার্শনিক, মহাকাশবিদ, মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। তাঁর নাম বিকৃতি করে রেখেছে “আল গ্যাজেল” ।
(১৮) আলী ইবনে আব্বাস আল মাজুসী । তিনি মাসউদী নামেও পরিচিত। তিনি একজন পার্সিয়ান পদার্থবিদ এবং মনোবিজ্ঞানী। তাঁর রচিত কিতাব আল মালিকি (Complete Book of the Medical Art)। তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “হ্যালী আব্বাস” ।
সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৬২৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু নাম নয় বরং তাদের অনেক আবিস্কারও দখল করে নেয়া হয়েছি।
দুটি প্রধান উদাহরন হচ্ছে ত্রিকোনমিতির ইন্টারপোলেশন তত্ব এবং বাইনমিনাল থিওরেম বা দ্বিপদি উপপাদ্য। এইদুটির আবিস্কার এর তত্ব অনেক দিন ধরেই নিউটন কে দেয়া হচ্ছিল যদিও এর প্রকৃত উদ্ভাবক রা ছিলেন যথাক্রমে আলবেরুনি এবং দ্বিপদি উপপাদ্যে র আবিস্কারক ওমর খৈয়াম এবং আল খারাজি।
বিডিনিউজ২৪-এ বুর্জ খলিফার ছবি ও বাংলানিউজ২৪-এ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি যুবরাজ-শিরোনামে একটি সংবাদ দেখে প্রশ্ন গুলো মনে আসল। মুসলমানদের আসল কাজ কি? বুর্জ খলিফা, তাজমহল ও বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বানানো?
বিশ্বমানবতাকে সার্বিক মুক্তির পথ দেখানোর এক সুমহান দায়িত্ব ছিল মুসলিম জাতির। সেই জাতি আসল কাজ ছেড়ে দিয়ে পাল্লা দিয়ে বানাচ্ছে উঁচু উঁচু ভবন! এর কারণ কি?
অবশ্য এসব ভোগবাদী মানসিকতা শুধু বর্তমান মুসলিম জনগণের ভিতর ঢুকেছে তা নয়। অতীতেও ছিল। মধ্যযুগে ভারতে মোগল সাম্রাজ্যেও একই ব্যাপার লক্ষ করা যায়। সেই যুগে তাজমহলের মতো এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীকের পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা, শ্রম ও সময় ব্যয় করা হয়েছিল। কি ছিল এর ফলাফল? তাজমহল দিয়ে কি পেয়েছে মুসলিম বিশ্ব?
অথচ যে সময় মুসলিমরা তাজমহল বানাচ্ছে ঠিক একই সময় পশ্চিমে স্থাপিত হয়েছে নিউটনের 'প্রিনসিপিয়া'। ১৬৮৭ সালে। সেটি ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্র। অর্থাৎ পশ্চিমারা শুরু করেছিল জ্ঞান চর্চা। সেই জ্ঞানচর্চাই ইউরোপীয় সভ্যতাকে বিশ্বজয়ে পথ দেখিয়েছিল। বারো শতক থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠতে থাকে। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, প্যারিস প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে মধ্যযুগে ইউরোপে। তখন ভারতে মোগল সাম্রাজ্য। মোগলরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেনি। তারা স্থাপন করেছে তাজমহল!
মুসলিম দেশগুলোতে আজ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় যে নেই; তা নয়। কিন্তু তার কোনটিই পশ্চিমা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে পারছেনা। অর্থাৎ মুসলিমরা পথ হারিয়েছে। প্রায় ৭০০ বছর আগে ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব মধ্যযুগের ইসলামের স্বর্ণযুগের স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। কিন্তু সেই সময়ের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আল-কিন্দি, আল-ফারাবি, ইবন-আল-হাইয়ান, ইবনে সিনার মতো যুগস্রষ্টা তৈরি করার কোন চিন্তা নেই। এখন চিন্তা উঁচু উঁচু দালান বানানো!
দুবাইয়ের 'বুর্জ খলিফা' যতই উঁচুই হোক, তা কোনোভাবেই আজ মুসলিম বিশ্ব যে সমস্যার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে, তা থেকে ওই ভবনটি তাদের উদ্ধার করতে পারবে না। তাজমহল উপমহাদেশের মুসলমানদের কিছুই দিতে পারেনি। বরং ওই বিপুল অর্থ যদি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় খরচ হতো, তাহলে আশা করার মতো কিছু একটা তৈরি হতো। সৌদি আরব আরো উঁচু ভবন বানাবে। এসব মুসলমান ও বিশ্বের কোনো কল্যাণে আসবে না।
এ ধরনের ভোগলিপ্সা দেখে দিয়ে বুঝা যায় মুসলমান গরিব নয়, অতীতেও ছিলনা। তবে মুসলমানদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মুসলমানরা লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে।
তাই মুসলমানরা যদি আসলেই এগিয়ে যেতে চায় তাহলে সম্পদের এ প্রদর্শনী বন্ধ করা হোক। আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণের মধ্যে কি কোনও গৌরব আছে? এসব কি মুসলিম বিশ্বের হাজারো সমস্যার সমাধান দিতে পারবে? মুসলমানদের দায়িত্ব কি এসব?
মন্তব্য করতে লগইন করুন