মেশিনের মাধ্যমে জবহেকৃত পশু পাখি খাওয়া

লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ২৭ মে, ২০১৪, ০৯:৩২:৪৫ সকাল

প্রশ্নঃ বিদেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্যাকেট করা যে সব হালাল পশুর মাংস বিক্রি করা হয়, শুনেছি তা প্রায় মেশিনের মাধ্যমে যবেহ করে থাকে। এ সব পশুর মাংস খাওয়া শরীয়ত সম্মত কিনা ? তা ফকীহ্গণের দলীল দ্বারা জানালে ধন্য হবো।

আশরাফ-উদ্-দৌলাহ

রিয়াদ, সৌদি আরব।

উত্তরঃ মেশিনের মাধ্যমে পশু যবেহ করা আধুনিক যুগের নতুন সৃষ্ট মাসআলা সমূহের একটি। বিধায়, ফকীহ্গণ স্বাভাবিক যবেহের জন্য যেসব শর্ত বর্ণনা করেছেন তা মেশিনে যবেহের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা প্রথমে তা দেখতে হবে। আমাদের হানাফী মাযহাবের সর্বজন গ্রাহ্য ও নির্ভরযোগ্য “দুররে মুখতার” ও “রদ্দুল মুহ্তার” গ্রন্থে’ রয়েছে যে,

–আরবী ইবারতের অর্থ

অর্থাৎ- (যবেহের শর্ত হল) যবেহকারী মুসলমান হতে হবে অথবা আহলে কিতাব হতে হবে। যে “বিসমিল্লাহ্” পড়তে জানে এবং যবেহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। তদুপরি যে যবেহকরতে শক্তি রাখে। ফতোয়া-ই-বায্যাযিয়ার মধ্যে এ শর্তও উল্লেখ রয়েছে যে, যবেহ করার সময় যবেহকারীকে আল্লাহর নাম অবশ্যই নিতে হবে।১

তেমনিভাবে ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র মতে- যবেহকালে কমপক্ষে প্রাণীর কন্ঠনালী ও চোয়ালের মাঝখানে যবেহ করা এবং কমপক্ষে তিনটা রগ কর্তন করা স্বাভাবিক যবেহের জন্য শর্ত। যেমন- ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র অভিমত বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন-

–আরবী ইবারতের অর্থ

অর্থাৎ- ইবনে মনযির বলেন, ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র অভিমত হলো, চার রগের যেকোন তিনটা রগ কেটে যাওয়া যবেহকৃত পশু হালাল হওয়ার জন্য যথেষ্ট।২

আর ইমাম মালিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র মতে শ্বাসনালী ও দু’টি শাহ্‌রগ কর্তন করা ওয়াজিব। খাদ্যনালী কর্তন করা শর্ত নয়। ইমাম শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’ও অনুরূপ মত প্রকাশ করেন। আর ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র মতে শাহ্‌রগ কাটা জরুরী নয় বরং মুস্তাহাব। কিন্তুশ্বাসনালী ও খাদ্যনালী কর্তন করা আবশ্যক। শায়খুল ইসলাম ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো লিখেছেন যে,

–আরবী ইবারতের অর্থ

অর্থাৎ- যে পশুকে স্বাভাবিক যবেহ করা সম্ভব তা কন্ঠনালী ও চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে যবেহ করার দরুন হালাল হবে। আর এটার উপর সকলের ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত।৩

সুতরাং উপরিউক্ত সম্মানিত ফকীহগণের অভিমতের আলোকে স্বাভাবিক যবেহের জন্য যেসব শর্ত অপরিহার্য তা হল-

১. যবেহকারী বিবেকবান ও সমঝদার হতে হবে।

২. মুসলমান বা সত্যিকারর্থে পূর্বেকার নবীগণের কিতাবের বিশ্বাসী হতে হবে। পরবর্তীতে আমাদের নবীর উপর ঈমান আনতে হবে।

৩. যবেহকারীকে স্বইচ্ছায় নিজ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সরাসরি পশুর গলায় চুরি চালাতে হবে।

৪. যবেহ করার সময় যবেহকারীকে আল্লাহর নাম যেমন- ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে।

সুতরাং যবেহের উল্লিখিত শর্তগুলো মেশিনের দ্বারা যবেহ করার মধ্যে পাওয়া যায় কিনা দেখতে হবে। যদি, কোন ব্যক্তি ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে মেশিনের সুইচ টিপে দিয়ে তার কাজ শেষ করে অথবা মেশিনে পশু যবেহকালে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে বিসমিল্লাহ্ পড়তে থাকে তবে উভয় অবস্থায় মেশিনের ছুরি না ঐ ব্যক্তির হাতে থাকে, না ছুরি চালাতে তার শক্তি ব্যয় হয়, না সে আপন হাতে পশু যবেহ করে। বরং মেশিন বিদ্যুতের সাহায্যে চলতে থাকে। আর পশু মেশিনের ছোরায় কেটে কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। অধিকন্তু এ মেশিন চালকও প্রকৃত যবেহকারী নয় আর যবেহকারী মেশিনতো বিবেকবান, সমঝদার (সাহেবে আকল ও শা’ঊর), মুসলমান বা কিতাবী নয় এবং মেশিনের কোন স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিও নেই যে, যার ফলে মেশিন বিসমিল্লাহ্ পড়তে পারে। সুতরাং যবেহের জন্য যে সব শর্ত অপরিহার্য মেশিনের দ্বারা যবেহকৃত পশুর মধ্যে তার একটিও পাওয়া যাচ্ছে না বিধায়, সকল মাযহাব মতে মেশিনের মাধ্যমে যবেহকৃত পশু-পাখি মৃত্যুর সমতুল্য তা খাওয়া হারাম।

ফিক্‌শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য প্রমাণাদির আলোকে এ অভিমত পেশ করেছেন, নায়েবে মুফতিয়ে আজম হিন্দ, ছহীহ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক,জামেয়া আশরাফিয়া মোবারকপুর হিন্দুস্তানের নাজেমে তা’লীমাত এবং ফিক্হ-ফতোয়া বিভাগের চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ শরীফুল হক আমজাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি’সহ বাহ্‌রুল উলূম মুফতী আল্লামা আবদুল মান্নান আজমী (শায়খুল হাদীস, জামেয়া শামসুল উলূম, গুছী, ভারত), আল্লামা আবদুস্ শক্কুর (সিনিয়র শিক্ষক, দারুল উলূম আশরাফিয়া, মুবারকপুর), আল্লামা খাজা মুজাফ্ফর হুসাইন (ফয়জাবাদ, ইউপি), আল্লামা মুফ্তী শাব্বীর হাসান (ফয়জাবাদ, ইউপি, ভারত), হযরত মাওলানা আস্সার আহমদ (মোবারকপুর), মুফ্তী হাবীব উল্লাহ্ নঈমী, আল্লামা নসরুল্লাহ্ রজভী (মুহাম্মদাবাদ), হযরত মাওলানা মুছাহেব আলী রশীদী মিসবাহী (মাদ্রাসা আন্ওয়ারুল উলূম, ইউপি), আল্লামা আবদুল গাফ্ফার আজমী (খায়রাবাদ), আল্লামা আন্ওয়ার আলী নেজামী (হাজারীবাগ), আল্লামা কাজী শহীদ আলম রেজভী (জামেয়া নূরীয়া রেজভীয়া বেরেলী শরীফ) ও মাওলানা ফজল আহমদ মেছবাহী (বেনারস) প্রমুখ।

এ বিষয়ে হানাফী, শাফেয়ী, মালিকী ও হাম্বলী চার মাযহাবের আলোকে ‘মেশিনী যবিহা’ নামক ঊর্দূ ভাষায় দারুল উলূম আশরাফিয়া মিছবাহুল উলূম, মুবারকপুর ভারতের প্রখ্যাত মুফ্তী আল্লামা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন রেজভী অনেক গবেষণা করে আলোড়ন সৃষ্টিকারী উল্লেখযোগ্য কিতাব রচনা করেছেন। (যা মাকতাবায়ে বোরহানুল মিল্লাত, মুবারকপুর, আজমগড় থেকে প্রকাশিত) তিনি চার মাযহাবের দৃষ্টিকোণে বিচার বিশ্লেষণ করে আধুনিক বিশ্বে মেশিনের মাধ্যমে যবেহ ইসলামের দৃষ্টিতে না জায়েয ও হারাম হওয়া প্রমাণ করেছেন। যেহেতু, উল্লিখিত বিষয় আধুনিক বিশ্বের সৃষ্ট নতুন স্পর্শকাতর ও জটিল সমস্যা, বিধায় আমি (অধম) উক্ত বিষয়ে আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাদ চট্রগাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার প্রধান মুহাদ্দিস শেরে মিল্লাত মুফ্তী আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী, বরাবর চট্টগ্রাম জামেয়ার ফকীহ ও আদীব মুফ্তী কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ ও স্নেহের মাওলানা নেজাম উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজনের সাথে আলোচনা করেছি। তাঁরাও উপরোক্ত মত পোষণ করেছেন। তবে, উপরোক্ত বিষয়ে বর্তমান আরব বিশ্বের যেমন মিশর ও সৌদী আরবের মুফ্তীগণ এবং মুফ্তী শফী দেওবন্দী মেশিনের মাধ্যমে যবেহ করাকে হালাল ও জায়েয বলে অভিমত করেছেন। অথচ যবেহ হালাল ও জায়েয হওয়ার জন্য ইমাম ফকীহগণ যে সমস্ত শর্ত শরায়েত আরোপ করেছেন তা মেশিন দ্বারা যবেহ করার মধ্যে পাওয়া যায় না। এখানে চিন্তার বিষয় যে, আরব ও ইউরোপসহ যেসব দেশে আধুনিক পদ্ধতিতে মেশিনের দ্বারা যবেহ করা হচ্ছে সেখানে কোন কর্মচারী বা লোক বিদ্যুতের সুইচ বা বাটন টিপ দেয় মাত্র; যবেহের অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে বৈদ্যুতিক মেশিন। প্রথমতঃ যে কর্মচারী বা লোক সুইচ টিপ দিল, সুইচ চালু করার সময় আল্লাহর নাম নিলো কিনা? তা’ দৃঢ়তার সাথে জানা নাই। তদুপরি সুইচ টিপ দেয়ার সময় আল্লাহর নাম মুখে নিলেও বিদ্যুৎ ও মেশিন দ্বারা জন্তুকে যবেহ করাতে যবেহের শর্তসমূহ অনুপস্থিত থেকে যায়। তাই উপরে উল্লিখিত প্রখ্যাত উলামায়ে কেরামের মতে মেশিনী যবেহের ক্ষেত্রে পশুর মাংস হালাল হওয়ার জন্য শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসমূহের কোন একটিও পাওয়া যায় না। তদুপরি একে “অস্বাভাবিক যবেহ”ও বলা যাবে না। যেহেতু এটা মেশিনী যবেহ সম্পূর্ণ বান্দার ইচ্ছা ও ইখতিয়ারাধীন। একে কোন ক্রমে বা অস্বাভাবিক যবেহ এর পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। “অস্বাভাবিক যবেহ” যা বান্দার ইখতিয়ারাধীন নয়। তা বিশেষ প্রয়োজনে কোন মুসলমান “বিসমিল্লাহ্ বলে তীর, বল্লম, নেযা, চাকু, বন্দুকের গুলি বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা চতুস্পদ হালাল জন্তুর যে কোন স্থানে জখম করার পর উক্ত জন্তুমরে গেলে এর মাংস ভক্ষণ করা শরীয়ত সম্মত ও জায়েয। কিন্তু, স্বাভাবিক যবেহের ক্ষেত্রে মাসআলা বা শরীয়তের হুকুম ভিন্ন। কেননা, স্বাভাবিক যহেবের ক্ষেত্রে যবেহকারী মুসলিম হতে হবে, স্বীয় ইখতিয়ার ও ইচ্ছায় বিসমিল্লাহ্ বলে পশু-পাখীর গলার রগসমূহ ধারালো ছুরি দ্বারা কর্তন করতে হবে। হলকুম বা গলা ছাড়া অন্য স্থানে জখম করলে স্বাভাবিক যবেহের আওতাভুক্ত হবে না। সাথে সাথে যবেহকারী যে মুসলমান তা একান্ত— দৃঢ়তার সাথে জানা থাকতে হবে। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকতে পারবে না। উল্লেখ্য যে, মেশিনের মাধ্যমে যবেহের ক্ষেত্রে যে মেশিনের সুইচ টিপে সে মূলত আসল যবেহকারী নয়, আসল যবেহকারী হল বৈদ্যুতিক মেশিন। আর মেশিনকে বিবেকবান, মুসলিম বলা যায় না। যেমন- ঠিক উক্ত সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে শত বার সুইচ টিপলেও পশু-পাখি যবেহ হবে না। এ জন্য মেশিনকে যদি যবেহকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়, আর উক্ত মেশিন যদি যবেহের কার্যক্রম সম্পন্ন করে তবে মেশিনে যবেহকৃত পশু-পাখি কী করে হালাল হতে পারে? যেহেতু মেশিনকে বিবেকবান, সামর্থবান, মুসলিম অথবা কিতাবী স্বইচ্ছায় যবেহ করার ক্ষমতাবান কিছুই বলা যাবে না। যেমন- ছাদ থেকে একটা ধারালো ছুরি নিচের দিকে পড়লো অথবা কেউ ফেললো, উক্ত ছুরি কোন পশু-পাখির গলায় লেগে গেল। তখন কোন লোকের বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়, বরং ছুরির ভারে পশু-পাখির গলা কেটে গেল, উক্ত যবেহে শরীয়ত মতে হালাল ও শুদ্ধ হবে না। যেহেতু সেখানে উক্ত পশু-পাখিকে কোন মুসলিম, বিবেকবান স্বেচ্ছায় বা স্বস্থানে যবেহ করেননি।

যেহেতু বৈদ্যুতিক মেশিনের মাধ্যমে পশু-পাখির যবেহের প্রথা পূর্বে ছিলনা। এটা বর্তমান বিশ্বের সম্পূর্ণ নতুন ও আধুনিক প্রথা। এ বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও হবে। ফিক্হ ফতোয়া ও কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিকোণে গবেষণা চলছে ও চলতে থাকবে। তবে উপরোক্ত বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর এবং হালাল-হারামের বিষয় জড়িত বিধায়, এ জাতীয় মেশিনের মাধ্যমে যবেহকৃত পশু-পাখি আহার বা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জোরালো আহবান রইল।

বর্তমানে যারা ফিক্হ-ফতোয়া নিয়ে গবেষণায় রত আছেন তাদের সমীপে আমার অনুরোধ থাকবে উল্লিখিত বিষয়ে নির্ভরযোগ্য ফিক্হ শাস্ত্রের প্রামাণ্য উদ্ধৃতি দৃষ্টিগোচর হলে আমি গুনাহ্গারকে বা তরজুমান প্রশ্নোত্তর বিভাগে দয়াপূর্বক অবহিত করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত পর্যালোচনা পাঠক সমাজের খেদমতে পেশ করার চেষ্টা করবো। উপরিউক্ত মুফ্তী মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন রেজভী কর্তৃক ঊর্দূ ভাষায় লিখিত “মেশিনী যবিহা” নামক গ্রন্থখানা গভীরভাবে পর্যালোচনা করার অনুরোধ রইল।

তথ্যসূত্রঃ

১(দূররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৪৩৭ পৃষ্ঠা)

২(শরহে মুসলিম, কৃত: ইমাম নববী, ২য় খণ্ড, ১৫৬ পৃষ্ঠা)

৩(শরহে মুসলিম, কৃত: ইমাম নববী, ২য় খন্ড, ১৫৭ পৃষ্ঠা)

বিষয়: বিবিধ

১৩১৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

226910
২৭ মে ২০১৪ সকাল ১১:১৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : বিষয়টি ভাববার মত ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
226931
২৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনার বক্তব্যর সাথে সহমত।
উপরোক্ত বিষয়ে বর্তমান আরব বিশ্বের যেমন মিশর ও সৌদী আরবের মুফ্তীগণ এবং মুফ্তী শফী দেওবন্দী মেশিনের মাধ্যমে যবেহ করাকে হালাল ও জায়েয বলে অভিমত করেছেন।

আপনি কোথায় পেয়েছেন যে দেওবন্দী আলেমরা মেশিনে যবেহর ব্যাপারে জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছে ?
227449
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
বুঝিনা লিখেছেন : ভাই, মানুষ কখনো কি নিজে জবাই করে.
সেতো ছুরি কিংবা জবাই করার হাতিয়ার ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে মেশিন একটি হাতিয়ার মাত্র। মেশিন ব্যবহারকারী কি আচরন করে সেটাই কথা. ফকীহ্গণের কাছে ব্যবহারকারীর কি আচরন হওয়া দরকার, মেশিন কিভাবে ব্যবহার করবে.এ বিষয়ে একটি সম্মিলিত চিন্তা পেশ করা দরকার বলে মনে করি.
230157
০৩ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন : চাকু ছুরী'র পরিবর্তে মেশিন বিষয়টাতো এই?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File