হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই: রাসূলুল্লাহ (দ) এর নির্দেশ ও সাহাবীগণের কর্মপদ্ধতি

লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ১২ মার্চ, ২০১৪, ০২:৪৫:১৬ দুপুর

১. পূর্বকথা

কুরআনুর কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসই মুসলিম জীবনের পাথেয়। সকল মতের সকল মুসলিমই কুরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করতে চান এবং নিজেদের মতের পক্ষে কুরআন ও হাদীসের প্রমাণাদি পেশ করতে চেষ্টা করেন। তবে বর্তমান সমাজে হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কিছু উৎকট অজ্ঞতা প্রসূত বিভ্রান্তি বিরাজমান। অনেকেই মনে করেন ‘হাদীস’ মানেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী, কাজেই কোনো হাদীসকে দুর্বল বা অনির্ভরযোগ্য বলে মনে করা বা উল্লেখ করার অর্থ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা বা বাণীকে অবজ্ঞা করা। কেউ বা মনে করেন, যত দুর্বল বা যয়ীফই হোক, যেহেত হাদীস এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা কাজেই তাকে গ্রহণ ও পালন করতে হবে।

এই ধারণা নিঃসন্দেহে ভ্রান্ত ও অজ্ঞতা প্রসূত। তবে এর বিপরীতে এর চেয়েও মারাত্মক বিভ্রান্তি অনেকের মধ্যে বিরাজমান। অনেক অজ্ঞ মানুষ মনে করেন, হাদীস যেহেতু মৌখিকভাবে সনদ বা বর্ণনাকারীদের পরম্পরার মাধ্যমে বর্ণিত, কাজেই তার মধ্যে ভুলভ্রান্তি ব্যাপক। কাজেই হাদীসের উপর নির্ভর করা যাবে না। ইসলামের বিধিবিধান জানার জন্য শুধুমাত্র কুরআন কারীমের উপরেই নির্ভর করতে হবে। প্রথম ধারণা সাধারণত অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে বিরাজমান। আর দ্বিতীয় বিভ্রান্তি অনেক শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবি বলে পরিচিত মানুষদের মধ্যে প্রসারিত। হাদীসের সনদ বিচার ও হাদীসের নির্ভরযোগ্যতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাহাবীগণ ও পরবর্তী যুগের মুসলিম উম্মার শীর্ষস্থানীয় আলেম ও মনিষীগণের সুক্ষ্ম ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্মন্ধে অজ্ঞতাই এ সকল বিভ্রান্তির কারণ। এ বিষয়ের অস্পষ্টতা দূর করার জন্যই এই প্রবন্ধের অবতারণা। আমরা দুইটি পর্যায়ে এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। বর্তমান প্রবন্ধে আমরা হাদীসের বিশুদ্ধতা ও নির্ভরতা নিশ্চিত করতে কুরআন ও হাদীসের নির্দেশ ও তার আলোকে সাহাবীগণের কর্মধারা আলোচনা করব। পরর্বতী প্রবন্ধে আমরা হাদীসের সনদ বিচার ও বিধান প্রদানে মুহাদ্দিসগণের সামগ্রিক নিরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাখ্যা করব। মহান আল্লাহর দরবারে তাওফীক প্রার্থনা করছি এবং তাঁরই রহমতের উপর নির্ভর করছি।

২. হাদীস পরিচিতি

হাদীস বলতে সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা, কর্ম বা অনুমোদন বুঝানো হয়। যে কথা, কর্ম, অনুমোদন বা বিবরণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বলে প্রচার করা হয়েছে বা দাবী করা হয়েছে তাই মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় “হাদীস” বলে পরিচিত। এছাড়া সাহাবীগণ ও তাবেয়ীগণের কথা, কর্ম ও অনুমোদনকেও হাদীস বলা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসাবে বর্ণিত হাদীসকে “মারফূ’ হাদীস” বলা হয। সাহাবীগণের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসাবে বর্ণিত হাদীসকে “মাউকূফ হাদীস” বলা হয়। আর তাবেয়ীগণের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসাবে বর্ণিত হাদীসে “মাকতূ’ হাদীস” বলা হয়।

এখানে লক্ষণীয় যে, যে কথা, কাজ, অনুমোদন বা বর্ণনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বলে দাবী করা হয়েছে বা বলা হয়েছে তাকেই মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় ‘হাদীস’ বলে গণ্য করা হয়। তা সত্যসত্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা কিনা তা যাচাই করে নির্ভরতার ভিত্তিতে মুহাদ্দিসগণ হাদীসের বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করেছেন।

৩. হাদীসের বিশুদ্ধতা ও নির্ভুলতা রক্ষার গুরুত্ব

“ওহী’ বা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাদেশের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানই সকল ধর্মের মুল। ওহীলব্ধ জ্ঞান নষ্ট করার ফলেই পূর্ববর্তী সকল উম্মত ও জাতি বিভ্রান্ত হয়েছে। ওহীলব্ধ জ্ঞান নষ্ট হতে পারে মূলত দুইভাবে: ১. অবহেলা, মুখস্থ না রাখা বা অসংরক্ষণের ফলে ওহীলব্ধ জ্ঞান বা গ্রন্থ হারিয়ে যাওয়া বা বিনষ্ট হওয়া, ২. মানবীয় কথাকে ওহীর নামে চালানো বা ওহীর সাথে মানবীয় কথা বা জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটানো।

প্রথম পর্যায়ে ‘ওহী’-র জ্ঞান একেবারে হারিয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ওহী’ নামে কিছু ‘জ্ঞান’ সংরক্ষিত থাকে, যার মধ্যে ‘মানবীয় জ্ঞান ভিত্তিক’ কথাও সংমিশ্রিত থাকে। কোন কথাটি ওহী এবং কোন কথাটি মানবীয় তা জানার বা পৃথক করার কোনো উপায় থাকে না। ফলে ‘ওহী’ নামে সংরক্ষিত গ্রন্থ বা জ্ঞান মূল্যহীণ হয়ে যায়। পূর্ববর্তী অধিকাংশ জাতি দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ওহীর জ্ঞানকে বিকৃত করেছে। ইহুদী, খৃস্টান ও অন্যান্য অধিকাংশ ধর্মাম্বলীদের নিকট ‘ধর্মগ্রন্থ’ Divine scripture, God’s Word ইত্যাদি নামে কিছু গ্রন্থ সংরক্ষিত রয়েছে। যেগুলির মধ্যে অগণিত মানবীয় কথা, বর্ণনা ও মতামত সংমিশ্রিত রয়েছে। ফলে সেগুলি থেকে মূল শিক্ষা উদ্ধার করার কোনো পথ নেই।

ইসলামে ওহীর জ্ঞান দুই প্রকার: আল-কুরআনুল কারীম ও হাদীসুর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত কুরআন কারীম হুবহু ওহীর শব্দে ও বাক্যে সংকলিত হয়েছে। হাদীস হলো ওহীর মাধ্যমে প্রদত্ত কুরআনের ব্যাখ্যা ও প্রায়োগিক জ্ঞান, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের ভাষায় শিক্ষা দিয়েছেন। ইসলামের এই দুই মুল উৎসকে রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওহীর জ্ঞানকে হুবহু নির্ভেজালভাবে সংরক্ষণের জন্য একদিকে কুরআন ও হাদীসকে হুবহু শাব্দিকভাবে মুখস্থ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নয় এমন কোনো কথাকে মহান আল্লাহ বা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নামে বলতে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

৩. ১. ‘ওহী’-লব্ধ জ্ঞানের নির্ভুল ও নির্ভেজাল সংরক্ষণে কুরআনের নির্দেশ

‘ওহী’র নামে মিথ্যা, বানোয়াট বা অনুমান-নির্ভর কথা প্রচারের দুইটি পর্যায়: প্রথমত, নিজে ওহীর নামে মিথ্যা বলা ও দ্বিতীয়ত, অন্যের বলা মিথ্যা গ্রহণ ও প্রচার করা। উভয় পথ রুদ্ধ করার জন্য কুরআন কারীমে একদিকে আল্লাহর নামে মিথ্যা বা অনুমান নির্ভর কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। অপরদিকে কারো প্রচারিত কোনো তথ্য বিচার ও যাচাই ছাড়া গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

৩. ১. ১. আল্লাহর নামে মিথ্যা ও অনুমান নির্ভর কথা বলার নিষেধাজ্ঞা

কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বারংবার আল্লাহর নামে মিধ্যা বলতে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে না-জেনে, আন্দাজে, ধারণা বা অনুমানের উপর নির্ভর করে আল্লাহর নামে কিছু বলতে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যা বলার অর্থ আল্লাহর নামে মিথ্যা বলা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকেই কথা বলেন। কুরআনের মত হাদীসও আল্লাহর ওহী। কুরআন ও হাদীস, উভয় প্রকারের ওহীই একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে বিশ্ববাসী পেয়েছে। কাজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে কোনো প্রকারের মিথ্যা, বানোয়াট, আন্দাজ বা অনুমান নির্ভর কথা বলার অর্থই আল্লাহর নামে মিথ্যা বলা বা না-জেনে আল্লাহর নামে কিছু বলা। কুরআন কারীমে এ বিষয়ে বারংবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে কয়েকটি বাণী উল্লেখ করছি।

১. কুরআন কারীমে বারংবার এরশাদ করা হয়েছে:

ومن أظلم ممن افترى على الله كذبا

“আল্লাহর নামে বা আল্লাহর সম্পর্কে যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে তার চেয়ে বড় জালিম আর কে?”

২. এরশাদ করা হয়েছে:

ويلكم لا تفتروا على الله كذبا فيسحتكم بعذاب وقد خاب من افترى

“দুর্ভোগ তোমাদের! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। করলে, তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দ্বারা সমূলে ধ্বংস করিবেন। যে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে সেই ব্যর্থ হয়েছে।”

৩. কুরআন কারীমে বারংবার না-জেনে, আন্দাজে বা অনুমান নির্ভর করে আল্লাহ, আল্লাহর দ্বীন, বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে কোনো কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন একস্থানে এরশাদ করা হয়েছে:

يا أيها الناس كلوا مما في الأرض حلالا طيبا ولا تتبعوا خطوات الشيطان إنه لكم عدو مبين. إنما يأمركم بالسوء والفحشاء وأن تقولوا على الله ما لا تعلمون.

“হে মানবজাতি, পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পাবিত্র খাদ্যবস্ত রয়েছে তা থেকে তোমরা আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“। সে তো কেবল তোমাদেরকে মন্দ ও অশ্লীল কার্যের এবং আল্লাহ সম্বন্ধে তোমরা যা জান না এমন সব বিষয় বলার নির্দেশ দেয়।

৪. অন্যত্র এরশাদ করা হয়েছে:

قل إنما حرم ربي الفواحش ما ظهر منها وما بطن والإثم والبغي بغير الحق وأن تشركوا بالله ما لم ينزل به سلطانا وأن تقولوا على الله ما لا تعلمون.

“বল, ‘আমার প্রতিপালন নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোনো কিছুকে আল্লাহর শরীক করা- যার কোনো সনদ তিনি প্রেরণ করেন নি, এবং আল্লাহর সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যে সম্বন্ধে তোমাদের কোনো জ্ঞান নেই।”

এভাবে কুরআন কারীমে ওহীর জ্ঞানকে সকল ভেজাল ও মিথ্যা থেকে রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহিমাময় আল্লাহ, তাঁর মহান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর দ্বীন, তাঁর বিধান ইত্যাদি কোনো বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, আন্দাজ বা অনুমান নির্ভর কথা বলা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

৩. ১. ২. যে কোনো তথ্য বা বক্তব্য গ্রহণের পূর্বে তা যাচাই করার নির্দেশ

নিজে আল্লাহ বা তাঁর মহান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যা বলা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি অন্যের কোনো অনির্ভরযোগ্য, মিথ্যা বা অনুমান নির্ভর বর্ণনা বা বক্তব্য গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ। যে কোনো সংবাদ বা বক্তব্য গ্রহণে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কুরআন কারীম। এরশাদ করা হয়েছে:

يا أيها الذين آمنوا إن جاءكم فاسق بنبأ فتبينوا أن تصيبوا قوما بجهالة فتصبحوا على ما فعلتم نادمين.

“হে মুমিনগণ যদি কোনো পাপী তোমাদের নিকট কোনো বার্তা আনয়ন করে, তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্থ না কর, এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।”

এই নির্দেশের আলোকে, কেউ কোনো সংবাদ, বক্তব্য, খবর, সাক্ষ্য বা তথ্য প্রদান করলে তা গ্রহণের পূর্বে সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত সততা ও তথ্য প্রদানে তার নির্ভুলতা যাচাই করা মুসলিমের জন্য ফরয বা অত্যাবশ্যক। জাগতিক সকল বিষয়ের চেয়েও বেশি সতর্কতা ও পরীক্ষা করা প্রয়োজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ক বার্তা বা বাণী গ্রহণের ক্ষেত্রে। কারণ জাগতিক বিষয়ে ভুল তথ্য বা সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করলে মানুষের সম্পদ, সম্ভ্রম বা জীবনের ক্ষতি হতে পারে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস বা ওহীর জ্ঞানের বিষয়ে অসতর্কতার পরিণতি ঈমানের ক্ষতি ও আখেরাতের অনন্ত জীবনের ধ্বংস। এজন্য মুসলিম উম্মাহ সর্বদা সকল বার্তা, হাদীস, বর্ণনা পরীক্ষা করে গ্রহণ করেছেন।

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত

এ প্রবন্ধটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, ৪৪ বর্ষ ৩য় সংখ্যা: জানুয়ারী-মার্চ ২০০৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

http://assunnahtrust.com/site/?page_id=839

বিষয়: বিবিধ

১১২৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

191171
১২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। বর্তমানে গুমারাহে নিমজ্জিত শিরক-বিদয়াতপন্থীরা প্রচুর জাল হাদীস এর রেফারেন্স দিয়ে থাকে। শুধু তা নয়, কুরআনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যাও দিয়ে থাকে তারা।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বিষয়টি উপলব্ধি করার তওফীক দিন।
191197
১২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:২০
সন্ধাতারা লিখেছেন : প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক অতি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেকেই পড়ে উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ। বেশী বেশী করে লিখুন সম্ভব হলে। প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ্‌র দরবারে আপনার সার্বিক মঙ্গলের জন্য। আবারও ধন্যবাদ সুন্দর লিখাটির জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File