রাসূল(সাঃ) এর হাদিসের বাস্তবতা ও ইমাম আজম (রঃ)

লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:০১:৪২ দুপুর

মুসাদ্দাদ (র) ......... আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর বসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ ‘আজ কোন্ দিন?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ ‘এটা কোন্ মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ ‘এটা যিলহজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ (জেনে রাখ! ‘তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যক্তি হয়ত এমন এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।’ ইলম বা জ্ঞান অধ্যায় ::

সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৩ :: হাদিস ৬৪

একদিন ইমাম আবু হানীফা (রহ.) কিরাত ও হাদীস বর্ননায় প্রসিদ্ধ তাবিই হযরত আমাশ (রহ.) এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় কোন একটি মাসআলা সম্পর্কে ইমাম সাহেবের মতামত জিজ্ঞেস করা হল। জবাবে তিনি তার মতাতমত জানালেন। হযরত আমাশ (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন- এ দলীল তুমি কোথায় পেয়েছ? জবাবে ইমাম সাহেব বললেন যে আপনিই তো আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, আবু সালেহ ও আবু হুরইরাহ সূত্রে আর ওয়ায়েল ও আব্দুল্লাহ ইবনি মাসঊদ (রদ্বি.) এর সূত্রে, আবী ইয়াস ও আবী মাসঊদ আল আনসারীর সূত্রে যে- রাসূলুল্লা¬হ সাল্লাল্লা¬হু আলাইহি ওয়া সাল¬াম বলেছেন-

من دلّ على خير كان له مثل اجر عمله .

‘যে ব্যক্তি কোন নেক কাজে অন্যকে পথ দেখাবে (উদ্বুদ্ধ করবে) সে ব্যক্তি উক্ত নেক কাজটি করার সমতুল্য সাওয়াবের অধিকারী হবে’।

আপনি আরো বর্ননা করেছেন আবী সালেহ ও আবী হুরইরা সূত্রে যে- একবার জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লা¬হ সাল্লাল্লা¬হু আলাইহি ওয়া সাল¬াম কে জিজ্ঞাসা করলেন আমি আমার ঘরে নামায আদায় করছিলাম এমন সময় কোন এক ব্যক্তি আমার ঘরে প্রবেশ করে, ফলে আমার অšতরে ‘উযব’ (আতœতুষ্টি) সৃষ্টি হয়। রাসূলুল্লা¬হ সাল¬াল¬হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

لك اجران اخر السّرو اخر العلانية .

‘তুমি দু’টি সাওয়াব পাবে, অপ্রকাশ্যে আমাল করার এবং প্রকাশ্যে আমাল করার’।

এভাবে ইমাম সাহেব তারই বর্ননাকৃত আরও চারটি হাদীস শুনালেন। ইমাম আমাশ বললেন- যথেষ্ট হয়েছে, আর শুনাতে হবে না। আমি তোমাকে একশত দিনে যা শুনিয়েছি তুমি এক ঘন্টায় তা শুনিয়ে দিলে। আমার ধারনাও ছিল না যে তুমি এ হাদীসগুলোর উপর আমাল করে থাক। সত্যিই তোমরা ফকীহরা হলে ডাক্তারতুল্য, আর আমরা হলাম ঔষধের দোকানদার। আর তুমি তো উভয় দিকই হাসীল করেছ (الجواهر المضية, খ- ২, পৃ- ৪৮৪)।

বিষয়: বিবিধ

১০৪৫ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

182503
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৩
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২১
135110
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182506
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : যাযাকাল্লাহু খাইরান।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২১
135109
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182547
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
ইমরান ভাই লিখেছেন : এই হাদিসের সাথে ইমাম আবু হানিফার (র) মতো ইমাম বুখারী (র) কে ধরা যেতে পারে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২১
135108
মদীনার আলো লিখেছেন : ইমাম বুখারী (র) কে ধরা যেতে পারে ১০০% ঠিক
182601
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৯
135107
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182753
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৯
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182795
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : যাযাকাল্লাহু খাইরান।
182812
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
135181
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182873
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৪
135205
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
182967
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৯
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
135472
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File