কিয়ামতের প্রতীক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৫০:৩৮ রাত
মুহাম্মদ ইব্ন সিনান (র) ও ইবরাহীম ইব্নুল মুনযির (র) ........ আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (সা) মজলিসে লোকদের সামনে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে একজন বেদু্ঈন এসে প্রশ্ন করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাঁর আলোচনায় রত রইলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি য বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেন নি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পান নি। রাসূলুল্লাহ্ (সা) আলোচনা শেষ করে বললেনঃ ‘কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথয়?’ সে বলল, ‘এই যে আমি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!’ তিনি বললেনঃ ‘যখন আমানত নষ্ট করা হয় তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।’ সে বলল, ‘কিভাবে আমানত নষ্ট করা হয়?’ তিনি বললেনঃ ‘যখন কোন কাজের দায়িত্ব অনুপযুক্ত লোকের প্রতি ন্যস্ত হয়, তখন তুমি কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।’ ইলম বা জ্ঞান অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৩ :: হাদিস ৫৬
মুসাদ্দাদ (র) ........ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদের এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব যা আমার পর তোমাদের কাছে আর কেউ বর্ণনা করবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা)কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম কমে যাবে, অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, এমনকি প্রতি পঞ্চাশজন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক।ইলম বা জ্ঞান অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৩ :: হাদিস ৭৮
মাক্বী ইব্ন ইবরাহীম (র) ........ আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ (শেষ যামানায়) ‘ইল্ম তুলে নেওয়া হবে, অজ্ঞতা ও ফিতনার প্রসার ঘটবে এবং ‘হারাজ’ বেড়ে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! ‘হারাজ’ কি? তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ ‘এ রকম।’ যেন তিনি এর দ্বারা ‘হত্যা’ বুঝিয়েছিলেন।
ইলম বা জ্ঞান অধ্যায় ::
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৩ :: হাদিস ১০১
ইসমা‘ঈল ইবন ‘আবূ উওয়ায়স (র)...আবদুল্লাহ্ ইবন ‘আমর ইবনুল ‘আস (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ্ তা‘আলা বান্দার অন্তর থেকে ইলম বের করে উঠিয়ে নেবেন না; বরং আলিমদের উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নেবেন। যখন কোন আলিম বাকী থাকবে না তখন লোকেরা জাহিলদেরই নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা না জেনেই ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও গোমরাহ হবে, আর অপরকেও গোমরাহ করবে।
মুসাদ্দাদ (র) ......... আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর বসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ ‘আজ কোন্ দিন?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ ‘এটা কোন্ মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ ‘এটা যিলহজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ (জেনে রাখ! ‘তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যক্তি হয়ত এমন এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।’
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন