মাসআলা ইস্তিম্বাতে ইমাম আবু হানীফা (রহ.) দক্ষতা (প্রসিদ্ধ তাবিই হযরত আমাশ (রহ.) ও ইমাম আবু হানীফা (রহ.))

লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:০৪:৫৬ রাত

একদিন ইমাম আবু হানীফা (রহ.) কিরাত ও হাদীস বর্ননায় প্রসিদ্ধ তাবিই হযরত আমাশ (রহ.) এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় কোন একটি মাসআলা সম্পর্কে ইমাম সাহেবের মতামত জিজ্ঞেস করা হল। জবাবে তিনি তার মতাতমত জানালেন। হযরত আমাশ (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন- এ দলীল তুমি কোথায় পেয়েছ? জবাবে ইমাম সাহেব বললেন যে আপনিই তো আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, আবু সালেহ ও আবু হুরইরাহ সূত্রে আর ওয়ায়েল ও আব্দুল্লাহ ইবনি মাসঊদ (রদ্বি.) এর সূত্রে, আবী ইয়াস ও আবী মাসঊদ আল আনসারীর সূত্রে যে- রাসূলুল্লা¬হ সাল্লাল্লা¬হু আলাইহি ওয়া সাল¬াম বলেছেন-

من دلّ على خير كان له مثل اجر عمله .

‘যে ব্যক্তি কোন নেক কাজে অন্যকে পথ দেখাবে (উদ্বুদ্ধ করবে) সে ব্যক্তি উক্ত নেক কাজটি করার সমতুল্য সাওয়াবের অধিকারী হবে’।

আপনি আরো বর্ননা করেছেন আবী সালেহ ও আবী হুরইরা সূত্রে যে- একবার জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লা¬হ সাল্লাল্লা¬হু আলাইহি ওয়া সাল¬াম কে জিজ্ঞাসা করলেন আমি আমার ঘরে নামায আদায় করছিলাম এমন সময় কোন এক ব্যক্তি আমার ঘরে প্রবেশ করে, ফলে আমার অšতরে ‘উযব’ (আতœতুষ্টি) সৃষ্টি হয়। রাসূলুল্লা¬হ সাল¬াল¬হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-

لك اجران اخر السّرو اخر العلانية .

‘তুমি দু’টি সাওয়াব পাবে, অপ্রকাশ্যে আমাল করার এবং প্রকাশ্যে আমাল করার’।

এভাবে ইমাম সাহেব তারই বর্ননাকৃত আরও চারটি হাদীস শুনালেন। ইমাম আমাশ বললেন- যথেষ্ট হয়েছে, আর শুনাতে হবে না। আমি তোমাকে একশত দিনে যা শুনিয়েছি তুমি এক ঘন্টায় তা শুনিয়ে দিলে। আমার ধারনাও ছিল না যে তুমি এ হাদীসগুলোর উপর আমাল করে থাক। সত্যিই তোমরা ফকীহরা হলে ডাক্তারতুল্য, আর আমরা হলাম ঔষধের দোকানদার। আর তুমি তো উভয় দিকই হাসীল করেছ (الجواهر المضية, খ- ২, পৃ- ৪৮৪)।

বিষয়: বিবিধ

১৪৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File