মহামিথ্যার মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠা ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ
লিখেছেন লিখেছেন মদীনার আলো ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ১২:২৯:১২ রাত
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি মহামিথ্যার মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বিশ্বের ওপর নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার লক্ষ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ এ রাষ্ট্রটিকে প্রতিষ্ঠা করে।
আহমাদিনেজাদ শুক্রবার তেহরানে কুদস দিবসের শোভাযাত্রা শেষে জুমার নামাজে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাতসি বাহিনীর হাতে কথিত ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার কল্পকাহিনী উপস্থাপন করা হয়; বলা হয়, ইহুদিরা নির্যাতিত বলে তাদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
আহমাদিনেজাদ বলেন, প্রথমত ৬০ লাখ ইহুদির কথিত হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের বুকে তৈরি করা একটি মহামিথ্যা। দ্বিতীয়ত যদি ধরেও নেই যে, ঘটনাটি সত্যি ছিল এবং নাতসিরা এ জঘন্য কর্মটি করেছে, তাহলে সে কপকর্মের দায় কেনো ফিলিস্তিনি জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া হলো? ফিলিস্তিনিরা ইহুদিদের হত্যা না করা সত্ত্বেও কেনো নির্যাতিত এই জাতির ওপর বর্বর গণহত্যা চালিয়ে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হলো?
ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর কাছে আজ ‘ইহুদিবাদ’ ও ‘হোলোকাস্ট’এর চেয়ে পবিত্র বস্তু আর নেই। পাশ্চাত্যে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করলে কোনো শাস্তি হয় না, যীশু খ্রিস্টকে অবমাননা করলেও তা কোনো অপরাধ নয়; অথচ কথিত ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার কল্পকাহিনী ‘হোলোকাস্ট’ নিয়ে গবেষণা চালাতে গেলেও কঠিন শাস্তি পেতে হয়।
এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই কল্পিত কাহিনীটির ব্যাপারে সত্য উন্মোচিত হয়ে পড়লে ইহুদিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের ভিত কেঁপে উঠবে বলে তারা এ ব্যাপারে এত বেশি স্পর্শকাতরতা দেখায়।
ড. আহমাদিনেজাদ বলেন, বিশ্ব কুদস দিবস এসেছে সেই মহামিথ্যার স্বরূপ উন্মোচন করে ইহুদিবাদী চিন্তাধারার অস্তিত্ব মুছে ফেলতে। ঠিক এ কারণেই পাশ্চাত্য প্রতি বছর এ দিবস আসলেই আতঙ্কে থাকে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন