হারবাল ওষুধ ও কিডনির নিরাপত্তা হুমকি

লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর সালেহ মতীন ২০ মার্চ, ২০১৩, ১১:২৪:৫৩ সকাল

সাধারণত আমরা ব্যাপকভাবে এখন বিশ্বাস করি যে, হারবাল ব্যবস্থা হলো সুস্থ থাকার প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়। এ জন্য খাদ্য থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতেই আজকাল হারবালের দিকে সবার ঝোঁক বাড়ছে। প্রচার মাধ্যমগুলোতে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনে অতিশয় গুণ-কীর্তনের কল্যাণে হারবাল ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তবে শঙ্কার কথা হলো বিজ্ঞানীরা বলছেন, হারবাল ওষুধে কিডনি বিকল, এমনকি পাকস্থলির ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। হারবাল ওষুধ বেশি ব্যবহারের কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে এ ঝুঁকি অনেক বেড়েছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক মঙ্গলবার এ হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। হারবাল বা ভেষজ ওষুধ মানুষ সাধারণত শরীর স্লিম রাখতে কিংবা অ্যাজমা, আর্থারাইটিস প্রভৃতি রোগ নিরাময়ের জন্য গ্রহণ করে । এসব ওষুধ উদ্ভিদ ও লতাপাতার অংশ বা রস হওয়ায় তাতে বিভিন্ন অ্যারিস্টলোসিক অ্যাসিড থাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অ্যারিস্টলোসিক অ্যাসিডের একটি ধরন ন্যাপরোপ্যাথি টক্সিক হিসেবে কিডনি অকার্যকর করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

ভয়াবহতা বিবেচনায় এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশে হারবাল ওষুধ নিষিদ্ধ করা হলেও এশিয়ায় বিশেষ করে ভারত ও চীনে এর ব্যবহার লক্ষণীয়।

অ্যানালস অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এ বিষয়ক এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মানুষ হারবাল চিকিৎসার নামে ভুল বা অপচিকিৎসার শিকার। লন্ডন কিংস কলেজের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ রিসার্চের পরিচালক প্রফেসর গ্রাহাম লর্ড বলেন, 'আমরা প্রমাণ পেয়েছি, হারবাল ওষুধ গ্রহণ করে বিশেষত ভারত ও চীনের লাখ লাখ লোক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।'

কত ভয়াবহ বার্তা এটি! এক্ষুণি এ ব্যাপারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গণসচেতনা তৈরিতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File