সমুদ্রের সিঁড়ি বেয়ে
লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর সালেহ মতীন ০৪ জুন, ২০১৪, ১২:২২:২১ দুপুর
তুমি হাতড়ে মরছ, অনন্ত সুখ সন্ধানে
সায়াহ্ন বেলা তাই অজান্তে
কখন পার হয়ে যায়-
আসে রহস্যঘন মায়াবী প্রহর।
বিমর্ষ আত্মার প্রতিধ্বনি অন্তরীক্ষে পৌঁছে।
অনিঃশেষ প্রেমের নিরন্তর আবেদনে,
নত হয় শ্বাশ্বত বাস্তবতার পদাশ্রয়ে,
কিছু বলা, কিছু না বলা বেদনার্ত ভাষাগুলো
গহীন সমুদ্রে হারিয়ে মরে,
তখন তুমি শুধুই খুঁজে ফের
কারো ভালোবাসার বিদগ্ধ ভাণ্ডার।
অথচ তুমি পার না দু’টি হাত উর্দ্ধে বাড়িয়ে
অনন্ত আকাশের কাছে প্রশ্ন করতে,
পার না নিয়তির কাছে জবাব চাইতে!
ধূলি ধূসরিত কোন কূয়াসা সন্ধ্যায়
পথ হারিয়ে ফেলা তোমার সকরুণ পরিণতি
সত্যাশ্রয়ের আর অকপটতার পবিত্র দ্বীপ শিখা,
করে যায় যায় বেসুমার অপলাপ
কিংবা অনন্তভেদী আর্তনাদ।
তোমার তো বাঁচবার সাধ ছিল,
জাগবার বাসনা ছিল!
তবে কেন তলিয়ে গেলে অতল গহ্বরে ?
জাগ্রত আত্মার স্কন্ধে ভর করে
তুমি উঠে এসো-
উঠে এসা তুমি সমুদ্রের সিঁড়ি বেয়ে
লেখ তুমি সেই শ্বাশ্বত ভালোবাসার শ্লোগান
যুগ সন্ধিক্ষণের দেয়ালে দেয়ালে।
ঝিনাইদহ
২০/০৪/১৯৯৬
বিষয়: বিবিধ
১০৮০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লেখ তুমি সেই শ্বাশ্বত ভালোবাসার শ্লোগান
যুগ সন্ধিক্ষণের দেয়ালে দেয়ালে।
_____________
খুব ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ সুন্দর কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জাগ্রত আত্মার স্কন্ধে ভর করে
তুমি উঠে এসো-
উঠে এসা তুমি সমুদ্রের সিঁড়ি বেয়ে
লেখ তুমি সেই শ্বাশ্বত ভালোবাসার শ্লোগান
যুগ সন্ধিক্ষণের দেয়ালে দেয়ালে।
কল্পনার রাজ্য থেকে তুলে আনা কবির সাম্যর আর্তনাদ নিয়ে লিখা কবিতা সত্যিই চমৎকার। ব্যর্থতার গ্লানি ভূলে দিশেহারা কে আট বছর আগে আবার জেগে উঠার আহব্বান যেন আজকেরও বাস্তবতা। তাই এসব ক্বালজয়ী কবিতা সব কালের।
আজকে বড় প্রয়োজন লেখকের
বড় প্রযোজন বিদ্রোহী কবির,
প্রয়োজন, নেতৃত্বের,
প্রয়োজন
মহাসমুদ্র সম ভালবাসার মানুষের।
এসব নিয়ে চিন্তা মননে বিপ্লব সৃষ্টিকারী কে আহব্বান করে লিখা কবিতার কবি ডক্টর সালেহ মতীন কে ধন্যবাদ।
ভালো লিখেছেন...
উঠে এসা তুমি সমুদ্রের সিঁড়ি বেয়ে
লেখ তুমি সেই শ্বাশ্বত ভালোবাসার শ্লোগান
যুগ সন্ধিক্ষণের দেয়ালে দেয়ালে।
---
---
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন