ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার
লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর সালেহ মতীন ২৯ মে, ২০১৪, ১১:৩১:০৩ সকাল
ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্লাটে যায় না দেখা এপার ওপার- পংক্তি দুটি জনপ্রিয় সঙ্গীত রচয়িতা ও গায়ক নচিকেতার অশ্রুঝরানো ও অসম্ভব জনপ্রিয় একটি গানের প্রথমাংশ। আমি এটাকে শুধু গানের জন্য গান বলিনা, এটি আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিত্র। কেন এ গানটিকে আমি অশ্রুঝরানো বলছি তা এ গানটি যারা উপলব্ধি করে শুনেছেন তাদের কাছে ব্যাখ্যা দেয়া নিষ্প্রয়োজন। যারা শুনেননি তাদের একবার হলেও গানটি শুনার সবিনয় পরামর্শ দিচ্ছি।
আমার পিতৃত্বের অভিজ্ঞতা মাত্র ৭ বছরের, গানটিতে আমাদের সমাজের বাস্তবতার যে সন্ধান পাই এরই মধ্যে তা আমাকে সাংঘাতিক ভাবিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে সত্যিকার দায়িত্বসমূহ কি আমরা পরিপালন করতে পারছি ? নাকি সর্বোচ্চ জরুরিয়াতকে গুরুত্বহীন মনে করছি ?
সন্তান পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই তাকে নিয়ে পিতা-মাতার স্বপ্ন নির্মিত হতে থাকে। অধিকাংশ পিতা-মাতাই বিশেষ করে শিক্ষিত পিতা-মাতা ছেলে-মেয়েকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা পাইলট বানানোর লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। আমি বলছি না যে, এগুলো দোষের। প্রশ্ন হলো, আমাদের উপলব্ধি করতে হবে সন্তানকে ডাক্তার, পাইলট বা ইঞ্জিনিয়ার বানানো বেশি জরুরি নাকি সত্যের আলোয় আলোকিত ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা বেশি জরুরি ? উপরোক্ত পেশা ধারণকারী সন্তানেরা যদি সৎ ও আল্লাহভীরু হয়ে গড়ে উঠে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তা যদি না হয় তাহলে শান্তিপূর্ণ, সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গঠনে তারা তো কোন ভূমিকা রাখবেই না, উপরন্তু তারা পিতা-মাতার কষ্টের কারণে পরিণত হতে বাধ্য।
গানে যে ছেলের কথা বলা হয়েছে তার বিদ্যা ও বিত্তের অভাব ছিল না, তার বিশাল ফ্লাটে থাকার জায়গারও কমতি ছিল না। অথচ তার মমতাময়ী বিধবা মা বাধ্য হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে নিজের ও সন্তানের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান এবং চোখের পানি ফেলেন। এ চিত্র আমাদের বর্তমান সমাজেরই। ছেলেটির মধ্যে যে জিনিসটির করুণ অভাব তাকে এ অভিশপ্ত পথে নিয়ে এসেছে তার মধ্যে শৈশব থেকেই তা দিয়ে দেয়া জরুরি। সুতরাং সন্তানকে সৎ, আল্লাহভীরু, সুশিক্ষিত ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মহান লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে পেশাগত শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করাই উত্তম। দুরদর্শী ও দায়িত্বশীল পিতৃত্বের সন্ধানে আমাদের সবারই সর্বোচ্চ সচেতন থাকা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৬ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=NDE5MjY=&s=MjM=
আসাকরি পডে মন্তব্য করবেন।
সন্তান সন্তুতির বুনিয়াদী শিক্ষাটা যদি নীতি নৈতিকতাবিহীন জড়বাদী চিন্তা-ভাবনার প্রভাবে প্রভাবিত পরিবেশে গড়ে উঠে তখন সেসব সন্তানদের কাছ থেকে তাদের পিতা-মাথারা বৃ্দ্ধ বয়সে কি ধরনের সার্ভিসই বা আশা করতে পারে?
এখনো পর্যন্ত পশ্চিমা বস্তাপচা রীতি রেওয়াজ আমাদের সমাজে তেমন বেশী প্রভাব ফেলতে পারেনি। পারিবারিক বন্ধনহীন, সামাজিক শৃঙ্খলাহীন পশ্চিমাদের নারকীয় কালচার ভয়াবহভাবে আমাদের নিজস্ব সকীয়তা, নিজস্ব তাহজিব দামাদ্দুনকে ধ্বংস করার জন্য ধেয়ে আসছে। গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে তাদের খারাপ কালচারগুলোই বিদ্যুৎ গতিতে যেন আমাদের ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক সুন্দর বন্ধন, সুফলদায়ক সামাজিক রীতি রেওয়াজগুলো রিপ্লেস করতে ধানবের মত এগিয়ে আসছে।
এ এসব বিপদ থেকে বভিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের ধর্নীয় এবং নৈতিক শিক্ষার সংমিশ্রণে বুনিয়াদী শিক্ষাকে ইউটিলাইজড করতে হবে। যদি আমাদের জেনারেশকে ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাখ’এর মৌলিক নীতিমালার আলোকে ঢেলে সাজানো সম্ভব হয় তবে পৃথিবীর বুকে অদূর ভবিষ্যতে আমরাই হবো শিক্ষা-দিক্ষায় শ্রেষ্ঠ জাতি, আমাদের কাছ থেকেই দুনিয়ার সব জাতি শিক্ষা অর্জন করতে দলে দলে এগিয়ে আসবে।
ৈ অন্যদিকে বউ নতুন এসেছে তার জীবনে । বউকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তার কাছে উত্তম হওয়া যাবে , ফলে সে উত্তম হবে শরিয়তের দৃষ্টিতে ।
তাই বউয়ের মন পেতে মাকে একটু সরিয়ে রাখে আর কি ।
তাই আগেই বেহেশত কনফার্ম করা তার হয়ে গেছে এবং সেই সাথে বউয়ের কাছে উত্তম - এই সার্টিফিকেট যদি সে বাগাতে পারে তাহলে তার তো জান্নাতুল ফেরদৌস কনফার্ম হবার কথা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন