ইসলামী ব্যাংকের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ (পর্ব-৫)

লিখেছেন লিখেছেন ডক্টর সালেহ মতীন ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৫:৪৩ সকাল



[পূর্ব প্রকাশিতের পর]

ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সারা দুনিয়া এখন ভাবছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু রচনা সম্মানিত ব্লগার ও পাঠক ভাই-বোনদের উদ্দেশে শেয়ার করতে চাই। প্রকাশিত বিষয়ে সমালোচনা, পরামর্শ, সংশোধন সাদরে গৃহীত হবে। বিষয়টি নিতান্তই বেরসিক বিষয়বস্তুর তালিকায় পড়ে, সুতরাং ইহা যদি কারো বিরক্তি উৎপাদন করে তবে আগে ভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

পর্ব-৫

১৯৫৫ সালে আরেক ইসলামী চিন্তাবিদ মোহাম্মদ উজায়ের তার ÒAn Outline of Interestless Banking” শীর্ষক প্রবন্ধে ইসলামী ব্যাংকের কর্মপদ্ধতিতে মুদারাবা মূলনীতি সংযুক্ত করার কথা বলেন।মোহাম্মদ উজায়েরের প্রবন্ধ ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পথে এক ধাপ অগ্রগতি সাধন করে। বিশ্ববাসী নতুন করে একটি কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার পদধ্বনি শুনতে থাকে। অনাগত সে ব্যাংকের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বে সুদনির্ভর ব্যাংকসমূহের অবকাঠামো ও নীতিমালা জনগণের জন্য কতটা কল্যাণকর ও নিরাপত্তামূলক তা নিয়ে নতুন ভাবনার উদয় হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংকিং এর চলমান আন্দোলন পঞ্চাশের দশকে আরো গতিশীল হয়ে ওঠে। মুসলিম উম্মাহ্র চিন্তা-চেতনায় সুদের কুফল এমনভাবে প্রোথিত হয় যে, তাঁরা একটি সুদমুক্ত ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ সময়ে বেশ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে। এসব রাষ্ট্রে মুসলিমগণের নিজস্ব আদর্শ ও ঐতিহ্যের আলোকে অর্থনীতি, ব্যাংকিং তথা গোটা সমাজব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি তীব্র হতে থাকে। পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে গবেষণাও ব্যাপকতা পায়। ইসলামী চিন্তাবিদগণের গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনার ফসলস্বরূপ বেশ কিছু বই-পুস্তক, প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়।

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক ছিল কেবল দার্শনিক ও চিন্তাবিদগণের গবেষণা ও রচনার বিষয়। এ সময় ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিষয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন প্রচুর মাত্রায় চলতে থাকে। একবিংশ শতাব্দী এবং পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামী ব্যাংক জয়ী হতে পারবে কিনা, আসন্ন সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ মোকাবিলা করে জনগণের সত্যিকার কল্যাণে আসবে কিনা এ সব নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইসলামী চিন্তাবিদগণ নিরলস গবেষণা চালিয়ে যান।

ত্রিশের দশকে ইসলামী অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা পুনর্গঠনে চিন্তার রাজ্যে আলোড়ন তোলেন আল্লামা ইকবাল ও মাওলানা মওদূদীর মতো বেশ ক’জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। চল্লিশের দশকে সে চিন্তার বাস্তবায়ন চেষ্টা অধিকতর সুসংহত হয়।

পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি গবেষণা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল পদ্ধতিসমূহ অনুসরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রের জন্য গৃহীত ‘আদর্শিক মূলনীতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সুনির্দিষ্ট ও সুষ্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয় যে, দেশের অর্থব্যবস্থা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা হবে। ষাটের দশক ছিল ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষাকাল এবং তৎপরবর্তী সত্তরের দশক ছিল তা বাস্তবায়নের দশক। এ দশকে ইসলামী চিন্তাবিদগণের চিন্তা-গবেষণা এবং উদ্যোক্তাগণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে বিশ্বমানবতার কাছে ইসলামী অর্থনৈতিক কল্যাণের বার্তা পৌঁছানো শুরু হয়। ১৯৬১ সালে মিশরে ইসলামী গবেষণার সর্বোচ্চ কেন্দ্ররূপে ‘কলেজ অব ইসলামিক রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৪ সালের ৭ মার্চ কলেজের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি মুসলিম দেশের শতাধিক ইসলামী বিশেষজ্ঞ যোগ দেন।তাঁরা প্রচলিত ব্যাংকব্যবস্থার বিকল্পরূপে ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি গড়ে তোলার উপায় নিয়ে অলোচনা করেন। সম্মেলনে ব্যাংকিং কার্যক্রমের কয়েকটি ইসলামী পদ্ধতি অনুমোদন করা হয় এবং আরো কয়েকটি পদ্ধতি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়।

১৯৬২ সালে ইসলামী নীতিমালার আলোকে মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়, `Pilgrims Savings Corporation’. বস্তুত হজ্জে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সমাবেশ করে হজ্জব্রত পালনে আগ্রহী ব্যক্তিগণের সুবিধার্থে ব্যাংকের আদলে সুদমুক্ত নীতিতে এ সংস্থা গঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পার্লামেন্টের আইনের মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় `Lembaga Tabung Haji(LTH)’ এবং এটি তখন একটি বিশেষায়িত ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়। সরকারি পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এটি ছিল প্রথম উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি এখনো সুনামের সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার ইসলামী ব্যাংকিং এর ইতিহাসে এ ব্যাংকটিকে পথিকৃৎ এবং বিশ্ব ইসলামী ব্যাংকিং এর জন্য একধাপ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৯৬৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নেজাতুল্লাহ সিদ্দিকী মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংকিং এর দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নমুনা(Model) উপস্থাপন করেন। ইসলামী ব্যাংক যাতে আরো বিজ্ঞানসম্মত ও কল্যাণকর উপায়ে জনগণের নির্বিঘ্ন উপকার সাধন করতে পারে সে জন্যই তিনি এ নমুনা উপহার দিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে এম. মোহাইমিন আধুনিক পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একটি বিস্তৃত অবকাঠামোগত ধারণা উপস্থাপন করেন। এ সবই ইসলামী ব্যাংকিং এর চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পাথেয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ইসলামী চিন্তাবিদগণের চিন্তা ও গবেষণার ফসল বিশ্ববাসী বর্তমানে ভোগ করছে। ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী বার্তা মানব সভ্যতাকে নতুন করে আর্থ-সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার সুসংবাদ দিচ্ছে।

[চলবে.........][পূর্ব প্রকাশিতের পর]

ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সারা দুনিয়া এখন ভাবছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু রচনা সম্মানিত ব্লগার ও পাঠক ভাই-বোনদের উদ্দেশে শেয়ার করতে চাই। প্রকাশিত বিষয়ে সমালোচনা, পরামর্শ, সংশোধন সাদরে গৃহীত হবে। বিষয়টি নিতান্তই বেরসিক বিষয়বস্তুর তালিকায় পড়ে, সুতরাং ইহা যদি কারো বিরক্তি উৎপাদন করে তবে আগে ভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

পর্ব-৫

১৯৫৫ সালে আরেক ইসলামী চিন্তাবিদ মোহাম্মদ উজায়ের তার ÒAn Outline of Interestless Banking” শীর্ষক প্রবন্ধে ইসলামী ব্যাংকের কর্মপদ্ধতিতে মুদারাবা মূলনীতি সংযুক্ত করার কথা বলেন।মোহাম্মদ উজায়েরের প্রবন্ধ ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পথে এক ধাপ অগ্রগতি সাধন করে। বিশ্ববাসী নতুন করে একটি কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার পদধ্বনি শুনতে থাকে। অনাগত সে ব্যাংকের উপস্থিতি পশ্চিমা বিশ্বে সুদনির্ভর ব্যাংকসমূহের অবকাঠামো ও নীতিমালা জনগণের জন্য কতটা কল্যাণকর ও নিরাপত্তামূলক তা নিয়ে নতুন ভাবনার উদয় হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংকিং এর চলমান আন্দোলন পঞ্চাশের দশকে আরো গতিশীল হয়ে ওঠে। মুসলিম উম্মাহ্র চিন্তা-চেতনায় সুদের কুফল এমনভাবে প্রোথিত হয় যে, তাঁরা একটি সুদমুক্ত ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ সময়ে বেশ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে। এসব রাষ্ট্রে মুসলিমগণের নিজস্ব আদর্শ ও ঐতিহ্যের আলোকে অর্থনীতি, ব্যাংকিং তথা গোটা সমাজব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি তীব্র হতে থাকে। পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ে গবেষণাও ব্যাপকতা পায়। ইসলামী চিন্তাবিদগণের গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনার ফসলস্বরূপ বেশ কিছু বই-পুস্তক, প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়।

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক ছিল কেবল দার্শনিক ও চিন্তাবিদগণের গবেষণা ও রচনার বিষয়। এ সময় ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিষয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন প্রচুর মাত্রায় চলতে থাকে। একবিংশ শতাব্দী এবং পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামী ব্যাংক জয়ী হতে পারবে কিনা, আসন্ন সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ মোকাবিলা করে জনগণের সত্যিকার কল্যাণে আসবে কিনা এ সব নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইসলামী চিন্তাবিদগণ নিরলস গবেষণা চালিয়ে যান।

ত্রিশের দশকে ইসলামী অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা পুনর্গঠনে চিন্তার রাজ্যে আলোড়ন তোলেন আল্লামা ইকবাল ও মাওলানা মওদূদীর মতো বেশ ক’জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। চল্লিশের দশকে সে চিন্তার বাস্তবায়ন চেষ্টা অধিকতর সুসংহত হয়।

পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি গবেষণা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল পদ্ধতিসমূহ অনুসরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রের জন্য গৃহীত ‘আদর্শিক মূলনীতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সুনির্দিষ্ট ও সুষ্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয় যে, দেশের অর্থব্যবস্থা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা হবে। ষাটের দশক ছিল ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষাকাল এবং তৎপরবর্তী সত্তরের দশক ছিল তা বাস্তবায়নের দশক। এ দশকে ইসলামী চিন্তাবিদগণের চিন্তা-গবেষণা এবং উদ্যোক্তাগণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে বিশ্বমানবতার কাছে ইসলামী অর্থনৈতিক কল্যাণের বার্তা পৌঁছানো শুরু হয়। ১৯৬১ সালে মিশরে ইসলামী গবেষণার সর্বোচ্চ কেন্দ্ররূপে ‘কলেজ অব ইসলামিক রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৪ সালের ৭ মার্চ কলেজের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি মুসলিম দেশের শতাধিক ইসলামী বিশেষজ্ঞ যোগ দেন।তাঁরা প্রচলিত ব্যাংকব্যবস্থার বিকল্পরূপে ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি গড়ে তোলার উপায় নিয়ে অলোচনা করেন। সম্মেলনে ব্যাংকিং কার্যক্রমের কয়েকটি ইসলামী পদ্ধতি অনুমোদন করা হয় এবং আরো কয়েকটি পদ্ধতি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়।

১৯৬২ সালে ইসলামী নীতিমালার আলোকে মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়, `Pilgrims Savings Corporation’. বস্তুত হজ্জে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সমাবেশ করে হজ্জব্রত পালনে আগ্রহী ব্যক্তিগণের সুবিধার্থে ব্যাংকের আদলে সুদমুক্ত নীতিতে এ সংস্থা গঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পার্লামেন্টের আইনের মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় `Lembaga Tabung Haji(LTH)’ এবং এটি তখন একটি বিশেষায়িত ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়। সরকারি পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এটি ছিল প্রথম উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি এখনো সুনামের সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার ইসলামী ব্যাংকিং এর ইতিহাসে এ ব্যাংকটিকে পথিকৃৎ এবং বিশ্ব ইসলামী ব্যাংকিং এর জন্য একধাপ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৯৬৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নেজাতুল্লাহ সিদ্দিকী মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংকিং এর দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নমুনা(Model) উপস্থাপন করেন। ইসলামী ব্যাংক যাতে আরো বিজ্ঞানসম্মত ও কল্যাণকর উপায়ে জনগণের নির্বিঘ্ন উপকার সাধন করতে পারে সে জন্যই তিনি এ নমুনা উপহার দিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে এম. মোহাইমিন আধুনিক পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একটি বিস্তৃত অবকাঠামোগত ধারণা উপস্থাপন করেন। এ সবই ইসলামী ব্যাংকিং এর চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পাথেয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ইসলামী চিন্তাবিদগণের চিন্তা ও গবেষণার ফসল বিশ্ববাসী বর্তমানে ভোগ করছে। ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী বার্তা মানব সভ্যতাকে নতুন করে আর্থ-সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার সুসংবাদ দিচ্ছে।

[চলবে.........]

বিষয়: বিবিধ

১৯০২ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172304
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১০
নেহায়েৎ লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! লিখে যান মানুষের সত্যটা জানা দরকার। ইদানীং পত্রিকায় ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে ভূয়া অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাকে একজন একটা বই গিফট করেছেন। ইসলামী উৎপত্তি সম্মর্কে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৫
126026
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ নেহায়েৎ ভাই। পরামর্শ দিবেন, সমালোচনা করবেন খুশি হব।
172316
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : ইসলামী ব্যাংকে গ্রহকের জমাকৃত গছ্ছিত মূল টাকা কখনো কমে যাবে না এ নিশ্চয়তা কি ব্যাংক দিয়ে থাকে?
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
126043
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য। লক্ষ্য করে থাকবেন আমি কিন্তু ইসলামী ব্যাংক এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছি। আপনার প্রশ্নটা কিন্তু অন্য লাইনের, নয় কি ? তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোন পোস্ট দেয়ার সামর্থ অর্জন করলে তখন এ ধরনের প্রশ্নে উত্তর দেয়ার সুযোগ হবে ইনশাআল্লাহ।
172317
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks brotherডক্টর সালেহ মতীন for your post, particularly when the Islimis interest free banking system are attack all the way, specially in Bangladesh. I think it will be more helpful for us to understand interest free banking if you give us a bit more information about the matters/idea describe below, in your next post. Thanks
১।`Pilgrims Savings Corporation
২।১৯৬৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নেজাতুল্লাহ সিদ্দিকী মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংকিং এর দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নমুনা(Model) উপস্থাপন করেন।
৩।১৯৮২ সালে এম. মোহাইমিন আধুনিক পদ্ধতিতে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একটি বিস্তৃত অবকাঠামোগত ধারণা উপস্থাপন করেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
126046
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনিস ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। যে তিনটি বিষয়ে অাপনি বিস্তারিত জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তার বিস্তারিত ডকুমেন্ট আমার সংগ্রহে নেই। সংগ্রহ করতে পারলে অবশ্যই শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। তবে উপলব্ধি করছি যে, ঐতিহাসিক তথ্যের বিপরীতে বিস্তারিত ডকুমেন্ট হাতে থাকলে ভালো হয়।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
126047
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অানিস ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। যে তিনটি বিষয়ে অাপনি বিস্তারিত জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তার বিস্তারিত ডকুমেন্ট আমার সংগ্রহে নেই। সংগ্রহ করতে পারলে অবশ্যই শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। তবে উপলব্ধি করছি যে, ঐতিহাসিক তথ্যের বিপরীতে বিস্তারিত ডকুমেন্ট হাতে থাকলে ভালো হয়।
172320
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : যেমন ধরুন- একজন ট্রাক ড্রাইভার নিদৃষ্ট সময়ে পরিশোধের অঙ্গিকার করে ইসলামী ব্যাংকের লোনের টাকায় একটি ট্রাক কিনল। কিন্তু কোন কারনে মাঝামাঝি সময় সে আর ট্রাকের লোন repay করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক শুধুই কি ড্রাইভারের কাছ থেকে ট্রাকটি Repossessed করে নিবে? নাকি এর অকশন মুল্যের shortfall(যদি থেকে থাকে) তাও আদায় করবে??
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
126044
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য। লক্ষ্য করে থাকবেন আমি কিন্তু ইসলামী ব্যাংক এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছি। আপনার প্রশ্নটা কিন্তু অন্য লাইনের, নয় কি ? তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোন পোস্ট দেয়ার সামর্থ অর্জন করলে তখন এ ধরনের প্রশ্নে উত্তর দেয়ার সুযোগ হবে ইনশাআল্লাহ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
126122
বুড়া মিয়া লিখেছেন : যেহেতু ব্যাংক এর নিজেরই ক্যাপিটাল আছে সেক্ষেত্রে ধার/লোন/কর্জ দিতে পারে তারা – তবে সেক্ষেত্রে ধার/লোন/কর্জ এর বেশী টাকা তারা ফেরত নিতে পারবে না।

এক্ষেত্রে তারা ট্রেড করবে, ট্রাকটা কিনে একটা বিক্রয়মূল্য এবং পেমেন্ট-শিডিউল নির্ধারণ করে একটা কন্ট্রাক্ট করবে এবং বিক্রয়মূল্য পরিশোধ না করতে পারলে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তার কন্ডিশন দিতে পারে। যেহেতু এটা একটা বিক্রয়-চুক্তি হবে সেক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য পুরোটাই তারা রিকভার করার অধিকার রাখে এবং মাফও করে দিতে পারে – সেটা তাদের ইচ্ছা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২০
126277
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : নেহাত ইসলামী ঢেকি-বিদ্যা বলে কথা...... @ বুড়া মিয়া।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৬
126294
বুড়া মিয়া লিখেছেন : তো এখানে কি করবে সহীহ-ইসলামী বিদ্যায়? @কইণ্যা
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৬
126305
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : আপনি হয়তো খেয়াল করেন্নি- মতীন ভাই বুদ্ধিমান মানুষ, বেকায়দা আঁচ করতে পেরে উনি আমার দুটি প্রশ্নই কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু শেষমেষ আপনি এসে ধরা খেলেন @ বুড়া মিয়া............।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
126584
বুড়া মিয়া লিখেছেন : কইণ্য – আমি বিডিটুডে ইশকুলে ঢুকেছি-ই, ইসলাম সম্বন্ধে আমার জানাকে পরিশুদ্ধ করতে এবং অজানাকে শিখতে! তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে – অনেকের কাছ থেকেই অনেক কিছু জানা হয়েছে তাদেরকে তাদের কাছে যা অযাচিত সে প্রশ্ন করে বা সে বিষয় উত্থাপন করে ভুল শুধরেছে; কিন্তু তোমাকে কিলিয়েও – যৌনদাসী, কালা কুত্তা, জাহান্নামের বাতাস, ডিম্বাকৃতি পৃথিবী – এসব বাচ্চাক্লাসের জিনিস ছাড়া কখনই কিছু জানতেই পারিনি! তবে গালাগালির চর্চা হয়েছে তোমার সাথে।

তুমি অন্তত এ বিষয়ে সহীহ ইসলামী বিদ্যায় জ্ঞান দাও, জেনেই থাকলে – আবার যৌনদাসীর অ্যাডজাষ্টমেন্ট দিয়ো না!
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
126598
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আরও একটা বিষয় কইণ্যা – সেটা হচ্ছে, ইসলামে লোন দিয়া লাভ/সুদ নিয়া লাভ যদি করা না-ই যায়; তাইলে অবশ্যই ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমেই লাভ করতে হবে। আর তাই যদি করতে হয় – তবে আমি যা বলেছি, তা-ই ঠিক।

ভুল কোথায় প্রমাণ করো।
172328
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাই মাওলানা মওদুদী সাহেবের ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে একটি বই পড়েছিলাম সেখানে তিনি এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা মানেননি। আমি রেফারেন্স দিতে পারতাম কিন্তু বইটি ঢাকায়...আব্দুস শহীদ নসীম অনুবাদ করেছিলেন...যাইহোক আমার ধারনা অনেক কম
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
126045
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইজান।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
126140
বুড়া মিয়া লিখেছেন : না মানার কোন কারণ নাই স্লেভ, এটাকে অন্যান্য ব্যাংক এর মতো ভাবলে হবে না!

এখানে দুইটা মেইন কাজ হয় –

১) তারা ধার নেয় মানুষের কাছ থেকে সেটা দিয়ে নিজেরা ব্যবসা করার জন্য এবং সে ব্যবসার লাভ থেকে ধার যার কাছ থেকে নিছে তার লাভের অংশ নির্ধারণ করে দিবে। যদি তারা আমানত/ডিপোজিট গ্রহণ করতো – তা সংরক্ষণ আবশ্যক এবং তা ব্যবহার করতে পারবেনা সংরক্ষণ ব্যতীত। এখানে তারা আমানত না নিয়ে যদি ধার নেয় তবে ব্যবসা করতেই পারে – তবে সে ব্যবসায় তাদের ডাইরেক্ট ইনভলবমেণ্ট থাকতে হবে।

২)একইভাবে তাদের নিজেদেরও টাকা আছে, সেটা তারা আরেকজনকে নিয়ে অংশীদারী ব্যবসা করতে পারে এবং সে ব্যবসায় যে লাভ হবে তার অংশ নির্ধারণ করে নিতে পারে।

তো দেখা যাচ্ছে যে -
ক) কারও আমানতের কোন ব্যবহার করা যাবে না।
খ) ধার নিয়ে ব্যবসা করা যাবে।
গ) অংশীদারীভিত্তিতে নিজের টাকা ব্যবসায় খাটানো যাবে।

এখানে মনে হয় (খ) আর (গ) এর কারবার হয়। এতে কোন সমস্যা আছে বলে মনে হয়?
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
126141
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনুমতি নিয়ে অংশ নিচ্ছি-আমানতকারীর নিকট থেকে পূর্বে্ই অনুমতি নেয়া হলে সে আমানত ব্যবহার করায় দোষ নাই, তবে চাহিবা মাত্র আমানতকারীকে তা ফেরত দেয়ার জ্ন্য প্রস্তুত ও সামর্থ্য থাকতে হবে। ধন্যবাদ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
126148
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সালেহ ভাই - এখানে আমার একটু জানার আছে সেটা হচ্ছে – আমানত মূলত সংরক্ষণের জন্য আমানতদারের কাছে জমা রাখা হয়। এক্ষেত্রে আমানত মানেই এমন কিছু – যা ব্যবহার করা উচিত না এবং যায় না; এটা ভাবতে যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে – সেটা রাসূল(সাঃ) এর নবুয়্যত এর পরে যে আমানত সংরক্ষণ করেছেন তার উদাহরণ, আমার জানামতে উনি সেগুলো ব্যবহার করেন নাই এবং যারা আমানত দিছেন তারাও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেন নাই; তাই এরকম জমা রাখাকেই শুধু আমানত বলা হয় বলে আমার মনে হয়েছে।

এজন্য আমার মনে হয় যখনই ব্যবহারের জন্য কিছু নেয়া হবে সেটাই ধার বা কর্জ হবে – এ ধরণের বুঝে আমার কোন ভুল থাকলে বলবেন।

ইসলামী ব্যাংকগুলোর ষ্টেটমেন্টে অহরহ দেখা যায় ডিপোজিট/আমানত আছে, অনেক আগে থেকেই।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
126155
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইজান, ধার/কর্জের কনসেপ্টটা আমাদের আগে ক্লিয়ার করতে পারলে সুবিধা হবে। ধার বা কর্জ হলো আপনার জরুরিয়াত মেটানোর জন্য অন্যের কাছ থেকে প্রার্থীত সংগ্রহ। কিন্তু অপরদিকে আমানতের বিষয়টি হলো আমানতকারীর অর্থের বা সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনিই আপনার কাছে আসছেন। আপনি তখন সামাজিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে সে আমানত বিনিয়োগ করার অনুমতিও নিলেন। এতে আমানতকারী ভাবলেন পড়ে না থেকে এ টাকা যদি ব্যবসায় নিয়োগ হয়, আর তা থেকে যদি কিছু মুনাফা আসে সেটা তো ভালোই। সুতরাং তিনি বুঝে শুনেই অনুমতি দিলেন। এটা দোষের কিছু নেই। আর তিনি যদি অনুমতি না দেন তাহলে এ প্রতিষ্ঠান নয় অন্য কোথাও হয়ত তিনি সুযোগ খুঁজতে পারেন। এবং এখানে ব্যাংকিং এর মূল ধারণাটাই কিন্তু গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্রিত করে বড় আকারে অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধনের নিমিত্ত। কিঞ্চিৎ হলেও বুঝাতে পেরেছি মনে হয়। ধন্যবাদ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৮
126159
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটাই মনে হয় লাভের জন্য আমানত বিনিয়োগ; ঐটাইকেই আমি পার্টনারশীপ ব্যবসা বলে মনে করেছি।
172351
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সুন্দর উপহার।
অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যাপারে অনেক কিছুই জানা হল।

অনেক ধন্যবাদ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
126066
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ
172419
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
126110
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। বিশ্বাস করুন আর না করুন পোস্ট করার পর থেকেই আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
126117
বুড়া মিয়া লিখেছেন : শুনে খুবই ভালো লাগলো, আজকে অফিসে ইসলামী ব্যাংকের অংশীদারী ব্যবসা নিয়ে আমরা আমরা এমনিতেই একটু আড্ডা দিলাম।
172634
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভাই একটি ছোট্ট বই আছে"ইসলামী ব্যাংকিং: বৈশিষ্ট ও কর্মপদ্ধতি"-অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সেই বইতে সহজভাবেই এখানে উত্থাপিত প্রশ্নগুলির জবাব দেয়া আছে। আরেকটি কথা ইসলামী ব্যাংকিং ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কে গুলিয়ে ফেলবেন না। ইসলামী ব্যাংক একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকতেই পারে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৩
126293
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনলাইনে পাওয়া গেলে লিঙ্কটা পেষ্ট করলে উপকৃত হবো।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৯
126374
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : সবুজ ভাই, তথ্য দিয়ে উপকার করার জন্য এবং আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৪
126381
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনলাইনে নাই বইটা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
126587
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম!
173923
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অনেক নতুন তথ্য জানা গেলো।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৯
127752
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ লোকমান ভাই। পাশে থাকবেন কিন্তু

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File