[b]নাস্তিকতা বনাম সাপ!![/b]
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল বিন হক ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৫৪:১১ বিকাল
একদিন একসাপ একটা ব্যাঙকে ধরল খাওয়ার জন্য। ব্যাঙ নিজের শরীরকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে চেষ্টা করল সাপের মুখ থেকে বের হওয়ার জন্য। কিন্তু সকল চেষ্টা যখন ব্যর্থ হল তখন মাথায় একটা বুদ্ধি এল। সাপকে রিকোয়েষ্ট করল, মামা তুমি আমাকে খেতে চাও খাও কিন্তু সোজা হয়ে খাও। তুমি বাকা হযে আমাকে খেয়োনা। সাপ নাকি সোজা হলে কিছু খেতে পারেনা। তা ব্যাঙ যেমন জানত সাপ ও জানত। তাই সাপ চেষ্টা করছে ব্যাঙকে গিলার আর ব্যাঙ চিতকার করছে আর বার বার বলছে মামা আমাকে খাবে খাও তবে সোজা হয়ে খাও! মামা আমাকে খাবে খাও তবে সোজা হয়ে খাও!! মামা আমাকে খাবে খাও তবে সোজা হয়ে খাও!!! কিন্তু সাপ সোজাও হয়না বার ব্যাঙের আত্নরক্ষার প্রচেষ্টাকে পরাভূত করে গিলতে পারছেনা। একটু দূরে রাখাল তার পশুপাল পাহারা দিচ্ছে। ব্যাঙের চিতকার শুনে ধীরে পায়ে এগিয়ে এল। দেখল সাপের মুখ থেকে ব্যাঙটা বের হওয়ার চেষ্টা করছে আর সাপ ব্যাঙকে গিলার চেষ্টা করছে। ব্যাঙের প্রতি মায়া করে সাপের ঘাড় বরাবর দিল এক বাড়ি। আঘাতের চোটে সাপ ব্যাঙকে ছেড়ে দিল। ব্যাঙ গিয়ে পড়ল পানিতে। আর রাখালের হাতে সাপের সাঙ্গ হল। একটু পরে ব্যাঙ পানি থেকে মাথা উঠিয়ে দেখল সাপটা মরে সোজা হয়ে আছে। তখন ব্যাঙ ব্যাঙ্গ করে বলল, মামা সোজাতো হইলা-ই তবে মরার পর হইলা।
আমাদের দেশে নাস্তিক নামে একটা শ্রেণী আছে। যদিও প্রাইমারী স্কুল থেকেই জানি স্রষ্টায় বিশ্বাস নাই যার এক কথায় নাস্তিক । কিন্তু তারা কেমন তা জানতামনা। শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ করার জন্যই শিখলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে নাস্তিকদের কর্মকান্ড দেখে বুঝতে পারি নাস্তিক কারা। যদিও ব্যক্তিগতভাবে কোন নাস্তিকের সাথে আমার পরিচয় নাই। কিন্তু প্রযুক্তি কল্যাণে তাদের কর্মকান্ডগুলো দেখি।
আমাদের দেশের নাস্তিকগুলো জীবিত অবস্থায় আস্তিক হয়না। সাপের মত মরার পরে হয়। বা জীবিত অবস্থায় যে বিশ্বাস নিয়ে থাকে, অন্যকে ডাকে মরার পর সে বিশ্বাসের উপর থাকতে চায়না বা পারেনা।
লেখক হুমায়ুন আজাদ মরার পর জানাযা দেয়ার জন্য হুজুর দরকার। ঢাবি. কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নাস্তিকের জানাযা না দেয়ার জন্য ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। মুয়াজ্জিন চাকুরী বাচানোর খাতিরে জানাযা দেয়।
সদ্য প্রয়াত নাস্তিক ব্লগার রাজিবেরও দেখি একই অবস্থা। মরার পর জানাযা, দোয়া!!! আরো কত কি?? নাস্তিকগুলো কি শিকড়হীন?? তাদের পরিবার পরিজন কি চায়না তারা নাস্তিক থাকুক!! নাকি নাস্তিকতা শুধুমাত্র দু'চার পয়সা আয়ের জন্য, বল্গাহীন জীবন যাপনের জন্য, ধর্মের বাধন নির্দিষ্ট নারীতে সন্তুষ্ট না থেকে সীমাহীন সংখ্যার দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য!!! হুমায়ুন আজাদ আর রাজিব চলে গেছে, যদিও তাদের মৃত্যুর পর শেষকর্মগুলো আস্তিকের মতই হয়েছে। আস্তিকের সাথেই কবরে লাইন ধরে শুয়েছে বা শোয়ানো হয়েছে। এখন জীবিত নাস্তিক্যের দাবীদাররা কি এখনই ঘোষণা দেবে মরার পর যাতে জানাযা, দাফন-কাপন না দেয়া হয়; কিংবা অন্তত: মুসলমানদের কবরে করব না দিয়ে কোন ভাগাড়ে (যেখানে মৃত পশু পাখি ফেলা হয়) ফেলে দেয়া হয়। অথবা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়!
বিষয়: বিবিধ
১৫৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন