রাজাকারের ফাঁসি নাকি অবাধ যৌনতার স্বীকৃতি, তাই ইসলামী রাজনীতির খেঁতাপুরী এবং কমিউনিস্ট নাস্তিকের নগ্ন ইতরামী!

লিখেছেন লিখেছেন আরইউ মজুমদার ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৪৪:১২ সকাল

শাহবাগ মোড়ে গিয়েছিলাম তরুণ প্রজন্মের নব আন্দোলন দেখব বলে, কিছু বামপন্থি ব্লগার এবং ফেসবুক অ্যক্টিভিষ্টরা তথাকথিত ট্রাইব্যূনালে কাদের মোল্ল বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশের রায় না মেনে তাদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারী বিকেল থেকে তারা অবস্থান করছে। তাদের একটাই দাবী যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সকল বন্দীর ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেনা। প্রথম পর্যায়ে হাতেগোনা কিছু তরুণ-তরুণী এতে অংশ নিলে ও পরে ধীরে ধীরে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। এদের মধ্যে বেশী দেখা যাচ্ছে বামগরাণার নাস্তিক মার্কা বুর্জোয়া শ্রেণীর লোকদের উপস্থিতি, যাদেরকে বাংলাদেশের আপামর জনগণ চিনেই না। তাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করছে তাদেরই মত বিকৃত মানসিকতার কিছুলোক, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক বলে নিজেদেরকে দাবী করে, তাদের সাথে যোগ হয়েছে তরুণ প্রজন্মের একাংশ যারা সিদ্ধান্ত নিতে ভূল করে। তাদের সরল আবেগী মনকে যুদ্ধাপরাধের মত একটি সেন্টিমেন্টাল ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও গণহত্যার অভিযোগ তুলে এদের মনকে বিভ্রান্ত করছে। তবে প্রথম দিকে তাদের মদদপুষ্ট লোকজন সেখানে ভিড় জমায়। তবে বর্তমানের চিত্র সরাসরী দেখে মনে হচ্ছে কিছু সাধারণ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছে শুধুমাত্র দেখার জন্য, যাদেরকে আমরা বলতে পানি উৎসূক জনতা। সাথে আছে কিছু পেশাজীবি মানুষ তাদের সাথে দেখার জন্য এসেছে কিছু মহিলা ও শিশু। যেসব মহিলা সেখানে এসেছে তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ছাত্রী যারা এই পর্যায়ে এসে নিজেদেরকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস পেয়েছে। তাদের মুখ থেকে সমস্বরে স্লোগন আসছে- ‘স-তে=সাকা চৌধূরী, তুই রাজাকার- তুই রাজাকার’, ‘বাংলার মাটিতে রাজাকারের ঠাঁই নাই’, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ইত্যাদি স্লোগান। দেখে মনে হয় না তারা সম্ব্রম সম্পন্ন বা সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মহিলা। যাদের মধ্যে দেখা যায় চরম উগ্রতা আর বেহায়াপনা যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কখনো মেনে নিবেনা আমাদের বোনদের এসব কর্মকান্ড। তাদের স্লোগান শুনে মনে হচ্ছে একদল বেশ্যা জড়ো হয়ে চিৎকার চেঁছামেছি করছে, তাদেরকে ঘিরে আরকিছু পুরুষরুপী কাপুরুষ প্রতিহিংসার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আর কিছু লোককে দেখা গেল বিভিন্ন সাইজের প্ল্যাকার্ড, পেস্টুন, ব্যানার রাস্তায় পেতে সেগুলোকে ঘিরে বসে আচে আর মাঝে মাঝে স্ষোগান দিচ্ছে। চারুকলা ইন্সিটিটিউটের সামনে দেখা গেল চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিহিংসা বিষ ছড়ানোর জন্য বিকৃত মানসিকতার নাটক সাজিয়ে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। আর এসব কিছুকে ক্যামরাবন্দী করছে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। কিন্তু কেন এই আয়োজন? দাবী একটাই রাজাকারের ফঁাসি।

বাস্তবিক পক্ষেই কি তারা রাজাকারের ফাসিঁ চায় না অন্য কিছু। যদি তারা রাজাকারের ফাসিঁই চায় তবে তারা ইসলামী দল বা ইসলামী রাজনীতিকে কেন নিষিদ্ধ করার দাবী তুলতে চায়? মনে হল সেখানে কিছু বুর্জোয়া শ্রেণীর লোক একত্রিত হয়েছে যারা কোন নৈতিকতার তোয়াক্কা করে না। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে সেখানে রাত্রিকালীর ছেলে-মেয়েরা সারারাত অবস্থান করার ফলে অবাধ মেলামেশার শুরু হয়েছে। তাহলে কি তারা ইউরোপ-আমেরিকার মত অবাধ যৌনতার ও স্বীকৃতি আদায় করে নিতে চায়। ফেবুকে একটি পোষ্ট দেখলাম রাতে একটি ছেলে ঘুমাচ্ছে তার পাশে বসা একটি মেয়ে, বিছানা পাতা ছিল মনে হয় ঘুম ভাংগার কারনে মেয়েটি বসে বসে মোবাইল টিপাটিপি করছে। আরও কিছু পোস্ট আছে সেগুলো ও দেখা দরকার, তা দেখতে লিন্ক:

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=142134355952596&set=a.140956562737042.32062.139659402866758&type=1&theater দেখুন আর ও একটি লিন্ক: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=591476644213074&set=a.300679629959445.90889.300678516626223&type=1&theater

এভাবে ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা বা অবস্থানকে আমাদের মুসলিম সমাজ ঈমান থাকতে কোন রকমেই মেনে নিতে পারে না। আসলে তাদের আন্দোলন মূলত অবাধ মেলামেশার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তার পেছনে প্রধান অন্তরায় হল ইসলামী রাজনীতি এবং ইসলামী দলগুলো, এদেরকে নিচিহ্ন করতে পারলেই তারা স্বাধীন যৌনতার স্বাদ পাবে।

বড় আশ্চর্যের বিষয় হল এরা ইসলাম ধর্মকে মানেনা, নিজের জীবনে প্র্যাকটিস করার তো প্রশ্নই ওঠে না, তারপরও তারা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন কোরআন ও হাদিছের রেফারেন্স দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে দেখা গেল একজন নাস্তিকের জানাযা নামাজে অংশগ্রহনের জন্য সামহোয়ার ব্লগে একটি ব্লগ। লিন্ক: http://www.somewhereinblog.net/blog/cikonkala/29774333 দেখুন এইসব ছাগুদের কান্ডকাহিনী!

আর এদের পেছনে সবছেয়ে বড় শেল্টার দিচ্ছে নাস্তিক মার্কা সরকার এবং তাদের দোসর কিছু রাম-বামপন্থী বুদ্ধিজীবি। যাদেরকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান কবি আল মাহমুদ তাঁর কাবিলের বোন উপন্যাসে যথার্থতই এভাবে মূল্যায়ন করেছেন “ এদেশের তথাকথিত বাম বুদ্ধিজীবিরাই বিপথগামী। কাপুরুষতা ও মিথ্যা তথ্যের কচকচানিই এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এদের তাত্ত্বিকতা রুপকথা নির্ভর। এরা এদেশে কখন ও বিজয়ী হতে পারবেনা। বরং ছলে-বলে-কৌশলে বাঙালী কিষাণ মজুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বনাশ করবে। যেখানেই শোষিত মানুষের লড়াই বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে সেখানেই বর্ণচোরা কম্যুনিস্টরা তাদের অন্ধকার গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে সুকৌশলে সুফল লুন্ঠনে লেগে যাবে এবং আন্দোলনের ইতিহাসকে এভাবে বিকৃত করবে যেন এরাই ছিল শোষিত মানুষের আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পুরোভাগে”। আমি মনে করি এখানে ও তাদের এই নগ্নচরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

২২৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File