আমাদের ইকবাল সোবহান চৌধুরীরও ‘ইক’টা খুলে পড়ে গেছে---আবদুল হাই শিকদার
লিখেছেন লিখেছেন সোনার বাংলার আহমদ ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০১:০৩:৪০ দুপুর
চার.
পাকিস্তান আমলের কথা। মুহম্মদ ইকবাল তখন পাকিস্তানের জাতীয় কবি। সে সময় বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এ দেশের কয়েকজন কবি তত্পর হয়ে উঠেন পূর্ব পাকিস্তানের একজন জাতীয় কবি ঘোষণার জন্য। অনেকেই করাচি, রাওয়ালপিণ্ডিতে বিস্তর দৌড়ঝাঁপও করেন। বিষয়টাতে পাকিস্তানি শাসকরাও বেশ মজা পেয়ে যায়। তারাও একে বানাব, ওকে বানাব বলে খেলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকদের অনীহার কারণে সে সময়কার বড় বড় কবিদের উত্সাহে ভাটা পড়ে।
এরকম সময়ে কবি ফররুখ আহমদের কাছে এলেন একজন মশহুর কবি। বললেন, দেখুন ফররুখ ওরা কত নিষ্ঠুর। পূর্ব পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ হওয়ার মতো সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ওরা আমাকে তা হতে দিচ্ছে না। আমার নখের সমান যার যোগ্যতা নেই, শুনছি তাকেই নাকি জাতীয় কবি করবে। আপনিই বলুন ফররুখ কাজটা কত বড় অন্যায় হবে। আরে ও তো একজন সামান্য কবি। আর আমি কত বড়। আসলে আমি তো পূর্ব পাকিস্তানের ইকবাল। বাংলা ভাষার ইকবাল। সেই আমাকে কিনা বঞ্চিত করা হবে। শুনে বড় কষ্ট লাগছে।
সব শুনে ফররুখ আহমদ বললেন, ভাই আপনার কষ্ট দেখে বড় মায়া হচ্ছে। সত্যিই তো আপনি পূর্ব পাকিস্তানের ইকবাল, কিন্তু একটা কথা না বলে পারছি না, আপনি ‘ইকবাল’ই বটে। তবে আপনার ‘ইক’টা নেই। বাকিটুকু আছে। সে জন্যই হয়তো এই অবিচার।
গল্পের পরের অংশ জানি না। তবে এখন মনে হয় আমাদের ইকবাল সোবহান চৌধুরীরও ‘ইক’টা খুলে পড়ে গেছে। সে জন্যই হয়তো দেখা দিয়েছে যত গণ্ডগোল।
সূত্র
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন