Please! Please!! Give me one more chance!!!
লিখেছেন লিখেছেন উমার ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:৫৬:৫৭ সন্ধ্যা
মানুষের শরীর নিজে নিজে ভিটামিন তৈরী করতে পারে না, আমরা আল্লাহ তা’আলার রহমতে আমরা যে খাবার গ্রহণ করি সেখান থেকে ভিটামিন তৈরী হয়ে আমাদের শরীরের প্রয়োজন পূরণ হয়। একইভাবে কুরআন এবং হাদীস পড়া ব্যতীত আমরা ‘ঈমান’ মজবুত করতে পারি না, কুরআন ও হাদীস পড়ার পর আমরা যখন তা কর্মে পরিণত করব তখন তা আমাদের ঈমানকে মজবুত করবে। বর্তমান তথ্য প্রবাহের যুগে বিশেষকরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক বিষয় আমাদের সামনে উপস্থাপিত হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম ভয়ংকর একটি বিষয় হচ্ছে ‘নাস্তিকতাবাদ’। আমাদের মাঝে ‘ঈমান’এর জ্ঞানের অনেক অনেক ঘাটতি রয়েছে উপরন্তু বস্তুবাদী দুনিয়া নিয়ে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে ‘তাওয়াক্কুল’ তথা ‘আল্লাহর উপর ভরসা’ করার বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় হয় না। ভিটামিন তথা ‘ঈমান’ ঘাটতির একজন মুসলিম খুব সহজেই বিভ্রান্ত তথা বিভিন্ন ‘মতবাদে’ নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারে এবং এমনও হতে পারে সেই ‘মতবাদ’টি ঈমান বিধ্বংসী। পার্থিব জীবনে ভুল হলে সংশোধনের পথ খোলা রয়েছে কিন্তু কিয়ামতের দিন যখন বিচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর জাহান্নাম বাসীদের নিকট সবকিছু এতটাই সত্য প্রতিয়মান হবে এবং তারা তখন আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলবে,
“আর যারা অনুসরণ করেছে, তারা বলবে, ‘যদি আমাদের ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তাহলে আমরা তাদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম, যেভাবে তারা আলাদা হয়ে গিয়েছে’। এভাবে আল্লাহ তাদেরকে তাদের আমলসমূহ দেখাবেন, তাদের জন্য আক্ষেপস্বরূপ। আর তারা আগুন থেকে বের হতে পারবে না।” [সূরা আল বাকারা: ১৬৭]
“আর তারা বলে, ‘আমরা যখন মাটিতে মিশে যাব তখন কি আবার নতুন সৃষ্টি হব’? বরং তারাতো তাদের রবের সাক্ষাৎকে অস্বীকারকারী। বল, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু দেবে মৃত্যুর ফেরেশতা যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারপর তোমাদের রবের নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে’। আর যদি তুমি দেখতে, যখন অপরাধীরা তাদের রবের সামনে মাথানত হয়ে থাকবে! (তারা বলবে) ‘হে আমাদের রব, আমরা দেখেছি ও শুনেছি, কাজেই আমাদেরকে পুনরায় পাঠিয়ে দিন, আমরা সৎকর্ম করব। নিশ্চয় আমরা দৃঢ় বিশ্বাসী’।” [সূরা আস্ সাজদা: ১০ - ১২]
কিন্তু তখন আর কোন সুযোগ নেই, কোন কিছুর বিনিময়েই আরেকটি বার সুযোগ দেয়া হবে না, যতই আকুতি-মিনতি করা হোক না কেন দ্বিতীয় আর কোন সুযোগ নেই-
"তারা চাইবে আগুন থেকে বের হতে, কিন্তু তারা সেখান থেকে বের হবার নয় এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব। নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, যদি যমীনে যা আছে তার সব ও তার সাথে সমপরিমাণও তাদের জন্য থাকে, যাতে তারা তার মাধ্যমে কিয়ামতের আযাব থেকে রক্ষার মুক্তিপণ দিতে পারে, তাহলেও তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।" [সূরা আল মায়িদা: ৩৬ - ৩৭]
কাজেই পৃথিবীতে থাকতেই আমরা যেন এই দৃঢ় ঈমান আনতে পারি যা অবিশ্বাসীগণ পরকলে যেয়ে উপলব্ধি করবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের হক কথা বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন