আল্লাহ কে? কোথায় থাকেন?
লিখেছেন লিখেছেন পার্টিশন ৪৭ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:১১:৪০ রাত
"পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ। তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। অথচ তিনি এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে বলেন, ‘হয়ে যাও’, আর তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।" (আল কোরান-২:১১৫-১১৭) ।
শংকরাচার্যের অদ্বৈতবাদ অনুযায়ী এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সবকিছুই আল্লাহরই প্রকাশ ঠিক যেমন মহাসাগরের ঢেউগুলো মহাসাগরের প্রকাশ। মহাসাগরের ঢেউ যেমন মহাসাগরে তৈরি হয় আবার তা মহাসাগরে মিশে যায়, তেমনি আমি-তুমি-সে-বিশ্বপ্রকৃতি সবই আল্লাহরই প্রকাশ, আল্লাহ হতেই সৃষ্টি হয় আল্লাহতেই মিশে যায়। মহাসাগর ছাড়া যেমন ঢেউ হয় না, তেমনি আল্লাহ ব্যতীত কিছুই নাই। মহাসাগরের ঢেউকে যদি মহাসাগর বলা যায় না, তেমনি বিশ্বপ্রকৃতির কোন খণ্ডাংশকে আল্লাহ সাব্যাস্ত করা যায় না। আল্লাহই প্রকৃতি (ন্যাচার)। তিনিই সবকিছু। আর মানুষ প্রকৃতির বাইরের কিছু নয়, আল্লাহরই প্রকাশ।
“আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন,আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও,যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।” (আল কোরান-২:৩১)। নাম অর্থ পরিচয়য়। আল্লাহ মানুষকে দিলেন ঐ গুন যা দ্বারা সে সৃষ্টি জগতের পরিচয় লাভ করতে পারে। আর তাই হল বুদ্ধি। মানুষ হল বুদ্ধিমান প্রাণী। বুদ্ধি দিয়ে সে জগতের কর্মকান্ড উপলব্ধি করতে পারে বলেই সে আশরাফুল মখলুকাত। “নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি,আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (আল কোরান-১৭:৭০)”
বুদ্ধি আছে বলেই তার সামান্য ইচ্ছার স্বাধীনতাও আছে, যদিও সে শেষ পর্যন্ত আল্লাহরই আজ্ঞাধীন। তবে তার বুদ্ধি ঐ পরিমাণ এখনও হয় নাই যার দ্বারা সে আল্লাহর পরিপুর্ন অবয়ব ও ইচ্ছাকে উপলব্ধি করতে পারে। ফলতঃ মানুষ ভুল করতেই পারে। আর সে কারনেই আল্লাহ এত বেশি ক্ষমাশীল। তার ক্ষমার স্পৃহা কোরানে বার বার এসেছে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকেই শাস্তির জন্য নির্ধারন করেছেন যে বুদ্ধি থাকা ও উপলব্ধি করা সত্ত্বেও প্রকৃতির নিয়ম অর্থাৎ আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে। প্রশ্ন হল আল্লাহই যদি সবকিছু হবেন, সব যদি তারই ইচ্ছাধীন হবে, তবে কেন শাস্তির প্রসঙ্গ? এ যেন আল্লাহ নিজেকেই শাস্তি দিচ্ছেন। হ্যাঁ, এটা ঠিক ঐ রূপ যেমন মানুষ তার শরীরের কোন পচন ধরা অঙ্গকে কেটে ফেলে দেয়ার জন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হয়। নাস্তিকও আল্লাহর সৃষ্টি এবং তার তাচ্ছিল্যও আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় যাতে করে আমরা আল্লাহ ও তার কর্মকান্ডকে আরও বেশি সম্যক উপলব্ধি করতে পারি। কোন ব্যক্তি বা বস্তুই আল্লাহর অনর্থক সৃষ্টি নয়। আল্লাহ বলেন, “তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর স্রোতধারা স্ফীত ফেনারাশি উপরে নিয়ে আসে। এবং অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের জন্যে যে বস্তুকে আগুনে উত্তপ্ত করে,তাতেও তেমনি ফেনারাশি থাকে। এমনি ভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। অতএব,ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে,তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।” (আল কোরান-১৩:১৭)
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
অফটপিকস- সুর্যের মত একটি গোলাকার বস্তু কি ভাবে সেজদা দেয় তা আমার বুঝে আসে না।
সূর্য কী সিজদা দেয়, তা যদি বুঝতে পারতেন, তাহলে আপনি বুদ্ধিমান প্রাণি হতেন।
লাম ইয়ালিদ,ওয়ালাম ইউ লাদ।এর অর্থ সবাই জানেন আশা করছি।পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার।আল্লাহর আকার মানা কুফুর।
মানুষ আল্লাহরই প্রকাশ ! নাউযুবিল্লাহ
কোথায় পেলেন এমন কথা, প্রমাণ করুন...
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আবার ছাগলের উৎপাত।sarkar লিখেছেন : লাইসাকা মিসলিহী সাঈ।নেই কোন বস্তু আল্লাহর মত।আল কোরআন। এখন কেউ যদি বলে আল্লাহ আরসে আজীমে বসে বা শুয়ে আছে (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে চেয়ারে বসতে হলে একটা আকৃতির দরকার।যেটা কোরআনুল কারীমের আয়াতে কারীমার সরাসরি লঙ্গন।আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুক।আমীন।আর আল্লাহরর সৃস্টি সন্মদ্ধে আল্লাহ পাক বলেছেন
লাম ইয়ালিদ,ওয়ালাম ইউ লাদ।এর অর্থ সবাই জানেন আশা করছি।পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার।আল্লাহর আকার মানা কুফুর।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : এইসব বালছাল কথার কোন দাম আছে নাকি??সঠিক অনুবাদটি হচ্ছে,
وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
وَجْهُ اللَّهِ = আল্লাহর চেহারা
এর অর্থ বিরাজমান করা ঠিক নয়।
স্বল্প জ্ঞান ভুল হোলে মাফ চাই।
وَجْهُ اللَّهِ = বিরাজোমান নাই।
وَجْهُ اللَّهِ = আল্লাহর চেহারা আছে।
"পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার নন" তবে তার কোন আকার সাব্বস্থ করা যাবে না। কিন্তু কোরআন ও হাদীসে যেভাবে তার বর্ণনা আছে সেভাবেই বিশ্বাস রাখতে হবে।
কেননা কিয়ামরেত দিনে আমারা সবাই ইনশাআল্লআহ আমাদের রব "আল্লাহ" কে দেখবো পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে যেমন অসুবিধা হয় না সেভাবে
আই লাভ আল্লাহ মোর দেন এনিথিং
আমি যা বলছি তা আমার অনুভূতি, মনগড়াও বলতে পারেন। আমি আমার মত প্রকাশ করেছি, তা ঠিক নাও হতে পারে। আপনিও আপনার অনভুতি প্রকাশ করুন, এবং এভাবেই আমরা জ্ঞানের পুর্নতায় পৌছতে পারব।
ইমাম তিরমিযী রহ. আস সুনান (৪/৬৯১) হাদীস নং ২৫৫৭ এর আলোচনায়া বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এরূপ অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোতে বলা হয়েছে যে, মানুষেরা তাদের রবকে দেখবে, মহান আল্লাহর পায়ের কথা এবং এ জাতীয় বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবন আনাস, ইবনুল মুবারাক, ইবন উআইনা, ওকী ও অন্যান্য ইমাম ও আলিমের মাযহাব এই যে, তাঁরা এগুলো বর্ণনা করেছেন এরপর বলেছেন যে, এ সকল হাদীস এভাবে বর্ণনা করা হবে এবং আমরা এগুলো বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে ‘কাইফা’: কিরূপে বা কিভাবে বলা যাবে না। এভাবে মুহাদ্দিসগণের মত এই যে, এ সকল বিষয় যেভাবে এসছে সেভাবেই বর্ণনা করতে হবে এবং এগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে। এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা করা যাবে না, কোনো কল্পনা করা যাবে না এবং একথাও বলা যাবে না যে, কিরূপে বা কিভাবে? আলিমগণ এ মতটিই গ্রহণ করেছেন এবং এটিই তাঁদের মাযহাব।
ইমাম তিরমিযির কথাটি আমি ফেবু থেকে নিয়েছি তবে তা পারীক্ষাও করিছি।
আপনাকে অননেনেনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
মন্তব্য করতে লগইন করুন