আল্লাহ কে? কোথায় থাকেন?

লিখেছেন লিখেছেন পার্টিশন ৪৭ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:১১:৪০ রাত

"পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ। তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। অথচ তিনি এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে বলেন, ‘হয়ে যাও’, আর তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।" (আল কোরান-২:১১৫-১১৭) ।

শংকরাচার্যের অদ্বৈতবাদ অনুযায়ী এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সবকিছুই আল্লাহরই প্রকাশ ঠিক যেমন মহাসাগরের ঢেউগুলো মহাসাগরের প্রকাশ। মহাসাগরের ঢেউ যেমন মহাসাগরে তৈরি হয় আবার তা মহাসাগরে মিশে যায়, তেমনি আমি-তুমি-সে-বিশ্বপ্রকৃতি সবই আল্লাহরই প্রকাশ, আল্লাহ হতেই সৃষ্টি হয় আল্লাহতেই মিশে যায়। মহাসাগর ছাড়া যেমন ঢেউ হয় না, তেমনি আল্লাহ ব্যতীত কিছুই নাই। মহাসাগরের ঢেউকে যদি মহাসাগর বলা যায় না, তেমনি বিশ্বপ্রকৃতির কোন খণ্ডাংশকে আল্লাহ সাব্যাস্ত করা যায় না। আল্লাহই প্রকৃতি (ন্যাচার)। তিনিই সবকিছু। আর মানুষ প্রকৃতির বাইরের কিছু নয়, আল্লাহরই প্রকাশ।

“আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন,আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও,যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।” (আল কোরান-২:৩১)। নাম অর্থ পরিচয়য়। আল্লাহ মানুষকে দিলেন ঐ গুন যা দ্বারা সে সৃষ্টি জগতের পরিচয় লাভ করতে পারে। আর তাই হল বুদ্ধি। মানুষ হল বুদ্ধিমান প্রাণী। বুদ্ধি দিয়ে সে জগতের কর্মকান্ড উপলব্ধি করতে পারে বলেই সে আশরাফুল মখলুকাত। “নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি,আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (আল কোরান-১৭:৭০)”

বুদ্ধি আছে বলেই তার সামান্য ইচ্ছার স্বাধীনতাও আছে, যদিও সে শেষ পর্যন্ত আল্লাহরই আজ্ঞাধীন। তবে তার বুদ্ধি ঐ পরিমাণ এখনও হয় নাই যার দ্বারা সে আল্লাহর পরিপুর্ন অবয়ব ও ইচ্ছাকে উপলব্ধি করতে পারে। ফলতঃ মানুষ ভুল করতেই পারে। আর সে কারনেই আল্লাহ এত বেশি ক্ষমাশীল। তার ক্ষমার স্পৃহা কোরানে বার বার এসেছে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকেই শাস্তির জন্য নির্ধারন করেছেন যে বুদ্ধি থাকা ও উপলব্ধি করা সত্ত্বেও প্রকৃতির নিয়ম অর্থাৎ আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে। প্রশ্ন হল আল্লাহই যদি সবকিছু হবেন, সব যদি তারই ইচ্ছাধীন হবে, তবে কেন শাস্তির প্রসঙ্গ? এ যেন আল্লাহ নিজেকেই শাস্তি দিচ্ছেন। হ্যাঁ, এটা ঠিক ঐ রূপ যেমন মানুষ তার শরীরের কোন পচন ধরা অঙ্গকে কেটে ফেলে দেয়ার জন্য ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হয়। নাস্তিকও আল্লাহর সৃষ্টি এবং তার তাচ্ছিল্যও আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় যাতে করে আমরা আল্লাহ ও তার কর্মকান্ডকে আরও বেশি সম্যক উপলব্ধি করতে পারি। কোন ব্যক্তি বা বস্তুই আল্লাহর অনর্থক সৃষ্টি নয়। আল্লাহ বলেন, “তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর স্রোতধারা স্ফীত ফেনারাশি উপরে নিয়ে আসে। এবং অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের জন্যে যে বস্তুকে আগুনে উত্তপ্ত করে,তাতেও তেমনি ফেনারাশি থাকে। এমনি ভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। অতএব,ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে,তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।” (আল কোরান-১৩:১৭)

বিষয়: বিবিধ

২৩৯৫ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

296100
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫৪

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : তিনি সপ্ত আসমানে পানির উপর ভাসমান একটি সিংহাসনে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকেন। সন্ধার পর আমাদের সূর্যমামা সেই সিংহাসনের নিচে এসে আল্লাকে সেজদা দেয়া শুরু করেন। পরদিন অনুমতি পেলে সূর্যমামা আবার উদিত হয়।

অফটপিকস- সুর্যের মত একটি গোলাকার বস্তু কি ভাবে সেজদা দেয় তা আমার বুঝে আসে না।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১১
239560
সামসুল আলম দোয়েল লিখেছেন : তিনি বলতে কী আল্লাহকে বুঝিয়েছেন? তিনি কীভাবে আরশে আছেন তা আপনি কীভাবে জানেন ববলবেন কী?
সূর্য কী সিজদা দেয়, তা যদি বুঝতে পারতেন, তাহলে আপনি বুদ্ধিমান প্রাণি হতেন।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
239609
sarkar লিখেছেন : লাইসাকা মিসলিহী সাঈ।নেই কোন বস্তু আল্লাহর মত।আল কোরআন। এখন কেউ যদি বলে আল্লাহ আরসে আজীমে জসে বা শুয়ে আছে (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে চেয়ারে বসতে হলে একটা আকৃতির দরকার।যেটা কোরআনুল কারীমের আয়াতে কারীমার সরাসরি লঙ্গন।আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুক।আমীন।আর আল্লাহরর সৃস্টি সন্মদ্ধে আল্লাহ পাক বলেছেন
লাম ইয়ালিদ,ওয়ালাম ইউ লাদ।এর অর্থ সবাই জানেন আশা করছি।পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার।আল্লাহর আকার মানা কুফুর।
296103
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০৯
সামসুল আলম দোয়েল লিখেছেন : কুরআনের উদ্ধৃতি ঠিক আছে, কিন্তু লেখক কী বুঝাতে চাচ্ছেন, তা ঠিক বুঝার নয় (*মনে হয় লেখক নিজেই কনফিশনে আছেন)।প্রকৃতি কী করে আল্লাহ হন?
মানুষ আল্লাহরই প্রকাশ ! নাউযুবিল্লাহ
কোথায় পেলেন এমন কথা, প্রমাণ করুন...
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:২৭
239563

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আবার ছাগলের উৎপাত।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৩
240252
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কনফিউশন থাকবেই। আপনারও কনফিউশন আছে। আমি বলিনাই যে, প্রকৃতিই আল্লাহ, বলেছি আল্লাহই প্রকৃতি। যেমন, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, তোমরা সময়কে গালি দিওনা, কারন আমিই সময়।
296172
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১০
sarkar লিখেছেন :
sarkar লিখেছেন : লাইসাকা মিসলিহী সাঈ।নেই কোন বস্তু আল্লাহর মত।আল কোরআন। এখন কেউ যদি বলে আল্লাহ আরসে আজীমে বসে বা শুয়ে আছে (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে চেয়ারে বসতে হলে একটা আকৃতির দরকার।যেটা কোরআনুল কারীমের আয়াতে কারীমার সরাসরি লঙ্গন।আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুক।আমীন।আর আল্লাহরর সৃস্টি সন্মদ্ধে আল্লাহ পাক বলেছেন
লাম ইয়ালিদ,ওয়ালাম ইউ লাদ।এর অর্থ সবাই জানেন আশা করছি।পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার।আল্লাহর আকার মানা কুফুর।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
239655

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : এইসব বালছাল কথার কোন দাম আছে নাকি??
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
239778
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : আপনার কথার সাথে একমত। যারা কল্পনা করে যে, আল্লাহ কোন রাজা-বাদশার চেয়ারের মত কোন চেয়ারে বসে আছে তারা বিভ্রান্তিতে আছে। এটা তার দোষ নয়। আল্লাহ তাকে এবং আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দিন। আর আল্লাহ নিরাকার এরূপ কথা কোরানে আছে বলে আমার জানা নেই। থাকলে দেখিয়ে দিন খুশি হব।
296188
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, আপনার দেয়া সুরা বাকারার ১১৫ নং আয়াতের বাংলা অনুবাদটি সঠিক নয়।
সঠিক অনুবাদটি হচ্ছে,
وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
وَجْهُ اللَّهِ = আল্লাহর চেহারা
এর অর্থ বিরাজমান করা ঠিক নয়।

স্বল্প জ্ঞান ভুল হোলে মাফ চাই।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
239776
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : দুটি অনুবাদই পাওয়া যায়। দুটোই সঠিক। দুটোর অন্তর্নিহিত অর্থ একই। ব্যবহৃত অর্থটি মাওলানা মহিউদ্দিন খান কর্তৃক অনুদিত মা'আরেফুল কোরান থেকে নেয়া।
২২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:২০
239849
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, আমার জানা মতে পৃথিবীর কোন আরবি ডিকশনারীতে
وَجْهُ اللَّهِ = বিরাজোমান নাই।

وَجْهُ اللَّهِ = আল্লাহর চেহারা আছে।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩২
240069
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : আপনি যদি 'আল্লাহর চেহারা' অর্থ করেন তাহলে আমার লেখায় আমি যা বলতে চেয়েছি তা আরও বেশী যৌক্তিক হয়। যাই হোক আমি দুটি অনুবাদই পেয়েছি। ধন্যবাদ।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
240089
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, আর একটা কথা ছিলো ডোন্ট মাইনড প্লিজ Love Struck আমি অল্পই জানি তবে সঠিক জানার চেষ্টা করি সেজন্য বলছি।

"পরিশেষে বলব এইটুকু আল্লাহ নিরাকার নন" তবে তার কোন আকার সাব্বস্থ করা যাবে না। কিন্তু কোরআন ও হাদীসে যেভাবে তার বর্ণনা আছে সেভাবেই বিশ্বাস রাখতে হবে।
কেননা কিয়ামরেত দিনে আমারা সবাই ইনশাআল্লআহ আমাদের রব "আল্লাহ" কে দেখবো Love Struck পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে যেমন অসুবিধা হয় না সেভাবে Love Struck

আই লাভ আল্লাহ Love Struck মোর দেন এনিথিং Love Struck
২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
240186
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : ধন্যবাদ। আল্লাহকে ভাল না বেসেও উপায় নেই, ভয় না করেও উপায় নেই। আলকোরানে আল্লাহকে ভয় করতে ও রসুলকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। তবে কোরানে আল্লাহ তার নিজের সম্পর্কে যা বলেছেন তার অনেক কিছুই রূপক অর্থে বর্ননা করা হয়েছে। সে সব রূপক অর্থ বুঝতে গেলেও জ্ঞান ও বিজ্ঞানের প্রয়োজন হয়। আমার ধারণা আল্লাহ হয়ত এক সময় মানুষের জ্ঞানকে ঐ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন যখন অধিকাংশ মানুষ তার সম্পর্কে খুবই পরিষ্কার ধারণা পোষণ করবে। আর কিয়ামতের দিন মানুষ আল্লাহকে ঐ রূপ স্পষ্ট বুঝতে পারবে যেমন আপনার উদাহরণ অনুযায়ী আমরা পুর্নিমার চাঁদকে স্পষ্ট বুঝতে পারি। সবই হবে মানুষের জ্ঞানের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। আর বিবর্তনবাদ যে সত্য এবং আল্লাহর সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ (যদিও ডারউইনের মত করে ১০০% নয়)তা আমি ইতিপুর্বের একটি পোষ্টে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। সেটি এই লিঙ্কে পাবেন http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/3069/partition/8708
আমি যা বলছি তা আমার অনুভূতি, মনগড়াও বলতে পারেন। আমি আমার মত প্রকাশ করেছি, তা ঠিক নাও হতে পারে। আপনিও আপনার অনভুতি প্রকাশ করুন, এবং এভাবেই আমরা জ্ঞানের পুর্নতায় পৌছতে পারব।
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৪২
240298
সামসুল আলম দোয়েল লিখেছেন : আমি যতটুকু জানি, ইসলামী সহীহ আক্বীদাহ হলো -আল্লাহ তুলনাবিহীন সাকার। কারো সাথে তার তুলনা নেই। তাকে নিরাকার বলা যাবে না।
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:১০
240327
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, আমি দোয়েল ভাইয়ার সাথে সহমত পোষন করি। Love Struck দেখুন ইমাম তিরমিযি (রহ) কি বোলেছেন,
ইমাম তিরমিযী রহ. আস সুনান (৪/৬৯১) হাদীস নং ২৫৫৭ এর আলোচনায়া বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এরূপ অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোতে বলা হয়েছে যে, মানুষেরা তাদের রবকে দেখবে, মহান আল্লাহর পায়ের কথা এবং এ জাতীয় বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবন আনাস, ইবনুল মুবারাক, ইবন উআইনা, ওকী ও অন্যান্য ইমাম ও আলিমের মাযহাব এই যে, তাঁরা এগুলো বর্ণনা করেছেন এরপর বলেছেন যে, এ সকল হাদীস এভাবে বর্ণনা করা হবে এবং আমরা এগুলো বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে ‘কাইফা’: কিরূপে বা কিভাবে বলা যাবে না। এভাবে মুহাদ্দিসগণের মত এই যে, এ সকল বিষয় যেভাবে এসছে সেভাবেই বর্ণনা করতে হবে এবং এগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে। এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা করা যাবে না, কোনো কল্পনা করা যাবে না এবং একথাও বলা যাবে না যে, কিরূপে বা কিভাবে? আলিমগণ এ মতটিই গ্রহণ করেছেন এবং এটিই তাঁদের মাযহাব।

ইমাম তিরমিযির কথাটি আমি ফেবু থেকে নিয়েছি তবে তা পারীক্ষাও করিছি। Love Struck
আপনাকে অননেনেনেক ধন্যবাদ ভাইয়া Love Struck
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৪৫
240503
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : আপনার উল্লেখিত হাদিসটি তিরমিযি শরিফের ২৫৫৯ নং হাদিস। একটি বড় হাদিসের অংশ তুলে ধরেছেন। যাই হোক, মুসলমানদের একটি বড় অসুবিধা হল চিন্তার প্রসারতা বা উন্মুক্ততা নেই, ফলে আমরা অন্যান্য জাতি থেকে পিছিয়ে পড়ছি। আমাদের এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসা উচিৎ। আপনি যে, বলেছেন, 'এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা করা যাবে না, কোনো কল্পনা করা যাবে না এবং একথাও বলা যাবে না যে, কিরূপে বা কিভাবে'- এই অংশটুকু মুল হাদিসের অংশ নয়। এগুলো আলেমদের মত। ব্যাখ্যা করা যাবেনা এই কথার সাথে আমি একমত নই। কুরানের অনেক আয়াত আছে যা আগে অব্যাখ্যেয় ছিল, কিন্তু এখন তা মানুষের বোধগম্য। এটা হয়েছে মানুষের চিন্তা, গবেষণা, প্রযুক্তির উন্নতির কারণে। আগেকার আলেমরা যা ব্যাখ্যা করতে পারেনি তা পরবর্তি কালের সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ ব্যাখ্যা করতে পারবে না, বুঝতে পারবে না, বা তাদের অনুভূতি/বোধ প্রকাশ করতে পারবে না - এ ধরনের চিন্তা মানুষের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক, এটা ঠিক নয়। কুরান-হাদিস পড়া বা এর ব্যাখ্যার দায়িত্ব যদি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তবে হিন্দুদের মত হয়ে যাব, যেখানে বেদ-পুরান পড়ার অধিকার কেবল মাত্র একটি শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এসব বিষয় চিন্তা করা বা প্রকাশ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে মুল আকিদা বিশ্বাস বা কুরান-সুন্নাহর হুকুমের পরিপন্থী হচ্ছে কিনা।
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০৪
240504
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : সামসুল আলম দোয়েল -এর কথাটিই আমি অন্যভাবে বলতে চেয়েছি আমার লেখায়। তাকে ধন্যবাদ। আমি যেমন বলতে চেয়েছি মহাসাগরের ঢেউগুলো যেমন মহাসাগরের তুলনায় কিছুই নয়, তেমনি এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের যা কিছু আমরা জানি তা আল্লাহর বিশালতার কাছে কিছুই নয়। সাকারের প্রশ্ন আমাদের দৃষ্টি ও স্পর্শের সাথে সম্পর্কিত। আল্লাহ ঠিক সেই পরিমাণেই সাকার যতটুকু আমাদের দৃষ্টি ও স্পর্শের সাথে সম্পর্কিত। আপনি কি কখনও সমুদ্রের পাড়ে একা বসেছেন বা হেঁটেছেন? দেখেছেন বা উপলব্ধি করেছেন কি যে নিজেকে কত ক্ষুদ্র মনে হয়? মহাসাগরের ঢেউয়ের চুড়ায় বসে মহাসাগরের বিশালতা উপলব্ধি করা কঠিন। আল্লাহর বিশালত্ব, বিরাটত্ব বা অন্য যেসব গুনই বলেন না কেন তা এতই অতুলনীয় যে কোন কিছুই তার ধারে কাছে নেই। তিনি এতই বড় যে কোন কিছুই তাকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখেনা, কিন্তু তিনি সবকিছুই ধারণ করে আছেন।
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
240542
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, নিজের মতো ব্যাখ্যা কোরলে পথভ্রষ্ট হবার চান্স আছে, পড়বেন তাতে তো কেউ বাধা দেয়নি তবে ব্যাখ্যা নেবার জন্য অবশ্যই আপনাকে রসুল (সা)+সাহবী (রা)+তাবেঈ+তাবাতাবেঈ দের স্বরণপান্ন হতেই হবে। Day Dreaming
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০২
240657
পার্টিশন ৪৭ লিখেছেন : ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য। রসুল আর তার সাহাবি তথা হাদিস ছাড়া তো লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। এখানে তো আমি আমার অনুভূতি ব্যক্ত করেছি মাত্র। আল্লাকে চেনার জন্যই তো এত কসরত। প্রতিদিন নামাজের মধ্যে তো এই দোয়াই করি, 'ইহদিনাস সিরাতুল মুস্তাকিম'। আশা করি আল্লাহ আমাকে নিরাশ করবেন না।
296200
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
sarkar লিখেছেন : কোরানুল কারীমের বাক্য কে যারা বালছাল বলে এরা জারজ।এরা সমাজের কীট।
296202
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
sarkar লিখেছেন : রায়হান একটা সামাজিক অনাচারের নাম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File