জেনে নিন জাল টাকা ও আসল টাকা চেনার উপায় (ভিডিও)
লিখেছেন লিখেছেন মোহামমাদ শাওকত ০৯ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৩০:৪০ দুপুর
ঈদের বাজারে নতুন টাকার সমাদর সব সময়েই বেশি। আর এই ঈদে তো আরো বেশি কারণ বাড়ির ছোটদেরকে সালামি দেয়ার জন্য বড়রা সবসময়ই চেষ্টা করেন নতুন টাকার নোট যোগাড় করতে। ব্যাংকের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা নতুন টাকার ব্যবসায়ীদের থেকে আপনি নতুন টাকা যোগাড় করতে পারেন। কিন্তু ঈদের আগের এই নতুন টাকার মৌসুমে বাজারে প্রচুর নকল টাকা ছাড়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। লাখ লাখ টাকার নোট নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বাজারে। তাই কারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। জাল নোট চেনার কিছু উপায় আছে। আসুন দেখে নেয়া যাক জাল নোট চেনার উপায় গুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এক হাজার টাকার নোটের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য ১৩টি এবং ৫০০ টাকার প্রথম ১১টি ও ১০০০ টাকার নোটের ১৩টির সবগুলি।
নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১) রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সুতা
২) অসমতল ছাপ
৩) রং পরিবর্তনশীল কালি
৪) উভয়দিক থেকে দেখা
৫) অন্ধদের জন্য বিন্দু
৬) জলছাপ
৭) এপিঠ-ওপিঠ ছাপা
৮) অতি ছোট আকারের লেখা
৯) লুকানো ছাপা
১০) সীমানাবর্জিত ছাপা
১১) পশ্চাত্পট মুদ্রণ
১২) নম্বর
১৩) ইরিডিসেন্ট ও স্ট্রাইপ
নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করে সহজেই চিনে নিতে পারবেন জাল টাকা। তাহলে দেখে নিন নিয়ম গুলো।
- নকল টাকার নোট সাধারণ কাগজে তৈরি হয় বলে নরম ধরনের নোট হয়। আসল টাকা বিশেষ ধরণের কাগজে তৈরি তাই একটু শক্ত হয়।
- নকল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ রয়েছে। উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।
- আসল টাকা বিশেষ নিরাপত্তামূলক কালিতে ছাপা হয়। এই কালি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে উঁচু-নিচু অনুভূত হয়। নকল নোটে হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু বা অসমতল মনে হবে না।
- আসল নোটে টাকার অঙ্ক লিখতে হলোগ্রাম কালি ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা নাড়াচাড়া করলে টাকার অঙ্কের রঙ পরিবর্তন হয়। লেখার ওপর সরাসরি তাকালে গাঢ় গোলাপি বা লালচে এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজাভ সোনালি রং দেখা যাবে। নকল বা জাল নোটে রঙ পরিবর্তন দেখা যায় না।
- ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে স্পষ্ট দেখা যায় টাকার গায়ে ‘Bangladesh Bank’ লেখাটি অতি ক্ষুদ্র আকারে যা খালি চোখে দেখা যায় না। নকল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে।
- আসল নোটে চার মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতাটি সামনে-পেছনে সেলাই করার মতো রয়েছে। কিন্তু পেছনের দিকে সুতাটি কাগজের ভেতরে অবস্থিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে সুতায় বিভিন্ন রং দেখা যাবে। আলোর দিকে ধরলে উভয় দিক থেকে সুতাটিতে ‘বাংলাদেশ’ লেখা শব্দটি উল্টা ও সোজাভাবে পড়া যাবে। নকল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারেনা।
-আসল নোটের বাম কিনারে বিশেষ ডিজাইন ছাপানো। নোটটি মোড়ানো হলে ডান কিনারের নকশার সাথে মিলে পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হবে। নকল নোটে এ রকম মেলানো বেশ কঠিন।
জেনে নিলেন জাল টাকা ও আসল টাকা চেনার উপায়। এবার ঈদের জন্য নতুন টাকার নোট যোগাড় করে ফেলুন। প্রতিটি নোট দেখে নিন। মনে রাখবেন জাল টাকা বহন করাও অপরাধের আওতায় পরে। তাই জাল টাকা পেলে রিস্ক না নিয়ে সেটা ছিড়ে ফেলুন।
http://www.youtube.com/watch?v=_8S_NI2VYn0
বিষয়: বিবিধ
৩৩০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন