শাহবাগের জাদুঘর
লিখেছেন লিখেছেন আইমান হামিদ ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:১০:০২ সকাল
সুদ এড়াতে নগদ নারায়ণে কম দামে কেনা ৯৮ মডেলের হোন্ডা অ্যাকর্ড গতকাল রাতে অফিসের পারকিং লটে হঠাৎ বেঁকে বসলো। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা কাজের ক্লান্তি নিয়ে যখন এই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তখন বেশ বিরক্ত ও হতাশ হয়ে পড়ি। গাড়ির ব্রেক ফেইল!!
বিগত এক মাস যাবত দেশের সামগ্রিক তাণ্ডব দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি বাংলাদেশ অবস্থা অনেকটা গাড়ির মতো, অর্থাৎ একাধিক মালিকানা পরিবর্তন, অতঃপর দরিদ্র দেশের চূড়ান্ত রাজনৈতিক পতন।
শাহাবাগের তথাকথিত চেতনাবাজরা যতই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করুক না কেনো তাতে বোধ করি খুব বেশি একটা ফায়দা হবে না, ষোল কোটি মানুষের আবেগ ও বিশ্বাসের কাছে তা এক খণ্ড অন্ধকার।
বাংলাদেশ তার ইতিহাসের ক্রান্তি লগ্ন অতিক্রম করছে, অতীতেও করেছিলো বহুবার, তবে কোনো কালেই ইহার শাসনযন্ত্র জনমানুষের আবেগকে বুঝতে সক্ষম হয় নি। এবারো তার ব্যাতিক্রম হবে না।
কথা সোজা আজ থেকে ১০০ বছর আগে বাংলাদেশ ছিলো না, ছিলোনা জামায়াত নামে কোন ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর পরে বাংলাদেশ বা জামায়াতের অস্থিত্ব থাকবে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই, কেন নিশ্চিত নই, তার কারন হচ্ছে, যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলো তখন উপমহাদেশীয় সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছিলো, যখন পাকিস্থান সৃষ্টি হয় তখন সংখ্যালঘু হবার সম্ভবনার হাত থেকে মুক্তির তৃপ্তি ছিলো ছিলো এক প্রকার প্রচ্ছন্ন নিরাপত্তাবোধ, যখন পাকিস্থান থেকে স্বাধীন হয় তখন শোষণ ও বৈষম্যের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তির আনন্দ ছিলো। লক্ষ্য করুন প্রতিটি চেতনাই পূর্বের চেনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উৎপত্তি লাভ করেছিলো!
তবে ইসলাম ছিলো, ইসলাম থাকবে,
থাকবে তবে শাহবাগের জাদুঘরে নয়, কোটি বাঙ্গালীর বিশ্বাসে। শাহাবাগ, মিডিয়া, প্রশাসন এতো কিছুর মূল উদ্দেশ্যে যদি হয় “আবোলিশমেন্ট অফ ইসলাম” অথবা “এক্সটারমিনেশান অফ ইসলাম” তাহলে এজমালি চিন্তার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
সোভিয়েত কতৃক দখলকৃত মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর দিকে একবার দৃষ্টি পাত করুণ। উত্তর পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে দৃশ্যত পৃথিবীর বুকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, শাহবাগ সেই দ্বীপের এক টুকরো অন্ধকার
বিষয়: রাজনীতি
১০০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন