অরেগনের পথে – ৬ (অরেগন জু) -- ছবি ব্লগ

লিখেছেন লিখেছেন আইমান হামিদ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:০২:০৬ সকাল



জোন আফ্রিকা



আফ্রিকান আদিবাসীদের পোশাক







আফ্রিকান হেরিটেজ

মেক্সিকান সহকর্মী অনেক আগ থেকেই চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য উৎসাহী ছিলো। আমি রসিকতা করে বললাম তোমার হাতে যদি এক সাপ্তাহ সময় থাকতো তাহলে, তোমাকে পৃথিবীর বৃহত্তম চিড়িয়াখানা দেখাতাম!

ডাউনটাওন পোর্টল্যান্ড থেকে কয়েক মাইল পশ্চিমে গেলেই পাহাড়ের পাদদেশে বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে অরেগন জু। নিদিষ্ট স্থানে গাড়ী পার্ক করে শাটল বাসে উঠতে হবে, তারপর সাক্ষাৎ মিলবে চিড়িয়ার! চাইলে ট্রেন ভ্রমণের মাধ্যমে চিড়িয়া দর্শন সম্ভব। তবে উপমহাদেশের চিড়িয়াখানার সাথে এর মূল পার্থক্য এখানে আইন কানুন দেখে নিজেদেরকেই চিড়িয়া মনে হয় আর জন্তুদের মনে হয় দর্শক! আমার মতো অনেকেই এইটা চিড়িয়াখানা নাকি জাদুঘর এই ভেবে বিভ্রান্ত হয়।

তবে চিড়িয়াখানায় আফ্রিকান হেরিটেজ অংশটি আমাকে বেশ আকৃষ্ট করেছে। আফ্রিকান কালচার, আচার, জীবনরীতি বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। তখন সদ্য প্রয়াত চিনুয়া অ্যাচেবের লিখা মাষ্টার পিস ‘থিংস ফল অ্যাপার্ট” এর কথা মনে হলো। চিনুয়া অ্যাচেব তার বর্ণনায় আফ্রিকান ইগবো কালচারের কথা তুলে ধরেছিলেন। বেশ সফল ভাবে উপস্থাপন করেছেন কিভাবে উপনিবেশবাদ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা হাজার বছর ধরে লালিত সংস্কৃতিকে নির্মম ভাবে ধ্বংস করেছে।

যাহোক চিড়িয়াখানার ঠিক মাঝখানে গ্রীক স্থাপত্যের আদলে তৈরি করা হয়েছে কনসার্ট ক্যাম্প! বিভিন্ন উপলক্ষ্যে সেলিব্রেটিরা এসে নাকি চিড়িয়াদের মাতিয়ে রাখেন!

একটি গল্প দিয়ে চিড়িয়া কাহিনী শেষ করি। আফ্রিকার কোন একটি চিড়িয়াখানায় পাশাপাশি তিনটি খাঁচায় রাখা হয়েছে যথাক্রমে বানর, গণ্ডার এবং চিতা। দিনে বানরের বাঁদরামি দেখে চিতা হেসে খুন,দিন শেষে ক্লান্তি নিয়ে যখন ঘুমাতে যায় তখন ঘটে বিপত্তি। আর যায় কোথায় এবার গণ্ডারের টার্ন আই মিন হাসির পালা, তাই বলে এতো দীর্ঘ রেসপন্স টাইম!!!!!!! আফটার অল গণ্ডারের চামড়া বলে কথা।

চলবে ...............



আফ্রিকানদের শিকারের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র





আদিবাসীদের ঘর



আফ্রিকান হাতি





মায়া হরিণ



জলহস্তী



জিরাফ



মেরু ভাল্লুক



পশ্চিম আফ্রিকার বিরল প্রজাতির সাপ





চিড়িয়াখানার মধ্যেদিয়ে চলা ট্রেন



চিড়িয়াখানার ভিতরে কনসার্ট পার্ক

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

175393
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভালো লাগলো
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
128659
আইমান হামিদ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
175456
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০২
বিদ্যালো১ লিখেছেন : ghurte khub valo laage. Apnar blog er maddhome nuton jaiga ghuriye anai JazakAllah khair.
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
128724
আইমান হামিদ লিখেছেন : এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন দেখা হবে
175823
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
বিদ্যালো১ লিখেছেন : In Sha Allah, obosshoi dekha hobe. Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File