- আগুন -
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১১ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:০৪:০৫ সকাল
মানুষের মন এক অদ্ভুত চিজ। চোখের সামনে এমন অভাবনীয় দৃশ্য ঘটমান, আর আমার মন কি’না আমাকে নিয়ে চলে গেল বেড়াতে, তিন বছর আগে, যখন প্রথম এই ছেলেটিকে দেখেছিলাম।
সেদিন ছিলো আমাদের ছাত্রজীবনের সমাপ্তি দিবস। রায়হান বলল, ‘চল, আজ সেলেব্রেট করি। কি করা যায়? কি করা যায়? পেয়েছি! চল, তোকে কাবাব খাওয়াব, পোড়া মাংসের গন্ধে খাবার এসে পৌঁছবার আগেই তোর ঠোঁটের কোণ বেয়ে লোল পড়বে, দেখে দেখে আমি হাসব। সিরিয়াস মজা হবে’।
রায়হান আর আমার বন্ধুত্ব হোল যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সিম্বায়োটিক রিলেশনশিপ, পরস্পরনির্ভরশীলতাই যার ভিত্তি। সে বিশাল বড়লোকের ছেলে, ওর দাদার দেয়া হাসপাতাল ওদের পারিবারিক সম্পদের একটি অংশ। সুতরাং, মেধা থাক বা না থাক, ওকে ডাক্তার হতেই হবে। আর আমি হলাম গরীবের মেধাবী ছেলে। মেধার জোরে ভর্তি পেয়েছি বটে, কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। রায়হানের সুবিধা আমি ওকে পড়াশোনায় সাহায্য করি, আমার সুবিধা সে আমার পকেটের অবস্থা বুঝে আমাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমার সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখে। সব দিক মিলিয়ে এই বন্ধুত্বে উভয়ের লাভ। আমরা উভয়ই জানি আমরা পাশ করব। কিন্তু রায়হান পাশ করা মাত্র গিয়ে বসবে ওর দাদার হাসপাতালে, কয়েক বছরের ভেতর সে পৌঁছে যাবে এম ডির চেয়ারে; আর আমার চিন্তা আমাকে কোন পাহাড়ে বা কোন অজ পাড়াগাঁয়ে পাঠানো হবে। যাক, এই সুযোগে একবার কাবাব খাওয়া হয়ে যাবে, এটাই লাভ।
দোকানে গিয়ে পোড়া মাংসের গন্ধে আসলেই আমার জিভে জল আসতে লাগল। অপেক্ষার প্রহর যেন আর শেষ হয়না। এমন সময় আজকের এই ছেলেটা একটা মেয়ে নিয়ে প্রবেশ করল। গিয়ে বসল রায়হানের পেছনের টেবিলটায়। ওদের অন্তরঙ্গতা দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওরা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু স্বামী স্ত্রী পাবলিক প্লেসে এতটা অন্তরঙ্গতা প্রকাশ করেনা, কারণ ওদের অন্তরঙ্গ হবার জন্য বাড়ীঘর রয়েছে। মেয়েটা হোল যাকে বলে আগুনে সুন্দরী, হাসিতে মুক্তো ঝরে টাইপের। এত সুন্দর মেয়েটা কেন কারো ঘর আলো না করে এমন একটা ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে যে তার মানসম্মানের কোন পরোয়াই করেনা, সেটা বুঝতে পারলাম না। যাক, বড় বড় লোকের বড় বড় কারবার আমার মত গরীবের ছেলেরা বুঝবে তাই বা আশা করি কি করে? নিজের অজান্তেই বার বার চোখ চলে যাচ্ছিল মেয়েটার দিকে। মন বলল, ‘হে ফাইয়াজ, তোমার প্রভু তোমাকে যে চোখ দিয়েছেন তার হিসেব কিন্তু তাঁকে বুঝিয়ে দিতে হবে, ভুলে যেয়োনা’। মনের ওপর জোর খাটিয়ে রায়হানকে বললাম, ‘নাহ, আজ কাবাব খাবনা। চল, চাইনিজে যাই’। ওর আপত্তি উপেক্ষা করে, অর্ডার ক্যান্সেল করে, দোকানের বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মহাখাপ্পা হয়েছিলো রায়হান সেদিন, কিন্তু আমি ওকে আজও বলিনি কেন সেদিন এমন অদ্ভুত আচরণ করেছিলাম।
পোড়া মাংসের তীব্র গন্ধ অতীত থেকে টেনে ফিরিয়ে নিয়ে এলো। মেয়েটা দু’দিন হোল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্টের শব্দ। কিন্তু এই কষ্ট তার নিজের হাতে সৃষ্ট। চার বছর প্রেম করার পর বয়ফ্রেন্ড বিয়ে করবেনা জানিয়ে দেয়াতে সে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে। পরিবারের সবাই মিলে আগুন নিভাতে নিভাতে ততক্ষণে শরীরের অধিকাংশ পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছে। মাথার চুল জ্বলে গিয়ে দগদগে লাল পোড়া চামড়া বেরিয়ে পড়েছে, মুখের রঙ কালো আর লালের সংমিশ্রনে ভয়াবহ হয়ে রয়েছে, ঠোঁট গলে গিয়ে কথা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছেনা। তবু যতবার কাছে যাচ্ছি ওর পাপড়িবিহীন চোখে দু’টো করুণ দৃষ্টিতে বলার চেষ্টা করছে, ‘আউয়ি আর ওয়াচতে চাইয়াঁ, আওয়াকে ওয়েরে হ্যালেন’।
আমি বুঝতে পারছি এটা ওর অভিমানের কথা নয়। ওর বাবা সেদিন থেকে এক মূহূর্তের জন্য ওকে ফেলে নড়েননি। মা এই দৃশ্য সহ্য করতে পারছেন না বলে রুমের বাইরে চেয়ার নিয়ে বসে অবিরাম কেঁদে চলেছেন, আর সাথে সাথে চলছে বিড়বিড় করে দু’আ পড়া। বড় বোনটা মনে হয় ঘটনার আকস্মিকতায় বোকা বনে গিয়েছে। বোনের বিছানার পাশে খুব সুন্দর ফ্রুট বোলে সাজানো নানারকম ফলফলাদি, ছুরি, কাঁটা চামচ, বাটি সাজিয়ে রেখেছে। অথচ সে তো কিছুই খেতে পারবেনা! ভাইটা আজই এসেছে ঢাকা থেকে। এসে সব শুনে কিচ্ছুটি না বলে বেরিয়ে গেল। কিন্তু মেয়েটির বর্ণনাতীত কষ্টের সামনে এই স্নেহমায়ার বন্ধন যে বড় ঠুনকো!
ভাইটা এইমাত্র ফিরে এলো তিন বছর আগে দেখা ছেলেটিকে নিয়ে। ওর কলার চেপে ঘাড় ধরে ঠেলতে লাগল মেয়েটির দিকে, ‘তুই আজ এখনই ওকে বিয়ে করবি’। ছেলেটি মেয়েটিকে দেখে শিউড়ে উঠে পিছিয়ে আসতে চাইল। ভাইটি ধাক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে দিলো, ‘কেন, ওর সাথে চার বছর ঘুরার সময় এত ভালো লেগেছে। এখন আর আমার বোনকে তোর ভালো লাগছেনা, তাইনা? আব্বা, ওকে চোখে চোখে রাখবেন, ও যেন কোনদিকে পালাতে না পারে। আমি এখনই বিয়ে পড়াবার ব্যাবস্থা করছি’।
বাবা অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। আমি হতবাক। চোখের সামনে যা ঘটছে তার চেয়েও হতবাক এই ভেবে যে এই সেই আগুনে সুন্দরী! এই মূহূর্তে ওর চেহারা, ওর গন্ধ, ওর কষ্টের শব্দ ডাক্তার হয়েও আমি সহ্য করতে পারছিনা, এই ছেলে তাকে সহ্য করবে কি করে?
খবর পেয়ে রায়হান হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো। ওহ, বলা হয়নি, আমাকে আর শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে জঙ্গলে যেতে হয়নি, রায়হানের বুন্ধুত্ব আমাকে ওর দাদার হাসপাতালেই একটা কাজ জুটিয়ে দিয়েছিলো। এখন দু’জনে মিলে পরামর্শ করে ঠিক করলাম পুলিশ ডাকাই সবচেয়ে নিরাপদ। রায়হান রুমের বাইরে গিয়ে মোবাইলে কল দিলো পুলিশে। ততক্ষণে প্যাসেজে মেয়ের ভাইয়ের হুংকার শুনে বোঝা যাচ্ছে সে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। হঠাৎ ছেলেটা লাফিয়ে উঠল। ফ্রুট বোল থেকে ছুরিটা তুলে নিয়ে বাতাসে পোঁচ দিতে দিতে বলল, ‘আমি ওকে বিয়ে করতে পারবনা, আমাকে বাধ্য করার চেষ্টা করলে ভালো হবেনা’। মেয়ের বড়বোনের ওপর মেজাজটা খুব খারাপ হোল। ফ্রুট কাটার জন্য এত বড় সাইজের ছুরি লাগে নাকি? এটা দিয়ে গরু জবাই করা যাবে! ছোট ছুরি হলে চেষ্টা চালিয়ে দেখতাম ওকে নিরস্ত্র করা যায় কি’না। মেয়ের ভাই ঘরে ঢুকে ওর কান্ড দেখে রাগে ঠোঁট কুঁচকে ফেলল, আক্রমনোদ্যত কুকুরের মত ক্যানাইন দাঁত বেরিয়ে পড়ল তার। তারপরের ঘটনাগুলো অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে ঘটতে লাগল। স্লো মোশানে দেখা গেলে দর্শক দেখতেন, রায়হান আমার মনোভাব বুঝতে পেরে আমাকে শক্ত করে ধরে ফেলল যেন আমি ছুরি হাতে প্রলাপরত ছেলেটির দিকে এগোতে না পারি। মেয়েটির ভাই ছেলেটির দিকে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে, বুড়ো বাপ বাঁধা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেনা। ভেতরে হুটোপুটির শব্দ শুনে বড়বোন কি ঘটছে দেখার জন্য এসে বেহুঁশ হয়ে দরজার পাশেই এলিয়ে পড়েছে। মেয়েকে ধরতে এসে মা ঘরের ভেতর দৃশ্য দেখে দিলেন এক গগনবিদারী চিৎকার। ছুরি হাতে ছেলেটা ওদিকে তাকাতেই মেয়েটির ভাই ওর কাছ থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিতে পা বাড়াল। সাথে সাথে ছেলেটা সবাইকে হতভম্ব করে দিয়ে মেয়েটার হৃৎপিণ্ড বরাবর ছুরিটা বসিয়ে দিলো। সাথে সাথে সব স্তব্ধ, মেয়েটার সামান্য একটা দীর্ঘশ্বাস, তারপর ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটলো। রায়হান এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে গিয়ে ছেলেটাকে ধরে ফেলল। ছেলেটা নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেনা সে এইমাত্র কি করেছে। সে বার বার বলছে, ‘আমি ওকে বিয়ে করতে পারবনা, আমি ওকে বিয়ে করতে পারবনা ...’। আমি ততক্ষণে ছুটে গিয়েছি মেয়েটার পাশে। না, মনে হচ্ছেনা ওকে বাঁচানো যাবে। ওর শরীর এমনিতেই গত দু’দিন ধরে যুদ্ধ করে ক্লান্ত। ছুরিটা বিঁধেছে ঠিক ওর হৃৎপিন্ড বরাবর, ওর নিঃশ্বাসের শব্দ বলছে ও এবার এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়। মেয়েটার বাবা ঘটনার আকস্মিকতায় পাথরবৎ দাঁড়িয়ে রয়েছেন, চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন যেন। মেয়েটার ভাই দুই হাতে মাথার সমস্ত চুল আঁকড়ে ধরে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছে, যেন সে পারলে পুরো ঘটনা আবার রিওয়াইন্ড করে এবার ঠিকভাবে করত। দরজার কাছে নার্স মা মেয়ের নিথর দেহগুলোতে জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এর মাঝে মেয়েটার আত্মা ওর দেহ থেকে মুক্ত হয়ে উড়ে গেল।
মনে মনে ভাবলাম, যাক সে অন্তত এই নরকযন্ত্রনা থেকে তো মুক্তি পেল! পরক্ষণেই মনের আয়নায় ভেসে উঠল, ‘যে ভয় করে সে উপদেশ গ্রহন করবে, আর যে হতভাগা সে তা উপেক্ষা করবে, সে মহা অগ্নিতে প্রবেশ করবে, অতঃপর সেখানে সে মরবেও না জীবিতও থাকবেনা’ (সুরা আলাঃ আয়াত ১০-১৩)। আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল। এই জীবনে আমাদের কৃতকর্মের শাস্তি যতই কঠিন হোক, মৃত্যু এক সময় তার সমাপ্তি টেনে আনে, শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরবর্তী অধ্যায়ে মৃত্যুর অনুপস্থিতি এক বিরাট পার্থক্যসূচনাকারী ফ্যাক্টর। সেখানে কোন মৃত্যু, চেতনাহীনতা বা দুর্বলতা আমাদের আগুনের তেজ থেকে সাময়িক নিরাপত্তাও প্রদান করতে পারবেনা। তবে কিসের আশায় আমরা এই জীবনটা হেলাফেলায় কাটিয়ে দেই যেখানে এটিই একমাত্র ফলাফলনির্ধারনী পরীক্ষা? হঠাৎ মেয়েটির জন্য করুণা এবং বিষাদে ছেয়ে গেল মন। বেচারী! ওর প্রভু ওকে উজার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবেচনার অভাবে সে এদিকেও কিছু পেলোনা, ওদিকেও কিছু পাবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা। নিজের জন্য আশংকায় কেঁপে উঠলাম, ‘হে আমাদের পালনকর্তা, সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত কোরোনা, আমাদের তোমার অনুগ্রহ দান কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা’!
বিষয়: বিবিধ
২৭৫৬ বার পঠিত, ৯৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"হে আমাদের পালনকর্তা, সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত কোরোনা, আমাদের তোমার অনুগ্রহ দান কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা’!
ওদের অন্তরঙ্গতা দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওরা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু স্বামী স্ত্রী পাবলিক প্লেসে এতটা অন্তরঙ্গতা প্রকাশ করেনা, কারণ ওদের অন্তরঙ্গ হবার জন্য বাড়ীঘর রয়েছে।
আপু খুব বাস্তবধর্মী লেখা। ধন্যবাদ
লিখাটি একটানা পড়লাম। কষ্ট লাগল। তারপরও লিখাটিতে ভালোলাগা রেখে যাচ্ছি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বারাকাল্লাহু ফীহ।
but hardly we take lesson... :(
হে আমাদের পালনকর্তা, সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত কোরোনা, আমাদের তোমার অনুগ্রহ দান কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা’! আমীন
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমিন৷
এই ধারণাগুলো আমাদের আশেপাশে যাদের কাছে স্পষ্ট নয় তাদের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব, আপনি কি অংশগ্রহণ করবেন না এই দায়িত্ব পালনে?
যারা সংযত জীবন যাপন করে তারা আজ আমাদের সমাজে কিছু বিশেষণে বিশেষায়িত হয়ে যায়। আর যারা উশৃঙ্খল জীবন যাপন করে তারা হয় সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত।
পরিবারে ও সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটালেই তথাকথিত সুশীলতার নাগপাশ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শিক্ষণীয় গল্পটির জন্য ধন্যবাদ
ধর্মহীন অনৈতিকতার প্রসার!
বেহিসাবী স্বেচ্ছাচারী মনোভাব!
অবাধ স্বাধীনতার নামে বল্গাহীন আচরণ!
এই সব বাস্তবিকতার ভয়াল প্রতিক্রিয়া অসাধারণ নান্দনিকতায় অনুপম শিক্ষাময়তায় সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে আলোচ্য লেখনীতে!
আল্লাহ যেন আমাদের কে রক্ষা করেন!!!
জাযাকুমুল্লাহুখাইরান আপনাকে!!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য যাজ্জাকাল্লাহ খাইর
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
অসাধারণ শিক্ষণীয় পোস্টের জন্য জাযাকিল্লাহু খাইরান।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন আপুমনি!
মডুদের অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্টটি স্টিকি করার জন্য। না হয় আমার মতো অনেকে এমন সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্ট থেকে বঞ্চিত হতো।
আপনি কোন সময় পোস্ট পড়ার আমন্ত্রন দেন না কেন? আগামীতে অবশ্য আমন্ত্রন জানাবেন আপুমনি।
আরে তাই তো!
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ!
আমি সাধারনত আমার কোন পোস্টে আমন্ত্রণ জানাই না কারণ আমার কোন পোস্ট আমার কাছে পড়ার উপযুক্ত মনে হয়না। কিন্তু এই লেখাটার মেসেজটা এত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল যে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আমন্ত্রন পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আসছেনা দেখে লজ্জার পরিমাণটা বাড়ছিলো কেবল
আলহামদুলিল্লাহ, মডুদের ধন্যবাদ।
এই তো অনেকে পড়ছেন মাশাল্লাহ। হয়ত ওরা এই বিষয়টা নিয়ে গল্প করবেন কারো সাথে, হয়ত এর ফলশ্রুতিতে ওদের অজান্তেই কেউ একজন এমন পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে। তখন এর ফলটা ইনশা আল্লাহ আমরা সবাই পাব
খবরটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ <:-P
দু'আ করবেন যেন ভাল কিছু লিখতে পারি যা আমন্ত্রণ জানানোর উপযুক্ত মনে হয়
ধন্যবাদ লেখিকাকে!
আপু বললে ভাল লাগে। এখানে শুধু কিছু ধারণা শেয়ার করার চেষ্টা করি আপু। আর তো কিছু না
এটাই আশা করি যে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের আশেপাশের লোকজনের সাথে আলাপ করব, হয়ত কেউ বিপথগামী হতে হতে ফিরে আসবেন, হয়ত এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ কবুল করুন
অনেক ধন্যবাদ আপা
আপনার সিরিজটা ফলো করছি, কিন্তু মন্তব্য করতে পারছিনা। কাজে প্রচন্ড চাপ যাচ্ছে। বাসায় এসে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। অধিকাংশই ব্লগে ঢোকা হয়না।
অনেকদিন পরে মডু ভাইগণ পোষ্ট স্টিকি করলেন। ভালোই লাগছে।
প্রথমত ট্র্যাজেডি যুক্ত লেখা আমার পছন্দ নয় , তার পর ও আমি এই ভয়ংকর সুন্দর গল্পটি ৫ বার পড়েছি। প্রতি বারই হৃদয়, মন আবেশিত হয়েছে।
সবাই ভাল ভাল মন্তব্য করেছে তাই আমি একটা খুত ধরবো বলে ঠিক করেছি। আচ্ছা আপু আপনার গল্পের নায়কের স্মরণ শক্তিতো আর্কাইভের মত, কোথায় ছাত্র জীবনে বন্ধু রায়হানের সাথে পোড়া মাংস খেতে গিয়ে, দোকানে একটি আগুন কে দেখেছিল। এতদিন পর সে দেখা মাত্র আগুন সুন্দরী কে চিনল কি ভাবে ?
যাক, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অসাধারণ ভয়ংকর সুন্দর লেখাটির জন্য।
ভাইরে, এখন থেকে আমি প্রতিটি লেখা ছয়বার রিভিশন দেব : : : : : :
সুন্দরীকে তো ওর বাবামায়েরও চেনার উপায় নেই! সে চিনেছে ছেলেটাকে। মানুষ ভাল কথা ভুলে যায়। কিন্তু কারো কিছু অপছন্দ হলে মনে রাখে আজীবন। কথাটা লজিকাল না, কিন্তু বাস্তব। কি বলেন ভাইছা?
তাই আমি আর কিছু লিখলাম না
তবে আমার ভয় হয়, আমি বাতাস হতে গিয়ে আবার না জানি হারিকেনটা নিভিয়ে বসি
সত্যলিখন আপার কথায় বেশি প্রভাবিত হবেন না। যারা স্নেহশীল তাঁরা কয়লার মাঝেও হীরা খোঁজেন।
আওয়ামীলীগের এমপির পুত্রের হাতে তার স্ত্রী খুন হয়েছে।। এই নিউজটি বিভিন্ন অন লাইন পত্রিকায় আসলেও খবরের কাগজে এই নিউজটি নাও আসতে পারে।।। কারন বাল সরকার মিডিয়াকে গোলাম বানিয়ে রেখেছে।। আওয়ামীলীগের দুঃশাসনে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই।। এমনকি তাদের তাদের পরিবারের সদ্স্যরাও রেহায় পাচ্ছে না।
"হে আমাদের পালনকর্তা,সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত কোরোনা, আমাদের তোমার অনুগ্রহ দান কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা"
আমীন।।
মানুষের মন বড়ই জটিল। ভালবেসে প্রতারিত কেউ প্রতিশোধ নেয় কেউ নিজেকে শেষ করে দেয়। আপনার লেখায় শেষ করে দেওয়ার ঘটনাই উঠে এসেছে। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আমাদের কারোই কাম্য নয় তবুও অহরহ তাই ঘটছে। এর একমাত্র কারন দ্বীনি শিক্ষা ও
মানুষের মন বড়ই জটিল। ভালবেসে প্রতারিত কেউ প্রতিশোধ নেয় কেউ নিজেকে শেষ করে দেয়। আপনার লেখায় শেষ করে দেওয়ার ঘটনাই উঠে এসেছে। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আমাদের কারোই কাম্য নয় তবুও অহরহ তাই ঘটছে। এর একমাত্র কারন দ্বীনি শিক্ষা ও দ্বীনি পরিবেশের অভাব।
অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি আপুজ্বি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু
যাজ্জাকাল্লাহ খাইর
আর হ্যাঁ, গল্পটি সত্যিই শিক্ষণীয় ও চমৎকার।
আপনি ভাল লিখেন-এটা বলতে আমার দ্বিধা নেই। ভাল রাইটাররা অহেতুক অতি নগন্য ছুতায় ব্লগ ছেড়ে দিক আর আউল ফাউল ব্লগাররা এসে পরিবেশ নষ্ট করুক- এটি কারো কাম্য নয়।
আপনি (এবং আপনার আহবানে আরো অনেক নারী ব্লগার)দীর্ঘদিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলেন-ব্যস্ততাজনিত কারণে নয়, স্রেফ অহেতুক বিদ্বেষ আর অভিমান হতে। আমি মানুষের প্রশংসা করতে যেমন জানি, তেমনি গঠনমূলক সমালোচনা করতেও দ্বিধা করি না।
আমি ব্লগার হিসেবে নতুন হলেও পাঠক হিসেবে মোটেও নতুন নয়। ব্লগের অনেক কাহিনী নখদর্পনে আছে।
তুলনামূলক মেয়েদের পোস্টই বেশি স্টিকি হয়। নারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য সেটাই উচিত বলে আমি মনে করি।
আপনার লিখাটা অনেক সুন্দর ও শিক্ষণীয়। বাস্তবধর্মী ভাললাগার মত। ধন্যবাদ।
আলহামদুলিল্লাহ, মডুদের ধন্যবাদ।
............................
আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে কেউ না পড়লেও আপনি লিখে যাবেন । আপনার দেয়া মেসেজটা অন্তত আপনার ব্লগে থাকবে । আমি সময় পেলেই আপনার ব্লগে ঢুকে আপনার লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করি । ধন্যবাদ আপনাকে । অনেক সুন্দর ও শিক্ষনীয় পোষ্ট ।
দু'আ করবেন
নিয়মিত বিরতিহীন লিখবে কিন্তু.......
২/ সময় নাই
৩/ বিরতিহীন লেখার মত মেধা নাই
এখন বলেন কি করব? :
মন্তব্য করতে লগইন করুন