ছোট ছোট বালুকণা - ৪

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ২৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:০৭:৪৩ সকাল

মারযান চলে গেলে তিনি সামিয়াকে বললেন, ‘শোন মা, তুমি আমার কাছে আমার তিনটা সন্তানের চেয়ে আলাদা নও। তুমি আসার আগেও ত্রিশ বছর আমার সংসারের সব কাজকর্ম চলেছে, আরো কিছুদিন এভাবে চললে কোন ক্ষতি নেই। এখন তোমার প্রয়োজন ঘরের সবার সাথে বন্ধুত্ব করার, সবার পছন্দ অপছন্দ বুঝে নেয়ার, আমাদের তোমার পছন্দ অপছন্দ বুঝার সুযোগ দেয়ার, বিশেষ করে মাসরুরের সাথে অ্যাডজাস্ট করার’।

নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায় তাঁর, ‘আট বছর আগে মাসরুরের বাবা ব্যাবসায় বিরাট লস করেন। কিন্তু নিজের ক্ষতির চাইতেও তাকে পীড়া দিতে থাকে শেয়ার হোল্ডারদের লস, কর্মচারীদের কি হবে এইসব ভাবনা। একদিন সারারাত চিন্তা করার পর সকালে উঠে দেখেন আর হাতপা নাড়তে পারছেন না। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। ওরা বলল রাতে কোন একসময় স্ট্রোক হয়েছে, বেঁচে আছেন এটাই বেশি, হয়ত সুস্থ হবেন, কিন্তু আর কোনদিনই বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। ভাবলাম ব্যাবসা বাণিজ্য সব বিক্রি করে দেই, যা পাওয়া যাবে তা দিয়ে হয়ত মাসরুরের লেখাপড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত সংসার চালিয়ে নিতে পারব। কিন্তু ছেলে আমার বেঁকে বসল। বলল, ‘না মা, মানুষের টাকা কর্জ থাকা পর্যন্ত বাবা সুস্থ হবেন না। তাছাড়া এতগুলো পরিবার আমাদের ওপর নির্ভরশীল, তাদের কথা ভুলে গেলেই বা কিভাবে চলবে?’ ছেলে সব ছেড়েছুড়ে ব্যাবসার হাল ধরল, হাল ধরল পরিবারেরও। কুড়ি বছর বয়স ছিলো ওর, হুট করেই বড় হয়ে যেতে হোল ছেলেটাকে। সেই থেকে পরিশ্রম করে ব্যাবসাটাকে আবার টেনেটুনে ঠিক করল, সবার ধার দেনা শোধ করল, ব্যাবসা বর্ধিত করল, নিজে আরেকটা নতুন ব্যাবসা শুরু করল, যেসব কর্মচারীরা এই বিপদের দিনে আমাদের পাশে ছিলো তাদের সবার জন্য বাড়ীর পেছনে ঘর করল, এখন ওরা আমাদের পরিবারেরই অংশ। পরিবারের গায়েও আঁচড়টি লাগতে দেয়নি আমার মাসরুর। বছরের পর বছর আমরা ডাল ভাত ভর্তা খেয়ে সংসার চালিয়েছি ঋণের টাকা শোধ করার জন্য, ঈদেও একটা কাপড় কিনতে পারিনি; কিন্তু ওর বাবার চিকিৎসা কিংবা ভাইবোনদের লেখাপড়ার জন্য কখনও টাকার অভাব বুঝতে দেয়নি মাসরুর। আমার ছেলেটা সারাদিন পরিশ্রম করে এসে বাবার মাথায় হাত না বুলিয়ে, ভাইবোনদের সাথে খুনসুটি করে তাদের মুখে হাসি না ফুটিয়ে কোনদিন ঘুমাতে যেতনা। ক্লাসের প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্র ছিলো আমার ছেলে। ব্যাবসার ফাঁকে ফাঁকে, রাত জেগে পড়ে অনার্সটা তো শেষ করল, কিন্তু মাস্টার্সটা করব করব করেও এখনো করা হোলনা’।

আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি, ‘মাগো, কেউ যখন সবার মাথার ওপর ছাতা হয়ে তাদের নিরাপদ রাখতে যায়, তখন রোদ বৃষ্টি তুফানের ঝাপ্টা সব তার ওপর দিয়েই যায়। আমার ছেলেটা সবসময় হাসিখুশি, কিন্তু ওর মনের কষ্টগুলো সে আমাকেও বলেনা; সারাক্ষণ বকবক করে, কিন্তু এর মাঝে নিজের কথা একটিও বলেনা, সব অন্যের সুবিধা অসুবিধার কথা। তুমি যদি ওর মনের গোপন কুঠুরীতে সঞ্চিত কষ্টগুলো বের করে এনে ওখানে আলোয় ভরিয়ে দিতে পারো, সেটাই হবে আমার পরম পাওয়া। তোমার কাছে আমি এর বাইরে আর কিছুই চাইনা’।

তন্ময় হয়ে শুনতে শুনতে সামিয়া খেয়ালই করেনি কখন মারযান পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। ওদের সামিয়ার রুমে গিয়ে জিনিসপত্র গুছাতে বলে আনোয়ারা বেগম বাগানে যান যেখানে তাঁর স্বামী ছেলের কাঁধে ভর দিয়ে একটা ফুটবলে লাথি মারতে পেরে আনন্দে কিশোরদের মত হুঙ্কার ছাড়ছেন!

নিজের রুমে যেতে যেতে সামিয়ার মনটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসে। সে গতরাতে মাসরুরকে বলেছে, ‘আপনার ঝোঁক টাকার প্রতি, আমার পড়ার প্রতি’। অথচ এখন সে বুঝতে পারছে টাকা সে নিজের জন্য উপার্জন করেনা, বা লেখাপড়ার প্রতি ওর আগ্রহ নেই এই কথাটাও সত্য নয়। না জেনে কত বড় একটা আঘাত দিয়ে ফেলেছে সে! একজন কষ্ট হরণকারীকে কষ্ট দিয়ে ভীষণ অনুশোচনায় ভুগছে সামিয়া। কিন্তু কথাটা সে বলবে কি করে?

তিনমাস কেটে যায়। সামিয়ার শ্বশুর শাশুড়ি দেবর ননদ এমনকি প্রতিবেশীরাও ওকে ভীষন ভালোবাসে, ওদের উদারতা ওকে আপ্লুত করে। কিন্তু যাকে কেন্দ্র করে এই ভালবাসা সে পাচ্ছে তার মতিগতি সে কিছুই বুঝতে পারেনা। মাসরুর ওর সুবিধা অসুবিধা খেয়াল রাখে, বাড়ীর সবার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার ব্যাপারে উপদেশ উৎসাহ দেয়, বাপের বাড়ী বা কলেজে আসা যাওয়ার সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে। কিন্তু এর বাইরে সে সামিয়ার সাথে কোন কথাই বলেনা, ঘুমায় অফিসরুমের সেই সিঙ্গেল খাটে। মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে, সারাদিন কাজ শেষে রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসে। ভোরবেলা নামাজের আগে কুর’আন পড়ে, নামাজ পড়ে ঘুমায়। সামিয়া সুযোগ পায়না কোন কথা বলার, আবার লজ্জাবোধের কারণে বলতে পারেনা ভেতরে এসে ঘুমোতে। এক অস্বস্তিকর পরিবেশে কাটতে থাকে তার দিনরাত। ঘরের কেউ কিছু টের না পেলেও মারযান বুঝতে পারে কিছু একটা অমিল হচ্ছে, কিন্তু সে ঠিক ধরতে পারেনা সেটা কি।

একদিন কলেজে গিয়ে সামিয়া জানতে পারে আজ ক্লাস হবেনা। বাসায় চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। এমন সময় একটা মেয়ের সাথে দেখা। সামিয়া আর্টসে পড়ে আর ঐ মেয়েটা সায়েন্সে। কিছু ক্লাস ওদের একসাথে হলেও অধিকাংশই ওদের দেখা হয় বারান্দায় বা মাঠে, কথা হয় কালেভদ্রে। আজ হাতে সময় আছে। দু’জনে গল্প করতে করতে হঠাৎ সামিয়া নিজের বিবাহপূর্ব স্বপ্ন থেকে বর্তমান অচলাবস্থা পর্যন্ত সবকিছু উগড়ে দেয় অকপটে। সে নিজেই অবাক হয়, যে কথা সে তার বাবামা ভাইদের বলেনি, এমনকি একসাথে থেকেও বাড়ীর কেউ টের পায়নি, তা সে কেন ওকে বলতে গেল। সম্ভবত যাদের সাথে লেনাদেনা থাকে তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে মানুষ অনেক কথাই বলতে পারেনা, কিন্তু একজন অপরিচিতের সাথে সেটা শেয়ার করা যায় নির্দ্বিধায়। নাকি কারো কারো চেহারা দেখলেই মনে হয় তাকে বিশ্বাস করা যায়? সে কথাগুলো বলল নিজেকে নির্ভার করার জন্য, কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটা ব্যাপারটাকে খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করে ওকে বুঝিয়ে দিলো সমস্যাটা ঠিক কোথায় এবং এর সমাধানের ব্যাপারেও একটা দিকনির্দেশনা দিলো। সব শুনে মেয়েটির কথাগুলো ওর কাছে যৌক্তিক মনে হোল। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? বাঁধার প্রাচীর পেরোনোর জন্য কথা বলার বিকল্প নেই। কিন্তু সেই কথাই তো সে বলতে পারছেনা আজ তিনমাস ধরে!

বান্ধবীর পরামর্শমত সামিয়া প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে লাগল। সাতদিন পর, রাতে খাবার পর যথারীতি বাবাকে রুমে দিয়ে এসে মাসরুর অফিস রুমে পড়তে বসল। ওদিকে সামিয়া আর মারযান রান্নাঘরের খাবার গুছিয়ে গল্প করতে করতে যার যার রুমের দিকে এগোলো। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে মারযান হঠাৎ সামিয়াকে প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা ভাবী, একটা প্রশ্ন করি? তুমি কিছু মনে করবেনা তো?’

সামিয়া ওর গলা জড়িয়ে ধরে বলে, ‘তোর সাথে কি আমার কিছু মনে করাকরির সম্পর্ক? বল, কি বলবি?’

মারযান কিঞ্চিত ইতস্তত করে বলে, ‘তোমাদের বিয়ে হয়েছে তিনমাস। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভাইয়া আর তোমাকে একসাথে থাকতে দেখিনি। তোমাদের মাঝে কি কোন সমস্যা হচ্ছে?’

প্রমাদ গোণে সামিয়া, তারপর মুখে হাসি টেনে বলে, ‘না তো! তোর ভাইয়া রাত জেগে পড়ে, আবার ভেতরে যেতে গেলে আমার ঘুমের ডিস্টার্ব হবে বলে ওখানেই শুয়ে যায়। সমস্যা না করার স্বার্থেই এই ব্যাবস্থা’।

মারযান হাসল, কিন্তু বিশ্বাস করল বলে মনে হোল না।

(চলবে ইনশা আল্লাহ)

বিষয়: বিবিধ

১৯৭৭ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

277966
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ফাস্টু এখন আগের পর্বগুলো পড়তে হবে Tongue
Happy Happy Good Luck Good Luck Happy নিচেরটি আমার জন্য এডভান্স নিলাম।
Time Out Time Out
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
221812
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হা হা। এটা ফাস্টু হবার মত কোন পোস্ট না ভাই, আস্তেধীরে পড়েন। আগে বলেন এতদিন কোথায় ছিলেন। ভাল আছেন তো? Happy
২৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
221829
রাইয়ান লিখেছেন : আপুজ্বি , আপনি আসলেই কত্ত ভালো ! আওণের এই কমেন্ট পড়েও আপনি তাকে স্নেহশীলা , মমতাময়ী বোনের মত উদার হৃদয়ে মাফ করে দিলেন। নইলে এরকম কমেন্টের উত্তর হওয়া উচিত .... Time Out Time Out Time Out
এজন্যই মনে হয় আওণ টুডে ব্লগে এখন কম আসে ....Crying Crying Crying
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪১
221989
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
222345
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Time Out Time Out At Wits' End At Wits' End Time Out Time Out
277967
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২০
মামুন লিখেছেন : লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৫
221813
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : প্রতিটি পর্বে নিয়মিত উপস্থিতি দিয়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck
277969
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:২৫
কাহাফ লিখেছেন :
ভাল লাগার শেষ সীমা ছুই ছুই করছে অসাধারন এই লেখনী। মাঝের এক পর্ব পড়া হয়নি আমার,পড়ে নিব ইনশা আল্লাহ।
ভাল থাকার কামনা,অনেক ধন্যবাদ Oh go On Oh go On Oh go On
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
221990
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : মাঝের পর্ব আগে পড়ুন, নইলে ধারাবাহিকতা পাবেন না Happy
277972
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
নিরবে লিখেছেন : খুব সুন্দর উপস্থাপনা আপুজি।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
221991
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু Happy
277979
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
মাহবুব হাসান র লিখেছেন : লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
221992
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ Happy
277987
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:০৭
বিদ্যালো১ লিখেছেন : সিরিজ পড়তে মজা কিন্তু অপেক্ষা কষ্টের। এই অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে শুনে ভাল লাগছে।
আল্লাহ্‌ আপনাকে লিখার জন্য আরও বেশি বেশি সময় করে দিক।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০০
221993
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটা আসলে সিরিজ না। কিন্তু এতবড় গল্প একসাথে পোস্ট দিলে কেউ পড়বেনা বলেই ভাগে ভাগে দেয়া।
দু'আ কোর আল্লাহ যেন ভাল কিছু লেখার তাওফিক দেন।
278004
২৫ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৫১
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : তোমাদের বিয়ে হয়েছে তিনমাস। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভাইয়া আর তোমাকে একসাথে থাকতে দেখিনি। তোমাদের মাঝে কি কোন সমস্যা হচ্ছে?’

Hypnotised Hypnotised Chatterbox Chatterbox MOney Eyes
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০০
221994
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : :Thinking :Thinking
278007
২৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
রাইয়ান লিখেছেন : অযাচিত ভাবে বলে ফেলা কোনো কথার মূল্য মাঝে মাঝে অনেক বেশি পরিমানেই দিতে হয় .... Loser

স্নেহশীলা শ্বাশুড়ির একটুখানি মমতা সামিয়ার জীবন নদীতে যেন জোয়ার এনে দিল , পালে লাগলো হাওয়া , এমনই হয় ..... আর হওয়া উচিত এটাই ! এই ধরনের পরিবার ব্যবস্থা এখন তো নেই ই , যা আছে তাও প্রায় ধ্বংসন্মুখ ! আপনার লেখাটিতে সুন্দর কিছু মুহূর্ত উঠে এসেছে , খুব উপভোগ করছি সেটা .... এবার দেখি , সামিয়ার মধুর যন্ত্রণার উপশম কিভাবে ঘটে ! Love Struck Tongue
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৩
221996
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঠিক ধরেছেন!
আপু, স্বপ্ন দেখি এমন একটি ভালোবাসার চাদরে আচ্ছাদিত পরিবারের, তাই গল্পের মাঝেও চলে আসে। তবে এটি একটি বিরল সত্য ঘটনা, তাই ভাবতে ভালো লাগে অন্তত একটি এমন ঘটনা তো ঘটেছে! (স্বামী স্ত্রীর সমস্যার কথা বলছিনা কিন্তু Tongue )
278010
২৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:২০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাল লেখা পড়তে কম মানুষ আসে। আপনার পর্বগুলো দারুন লাগছে। মনে মনে মাসরুর হয়ে যাচ্ছি কিন্তু....:p
২৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
221840
রাইয়ান লিখেছেন : আপুজ্বি , এই মাসরুর ভাইয়াটাকে একজন সামিয়া খুঁজে দিননা ! উনি তো আপনার প্রতিবেশী ( নতুন মাসরুর ওরেগনে থাকেন ) ! বেচারা ভাইয়াটার জীবন আউলা ঝাউলা হয়ে যাচ্ছে !! Crying
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৪
221999
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বায়োডাটাই তো মিলাতে পারিনা, মানুষ মিলানো তো বহুদূর! Crying Crying Crying
১০
278012
২৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
এস এম আবু নাছের লিখেছেন : শেষতক কি হয় তা জানতে পারবো আগামী পর্বেই, এটি ভেবে যেমন ভালো লাগছে। তেমনি খারাপ লাগছে যে, একটি সুন্দর সিরিজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাও চাই পরের পর্ব। তর আর সইছেনা। Happy
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
222000
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! এমন আগ্রহী পাঠক আমার মত আলসে মেয়েকেও জাগিয়ে তোলে Happy
১১
278046
২৫ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : গল্পের মাঝে একটা রহস্যের সন্ধান দিয়ে অপেক্ষা করানোটা কিন্তু পাঠকদের প্রতি অবিচারের সামিল। তবে রহস্যর একটা কিনারা বোধ হয় আমার মস্তিষ্কের ব্রেইনের স্ক্রীন এ ধরা পড়েছে। মনে হইতেছে মাসরুর স্ত্রীর মূখে টাকা কামানোর খোঁটার কথাটা হজম করতে পারেনি...
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৬
222003
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হা হা হা, এটা একটা পয়েন্ট, আরো পয়েন্ট আছে। তবে আপনি স্টুডেন্ট ভালো, ধরে ফেলেছেন Happy
১২
278131
২৫ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম এই কমেন্ট এ, আবার কিছুই বল্লাম না। যাককককক .......... Sad Sad
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৭
222004
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কেন বললেন না? :Thinking :Thinking
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১১
222274
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : আপনি কি পড়ার পর কিছু বলতে চাচ্ছেন নাকি না পড়েই? Tongue
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৪
222343
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Time Out Time Out Tongue Tongue Time Out Time Out পড়ার আগেও কিছু বলার ছিলো Tongue Tongue পড়ার পরে আরো কিছু এ্যাড করার ইচ্ছে ছিলো phbbbbt phbbbbt তবে ভয়ে কিছুই বল্লাম না Worried Worried আতিক ভাইয়া অথবা রাইয়ানমনি আপু দেখলে আমার মাথা ভেঙ্গে দিতো, তাই....... Wave Chatterbox @যাত্রী আপুনিভাইয়া Tongue
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৪১
222546
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কেন, খুব খারাপ কিছু বলার ছিলো নাকি? Surprised Surprised Surprised
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
222739
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খারাপ কিছু না আপু। Day Dreaming Day Dreaming দুষ্টুমি করলে আমাকে উনারা হাতুড়ি পেটা করে Sad Sad
২৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৫০
222889
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভালোই তো, শাসন করা কেউ থাকা তো সৌভাগ্যের ব্যাপার Angel
১৩
278213
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:৩০
নিরব পড়ুয়া লিখেছেন : সামিয়ার সংসারতো শুরুতে ভালই ছিল। কিন্তু শেষে আবার রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সাথেই আছি।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
222005
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : গন্ডগোলটা শুরুতেই হয়েছে কিন্তু টের পাননি Happy সাথে থাকলে বুঝতে বেশি সময় লাগবেনা Happy ধন্যবাদ আপু Good Luck Good Luck
১৪
278251
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সংসারে সার্বিক সুখ আনার জন্য শাশুড়ি এবং বউ দুজনেরই পারস্পরিক বোঝাপড়াটা জরূরী। কিন্তু আমদের দেশে যে সব সংসারে শাশুড়ি-বউয়ের দ্বন্দ দেখা যায়, সেখানে প্রথম থেকেই দেখা যায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। শাশুড়ি চায় বউ এসেই সমস্ত গৃহকর্মের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিক। আর বউ মনে করে আমার উপর কেন এত কাজের ভার দেয়া হল?

বয়স বা সম্পর্কের দাবীতে শাশুড়িই যদি প্রথম সহনশীল আচরণ করতে পারেন তবেই সেই সংসার এক শান্তির নীড়ে পরিণত হয়।
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৪২
222065
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সেটাই কাম্য আপা, বিশেষ করে শাশুড়ি যেহেতু বয়োজ্যেষ্ঠ এবগ্ন অভিজ্ঞতায়ও বেশি সম্বৃদ্ধা তাঁর কাছেই প্রথম প্রচেষ্টা আশা করাটা স্বাভাবিক। Happy
১৫
278496
২৭ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১০
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : মারযান চলে গেলে তিনি সামিয়াকে বললেন, ‘শোন মা, তুমি আমার কাছে আমার তিনটা সন্তানের চেয়ে আলাদা নও। তুমি আসার আগেও ত্রিশ বছর আমার সংসারের সব কাজকর্ম চলেছে, আরো কিছুদিন এভাবে চললে কোন ক্ষতি নেই। এখন তোমার প্রয়োজন ঘরের সবার সাথে বন্ধুত্ব করার, সবার পছন্দ অপছন্দ বুঝে নেয়ার, আমাদের তোমার পছন্দ অপছন্দ বুঝার সুযোগ দেয়ার, বিশেষ করে মাসরুরের সাথে অ্যাডজাস্ট করার’।

অসম্ভব ভালো ও জ্ঞানী শাশুড়ী। কয়জনের কপালে এমন শাশুড়ী জুটে। MOney Eyes Day Dreaming

মাসরুরের জন্য কষ্ট হচ্ছে। সামিয়াটা কেন যে এমন এমন কথা বলে ফেললো সব কিছু জানার আগেই। Broken Heart Broken Heart

আপনার গল্পের প্রেমে পড়ে গেছি আপু। Love Struck কি সুন্দর লিখেন মাশাআল্লাহ। Thumbs Up আপনার লিখার প্রশংসা করার ভাষাও আমার জানা নেই। Sad Sad
২৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
222344
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : বেশি স্পীডে পড়েননিতো প্রেমে? Day Dreaming Day Dreaming হাত পা ঠিক আছে তো ভাইয়ামণি আপু Tongue Tongue @যাত্রী ভাপু
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৪৩
222547
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার ইচ্ছা এমন শাশুড়ি হব, আল্লাহ যেন তাওফিক দেন এবং একজন বুঝদার বৌ উপহার দেন Praying Praying Praying
যারা ছেলেদের সাথে মিশে অভ্যস্ত না তারা ভেবেচিন্তে কথা বলে অভ্যস্ত হয়না, সম্ভবত তাই :Thinking
প্রশংসা নয়, দু'আ চাই Praying Praying Praying
১৬
285161
১৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : চমতকার-৪ , কিছুটা অস্বাভাবিক! আচ্ছা অস্বাভাবিক না হলে কি গল্প হয় ?? তিন মাস নয় কেউ ৩ দিন এইভাবে থাকে কিনা সন্দেহ যদি না দেশান্তরে স্কাইপে বিয়ে না হয়।
১৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৪
228690
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এটা কিন্তু সতয ঘটনা :Thinking

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File