শোন! - ২
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১৭ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৫০:০২ রাত
অ্যামেরিকার সাবেক ফার্স্ট লেডী এবং সেক্রেটারী অফ স্টেট হিলারী ক্লিন্টন তাঁর ‘লিভিং হিস্ট্রি’ বইয়ে নিজের শিক্ষাজীবন প্রসঙ্গে লিখেছেন, তিনি প্রচন্ড অহং বোধ করেন যে তিনি ওয়েলেসলি কলেজ এর ছাত্রী ছিলেন। ওয়েলেসলি কলেজকে একসময় অ্যামেরিকার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোর একটি গণ্য করা হত। তিনি লিখেছেন, এই কলেজের বিদ্যার্থীদের মূল বৈশিষ্ট্য ছিলো লেখাপড়ার প্রতি তাদের ফোকাস। যেহেতু কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী থেকে বিদ্যার্থী সবাই ছিল নারী, তাঁরা চুল আঁচড়ানো, জামাকাপড় নিয়ে আদিখ্যেতা, সাজগোজ এসব বাজে কাজে সময় নষ্ট করতেননা। ফলে গড়ে উঠেছিলো জ্ঞানার্জনের জন্য অনুকুল একটি পরিবেশ, যেখানে জ্ঞানানুসন্ধিৎসাই ছিলো মুখ্য এবং আর সবকিছুই ছিলো গৌণ। ঐ চ্যাপ্টারের শেষের দিকে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, কলেজটি হয়ত অচিরেই ছেলেদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, ফলে তিনি আশংকা করেন কলেজটি তার পূর্বের মান হারাবে। কারণ, যেখানেই ছেলেরা থাকবে সেখানে মেয়েরা নিজেদের তাদের সামনে তুলে ধরার ব্যাপারে বিব্রত থাকবে, পোশাক আশাক মেকাপ এবং গল্প গুজবে সময় নষ্ট করবে প্রচুর, ফোকাস সরে যাবে লেখাপড়া থেকে অন্যদিকে, ফলে নারীশিক্ষার নিরাপদ এবং প্রগতিশীল কেন্দ্রটি আশানুরূপ মান বজায় রাখতে পারবেনা। আর যা কিছুই হোক, প্রচন্ড ব্যাক্তিত্বসম্পন্না, শিক্ষিতা, যোগ্যতার আধার এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিলারীকে নিশ্চয়ই আমার পশ্চাদপদতার দায়ে দায়ী করতে পারিনা। তিনি কেবল একটি ফ্যাক্ট তুলে ধরেছেন যা সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল কৈশোরে দেখা একটি ফটোর কথা। সম্ভবত ১৯৮৮ সালের কথা। গালফ নিউজ পত্রিকায় একটি ছবি দেখে হতবাক হয়ে যাই- এক দঙ্গল মেয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে, বসে, কপাল চাপড়ে চিৎকার করে কাঁদছে। ঘটনা কি? বিবরণে লেখা, অ্যামেরিকার একটি মহিলা ইউনিভার্সিটির ছাত্রীদের ছবি এটি, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ছেলেদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বিবেচনা করছে, আর এই হোল সেই খবরের রিঅ্যাকশন! এর বেশ কয়েকবছর পর আমার এক অ্যামেরিকান বান্ধবী জানান, তিনি হাইস্কুলে থাকতে স্কুলে যেতে ভয় পেতেন, কারণ ছেলেরা হাঁটতে চলতে ইচ্ছা করে মেয়েদের সাথে ধাক্কা খেত, স্পর্শের স্বাদ আস্বাদন করার জন্য। ধর্মীয় গ্রুপগুলো যখন স্টাডি ট্যূরে যেত সেখান থেকেই মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়ে ঘরে ফিরত, আর সেকুলারদের তো কথাই নেই! আরেক অ্যামেরিকান বান্ধবী জানান ইসলাম গ্রহণ করার আগে একবার চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি মালিক কর্তৃক আক্রান্ত হতে হতে বুদ্ধির জোরে বেঁচে যান।
এই সব ঘটনা সেই সত্যই নির্দেশ করে যা আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন সেই হাজার বছর আগেঃ
পবিত্র তিনি যিনি ভূমি থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরকে (মানুষকে) এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। (সূরা ইয়াসীনঃ আয়াত ৩৬)
প্রতিটি মানুষ জন্মের পর থেকেই এক অবোধ্য আকর্ষনে তার জোড়ার অনুসন্ধান করতে শুরু করে। ফলে তিন বছর বয়সী মেয়েটি রান্নাবাটি আর পুতুল খেলায় মগ্ন থাকে, ছয় বছরের ছেলেটি বিয়ে করার জন্য উতলা হয়। কিন্তু এই নিষ্পাপ আকর্ষন যেন নিষ্পাপ থাকে সেজন্যই আল্লাহ বলছেনঃ
তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সূরা রূমঃ আয়াত ২১)
কিন্তু আমরা চিন্তা করিনা। তাই আমরা বিয়েকে কঠিন করে পাপকে সহজ করে দেই। অল্প বয়সী একটি ছেলে বা একটি মেয়েকে বাবামা বিয়ে দিতে গেলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে যায়, অথচ তারা বিবাহবহির্ভূতভাবে একই কাজ করলে ক্লিনিকগুলোর লাভ হয়, পত্রিকার কাটতি বাড়ে, দেশ উন্নত হয়! ক্যানাডার সরকার এর সমাধান করেছেন এভাবে, কোন ছেলে বা মেয়ে বাবামায়ের সম্মতিসাপেক্ষে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে। ফলে বিয়েবাড়ীতে গিয়ে দেখি ক্লাস নাইন পড়ুয়া বাংলাদেশী ছেলেটি বাবামায়ের সাথে বৌ নিয়ে বেড়াতে এসেছে, কোন লুকোচুরি নেই, কোন অগ্রহনযোগ্যতার ব্যাপার নেই, সব স্পষ্ট। আর বাংলাদেশে দেখি ইউনিভার্সিটির থার্ড ইয়ারে পড়ুয়া মেয়েটি বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে গিয়ে আমাদের দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠে, ‘ম্যাডাম!’ ডাক ছেড়ে পালিয়ে যায়! শুধু ভাবুন, এটি যদি আপনার মেয়ে বা বোন হত, আপনি কি প্রথম উদাহরণটিকে বাস্তবায়ন করাটা পছন্দ করতেন, নাকি দ্বিতীয়টিকেই আদর্শ মনে করতেন?
মেয়েরা সৃষ্টিগতভাবে সংসার গড়তে চায়, নিজেকে অন্যের জন্য উজার করে দিয়ে পরিপূর্ণতা পেতে চায়। এটিই নারীর নিজেকে পুরুষের সামনে আকর্ষনীয়া হিসেবে তুলে ধরার দুর্বার আকাঙ্খার উৎস। যে নারী বুদ্ধিমতি সে জানে শারীরিক আকর্ষন ক্ষণস্থায়ী; জীবনের বন্ধুর পথে সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যের দিকে পরস্পরের হাতে ধরে চলতে গিয়ে গড়ে ওঠা পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের নামই প্রেম; সুতরাং এটি বিয়ের আগে সম্ভব নয়। কিন্তু যারা বোকা, তারা মনে করে একটি সুন্দর চেহারা দেখে মনের ভেতর জেগে ওঠা ক্ষুধাই বুঝি প্রেম। এই অনুভূতি যদিওবা কোন সম্পর্ককে টেনে বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাস্তবতার ঝাপ্টায় তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কোন কোন বোকা বুদ্ধিমান হতে শেখে, ফলে সংসার টিকে যায়; কোন কোন বোকা নিরুপায় হয়ে রয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ বোকা সংসারী হবার স্বপ্ন নিয়ে এই প্রেমের পিছু ছুটতে গিয়ে নিজেকে বিপদাপন্ন করে। কেউ কেউ ধোঁকা খায়, কেউ ঘুরে ফিরতে থাকে একজন থেকে আরেকজনের কাছে, কেউ সর্বস্ব হারায়, আর কেউ বা ধাঁধায় পড়ে নিজেকে পণ্য বানায় কিছু কামুক লোকের বাসনার জন্য।
আমরা যতই সভ্যতার কথা বলি না কেন, কিছু কিছু মানুষ কেবল প্রানীজ পর্যায়ে বাঁচে, এর বাইরে তাদের জীবনে কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকেনা। আবার সমাজে যেহেতু কিছু সামাজিক নিয়ম নীতি শৃংখলা থাকে সেহেতু তারা খুব সহজেই এই প্রানীজ চাহিদা পূরণ করতে পারেনা। ফলে তারা একটি দুর্দান্ত ফাঁদ পেতে বসেছে যাতে মহিলারা নিজের অজান্তেই এদের চাহিদার খোরাকে পরিণত হয়। এরই নাম ফ্যাশন। কোথাকার কোন নারীলিপ্সু মানসিক রোগী নিজের লিপ্সা চরিতার্থ করা উদ্দেশ্যে পোশাকের নামে উলঙ্গ থাকার ব্যাবস্থা করে আর আমাদের মা বোন ভাবীরা তার হাতে নিজেদের জীবনের লাগাম ছেড়ে দেয়! হে আমার বোনেরা, নিজেকে একবার প্রশ্ন কর, তুমি তো শুধু একজনকে নিয়েই সুখী হতে চাও, তবে কেন এক অপরিচিত ব্যাক্তি- যারা দাদার সাথেও কোনদিন তোমার দাদার দেখা হয়নি- সে তোমাকে ঠিক করে দেবে তোমার শরীরের ওজন কত হবে, মাপ কোথায় কেমন হতে হবে, দাঁত নখ ঠোঁটের রং কেমন হবে, কিভাবে তুমি জনসমক্ষে নিজেকে আরো মোহনীয় করে তুলে ধরবে? তুমি কি ভুলে গেছ পোশাকের উদ্দেশ্য নিজের শরীরকে নিজের সম্পদ হিসেবে ডিক্লেয়ার করা; ‘প্রাইভেট প্রপার্টি, অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করা হবে’ সাইন লাগানো; নিজেকে কেবল তার সামনেই তুলে ধরার অধিকার যে কেবল তোমার রূপের সাথী হবেনা, সেদিনও তোমার হাত ধরে রাখবে যেদিন তোমার চুল দাঁত পড়ে যাবে, চামড়া কুঁচকে যাবে? তুমি কি বোঝোনা, এই চামড়া চিরকাল এমন সতেজ থাকবেনা, এই চুল তো প্রতিদিনই ঝরে পড়ে, জীবনে দাঁত ফেলেছ ক’খানা মনে আছে কি? কিন্তু তোমার বুদ্ধি, তোমার মেধা, তোমার যোগ্যতা তোমার বয়সের সাথে বাড়বে কেবল। তাকেই মূল্যায়ন কর যে তোমাকে মূল্যায়ন করবে, যে তোমাকে একখন্ড মাংসপিণ্ড ছাড়া কিছুই মনে করেনা তাকে নয়।
সমাজে অনেক সুন্দর মনের মানুষ আছে, কিন্তু তারাও এর অংশ যাদের জীবনের লক্ষ্য একটি পশুর চেয়ে উচ্চতর কিছু নয়। তুমি কেন নিজেকে পশুখাদ্য বানাতে চাও? হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা তোমাদের চাহিদাকে আখিরাতমুখী কর, একটি সংসার গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিয়ে কর যার লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং নিজের চরিত্র সংরক্ষণ; বাকীটা আপনিতেই হবে, আর যদি না’ই হয় ধরে নাও তা আখিরাতে জমা রইল, কিন্তু এই পৃথিবীতে তুমি আর কিছু পাও বা না পাও, এমন একজন সঙ্গিনী অবশ্যই পাবে যে সুখে দুঃখে তোমার পাশে থাকবে। হে আমার বোনেরা, তোমরা নিজেদের সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা কর, আর কারো মিষ্টি কথায় ভুলোনা, নিজের সৌন্দর্য তার জন্য সংরক্ষণ কর যে দুনিয়া এবং আখিরাতে তোমার সঙ্গী হবে, আর কারো তোমাকে সুন্দর লাগা জরুরী নয়। হে আমাদের সমাজের নীতিনির্ধারকগণ, একটু বুদ্ধি খরচ করুন। বিয়ের বয়স ঠিক না করে বিয়েটা কে দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে সেটা নির্ধারন করুন। এখনও সময় আছে নিজেদের রক্ষা করার একটি গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে যার শেষফল ধ্বংস। কিন্তু আমরা এখনও চোখ বন্ধ করে ভেসে চললে হয়ত আর হাতে সময় থাকবেনা নিজেদের সেই অগ্নিকুন্ড থেকে রক্ষা করার।
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৩ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু প্রগতির নামে কে শোনে কার কথা ?
ধন্যবাদ
অন্যদেরও সচেতন করুন, যাজ্জাকাল্লাহ
দেশের অবস্থা দেখে তো মনে হচ্ছে-
বাল্যবিবাহ আন্দোলন শুরু করার
এখনই উপযুক্ত সময়
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযািল্লাহ
আজকের খবরগুলো দেখেছেন? তাতে কি আমার কথার যৌক্তিকতা প্রমাণ হয়না? : :
আপনার কথায় যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলতে পারে-
এত্ত বড় বুকের পাটা কার??
তার নামটা বলুন তো!!
আমার মন্তব্যটি আপনার এ আহ্বানের প্রেক্ষিতে-
হায় হায়, কী সব্বোনাশ..
(আমার ভাষাগত দৈণ্যতা)
না, না, আপনাকে নয়-
আমি তো আমার কথা বলেছি -
এমন প্রশ্নকারীকে সহজে ছেড়ে দেবো ভেবেছেন???
সম্ভবত ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের লিখিত একটি কবিতা আছে
"ছেলে-মেয়ে এক যোগেতে করলে পড়াশোনা
পড়ার সাথে বাড়ে প্রায়ই কামের উপাসনা।"
দুর্ভাগ্য আমাদের। উন্নত দেশগুলিও যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আমরা এখন সেই সহশিক্ষাকেই প্রচলিত করতে চাচ্ছি। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুদিন আগে কিছু ছাত্রি এই আন্দোলন করেছিল যেন সহশিক্ষা চালু হয়! যদিও তার মহিলা ক্যাম্পাসটি যথেষ্ট সুসংগঠিত। সেই ভাবেই এখন আমাদের দেশ বিয়ের জন্য বৈধ বয়স সিমা কমানর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হচ্ছে! এটার কারন অবৈধ প্রেমের মধ্যে যথেষ্ট খরচ আছে যা মোবাইল কোম্পানি ও পিজা হাট এর মত রেস্টুরেন্ট গুলির জন্য লাভজনক। এদেশে আবার শারিরিক ষিক্ষার নামে অস্টম শ্রেনিতেই এখন যেীন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে! সব মিলিয়ে এখন আমাদের দেশের অবস্থা বিয়ে বেআইনি কিন্তু বিয়ে বহির্ভুত যে কোন কর্ম সহজ। অল্প বয়স এর অন্ধ আবেগ কে সঠিক পথে পরিচালনা করার বদলে দেওয়া হচ্ছে সেই আবেগে সুরসুড়ি।
এই বিষয়ে আপনার আশেপাশে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহযোগিতা করুন আপু। যাজ্জাকিল্লাহ
আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
আজকেই পড়লাম ঢাকাতে অস্বাভাবিক ভাবে অবৈধ গর্ভধারন-গর্ভপাতের পরিমান বেড়েছে! আমাদের সমাজের নীতি নির্ধারকগন কি এটাই চান ?
হিলারী ক্লিনটনের উদ্ধৃতিটি লিখার মানকে ওনেক শক্তিশালী করেছে তারচাইতেও মূল্যবান কোরানের আয়াতগুলোর যথোপযুক্ত সন্নিবেশন চমৎকার ভাবে মূল ভাব ফুটিয়ে তুলেছে!
শুকরিয়া আপুজ্বি! জাযাকিল্লাহু খাইর
কেমন হয়েছে জানিনা আপু, কিন্তু বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে এই জিনিসগুলো আমাদের চিন্তা করা উচিত মনে হোল, তাই সবাইকে জানালাম।
তুমি তো মহাবিশ্লেষকে পরিণত হচ্ছ! মাশাল্লাহ! তা তোমার নতুন লেখা কই? : :
মডু মামাদেরকে লিখাটি নির্বাচিত করার জোর দাবী জানাচ্ছি। নির্বাচিত না হলে ভাববো যে, মডুরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন।
আপনি কি ভাবলেন তাতে মডু মামাদের কি?
"মেয়েরা সৃষ্টিগতভাবে সংসার গড়তে চায়, নিজেকে অন্যের জন্য উজার করে দিয়ে পরিপূর্ণতা পেতে চায়। এটিই নারীর নিজেকে পুরুষের সামনে আকর্ষনীয়া হিসেবে তুলে ধরার দুর্বার আকাঙ্খার উৎস।"
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
এবার আপনার আশেপাশের সবাইকে হেদায়েত করতে শুরু করুন
এবার আপনার মনের কথাগুলো আপনার আশেপাশে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন যে তারাও ভাবতে শুরু করেন।
ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দরভাবে লিখাটি উপস্থাপন করেছে। জাজাকাল্লাহু খাইর।
দায়ী করব কাকে -মেয়েদের কে সমাজের কাছে, প্রেমিকের কাছে প্রোডাক্ট হিসাবে তুলে ধরা মিডিয়াকে? নিজের অবস্থান ভুলে প্রোডাক্ট হিসাবে ইউজড হওয়া মেয়েটিকে? নাকি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে সাইজ মাপা ছেলেটিকে?
কাকে দায়ী করবেন আপনারা?
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/3047/rehnuma/42232#.VEPQ2fldXfI
আপনার কমেন্টটা আমার দারুণ লাগল >-
onekdin por apnar likha porchi. jotha riti valo laglo o kichu bepare chintar khorak dilo. Asholei amra nijeder valo bujina. :(
এই কথাগুলো আপনার আশেপাশের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন, তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করুন যাজ্জাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন